কর্মরতদের সহকর্মীদের সঙ্গে সম্পর্ক ভালো থাকবে। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা ও ব্যবহারে সংযত থাকা দরকার। ... বিশদ
হলদিবাড়ির বাসিন্দা তাপস রায় বলেন, শীতের রাতের শহরে চোরের দাপট বেড়েছে। সম্প্রতি বিডিওর কোয়ার্টারে চুরি হয়। চিকিৎসক, শিক্ষকের বাড়িতেও চুরি হয়েছে। কিন্তু পুলিস অভিযুক্তদের গ্রেপ্তার করতে পারছে না। পুলিসের নিষ্ক্রিয়তার জন্যই চুরির সংখ্যা দিন দিন শহরে বাড়ছে।
কোচবিহারের পুলিস সুপার সন্তোষ নিম্বালকর বলেন, রাতের বেলা শহরে টহলদারি বাড়াতে স্থানীয় থানাকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। কয়েকজনকে ধরাও হয়েছে। আশা করি, হলদিবাড়ি শহরে চুরির ঘটনায় জড়িত গ্যাং ধরা পড়বে। গত দু’মাস ধরে শীত বাড়তেই হলদিবাড়ি শহরে জুড়ে চুরির ঘটনা বাড়ছে। সম্প্রতি হলদিবাড়ির বিডিও রাতে কোয়ার্টারে ছিলেন না। তাঁর ঘরে তালা মারা ছিল। একদিন পর তিনি বাড়ি ফিরে দেখেন দরজার তালা ভাঙা অবস্থায় রয়েছে। ঘরে ঢুকে তিনি দেখেন বিছানাপত্র সব লণ্ডভণ্ড অবস্থায় আছে। ঘরে টিভি সেটটিও নেই। বিছানার চাদর দিয়ে টিভি জড়িয়ে চোর নিয়ে যায়। অফিসের প্রয়োজনীয় কাগজপত্র তিনি ছড়ানো ছিটানো অবস্থায় পান। চুরির বিষয়টি নিয়ে তিনি ওই দিনই হলদিবাড়ি থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। এর কয়েকদিন পর বিডিও’র কোয়ার্টারের পাশেই চিকিৎসক মনতোষ বিশ্বাসের বাড়িতেও চুরি হয়। তিনিও ওই রাতে বাড়িতে ছিলেন না। চোর ঘরে ঢুকে ছোটখাট বৈদ্যুতিন সামগ্রী নিয়ে যায় বলে মনতোষবাবুর দাবি। তিনি হলদিবাড়ি থানায় এনিয়ে অভিযোগ জানান। ওই পাড়াতেই থাকেন শিক্ষক তীর্থনাথ পাল। চিকিৎসার জন্য তিনি সম্প্রতি কলকাতায় যান। বাড়ি ফাঁকাই ছিল। ওই বাড়ি থেকেও চোর টিভি সহ একাধিক দামি জিনিসপত্র নিয়ে যায়।
শহরের প্রায় একই কায়দায় চুরির ঘটনায় আতঙ্ক বাড়ছে। বাড়ি ফাঁকা রেখে বাইরে যেতে বাসিন্দারা সাহস পাচ্ছেন না। এমন অবস্থায় বাসিন্দারা পুলিসের নিয়মিত টহল দেওয়ার দাবি করেছেন। হলদিবাড়ি থানা সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রতিটি চুরি প্রায় একই কায়দায় হচ্ছে। দিনের বেলাতে ফাঁকা বাড়ি চিহ্নিত করে যাচ্ছে দুষ্কৃতী দল। রাত হলেই সেই বাড়িতে অপারেশন চালাচ্ছে। চোর মূলত টিভি সহ দামি ছোটখাট জিনিসই নিয়ে যাচ্ছে।