কর্মরতদের সহকর্মীদের সঙ্গে সম্পর্ক ভালো থাকবে। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা ও ব্যবহারে সংযত থাকা দরকার। ... বিশদ
জল্পেশ মেলার মাঠ সংলগ্ন ফাঁকা জমিতে এই পার্ক নির্মাণ করা হবে। ইতিমধ্যেই ওই এলাকা পরিদর্শন করেছেন ময়নাগুড়ি পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি শিবম রায় বসুনিয়া, রামশাই কৃষি বিজ্ঞান কেন্দ্রের বিজ্ঞানী বিপ্লব দাস, ভূমি রাজস্ব আধিকারিক সুমিত ভট্টাচার্য সহ অন্যান্যরা।
জল্পেশ এলাকায় এই বায়ো-ডাইভারসিটি পার্কে প্রচুর ভেষজ থাকবে। সেই সঙ্গে নানা ফলের গাছও লাগানো হবে। প্রজাপতি পার্ক গড়ে তোলা হবে। এখানে ঝোপঝাড়ে ভরা প্রচুর গাছ থাকবে, যেখানে পাখিরা ভিড় জমাবে। এছাড়াও এখানে রঙিন মাছের অ্যাকুরিয়াম থাকবে। প্রত্যেকটা গাছের গায়ে তার বিজ্ঞানসম্মত নাম লেখা থাকবে। বিপ্লববাবু বলেন, জল, মাটি, বাতাসের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে প্রাকৃতিক জীবজগত, গাছপালাকে সংরক্ষণ করা হবে এই পার্কে। এখানে মানুষজন এলে একদিকেন প্রজাপতি পার্ক দেখতে পারবে। পাখির কলরব শুনতে পারবে। নানা গাছ পালা দেখতে পারবে। সেই সঙ্গে নানা প্রজাতির দেশীয় মাছ, রঙিন মাছও দেখতে পারবে। শিশুদের জন্য আলাদা বিনোদনের ব্যবস্থা থাকবে। এখানে কামরাঙা, আতা, পেয়ারাসহ নানা ফলের গাছ থাকবে। কিছু জলাশয় থাকবে। সেখানে শালুক, পদ্ম ফুটে আছে তাও দেখা যাবে। পার্ক নির্মাণের প্রধান উদ্দেশ্য প্রকৃতিকে সংরক্ষণ করা। এনিয়ে সচেতনতা গড়ে তোলা। স্কুল-কলেজ থেকে পড়ুয়ারা শিক্ষামূলক ভ্রমণে এই পার্কে এলে উপকৃত হবে। ময়নাগুড়ির ভূমি ও ভূমি রাজস্ব আধিকারিক বলেন, প্রায় ৯০ বিঘা জমিকে আমরা এই পার্কের জন্য চিহ্নিত করেছি। তাঁর মাপজোক চলছে।
ময়নাগুড়ি পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি তৃণমূলের শিবম রায় বসুনিয়া বলেন, জল্পেশ মেলার মাঠে বায়ো-ডাইভারসিটি পার্ক গড়ার জন্য জেলায় প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে। বিভিন্ন দপ্তরের সহযোগিতায় এই পার্ক গড়ে তোলা হবে। অন্যান্য পার্কের থেকে এই পার্ক আলাদা ধরনের হবে। পরিবেশের কথা মাথায় রেখে এই পার্ক নির্মাণ, তার পরিচর্যা ও ব্যবহার করা হবে। বায়ো-ডাইভারসিটি পার্কের মূল উদ্দেশ্য স্থানীয় জীববৈচিত্রের সংরক্ষণ। সেই সঙ্গে জনমানসে সচেতনতা বাড়ানো ও বিনোদনের দিকও থাকছে। এই পার্ক প্ল্যাস্টিকমুক্ত জোন হবে। আমরা দ্রুত এই পার্ক নির্মাণ করব।