কর্মরতদের সহকর্মীদের সঙ্গে সম্পর্ক ভালো থাকবে। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা ও ব্যবহারে সংযত থাকা দরকার। ... বিশদ
রেবা দাস(বয়স্কা মহিলা), ভূপেন্দ্রনাথ সরণী, ৪ নম্বর ওয়ার্ড: আমাদের এলাকায় অনেক সমস্যা রয়েছে। এই পুরবোর্ডের প্রতি এই ওয়ার্ডের অনেকেই খুশি নন। সবথেকে বড় সমস্যা হলো জলের সমস্যা। রাস্তার ধারে ট্যা পকলগুলি থেকে জল সঠিক সময়েই পড়ে ঠিকই, কিন্ত সেই জল খুব ধীর গতিতে পড়ে। পাত্র একটু বড় হলেই তা ভরতে অনেক সময় লেগে যায়। গরমের সময় তো এই সমস্যা আরও বেড়ে যায়। এক বালতি জল ভরতে অনেকক্ষণ সময় লাগে। আমাদের এই সমস্যা নতুন কিছু নয়। জনপ্রতিনিধিদের অনেক বলেছি কিন্তু এখনও পযর্ন্ত কিছু হয়নি। নতুন বোর্ডের কাছে চাইব যেন জল গতিতে পড়ে। সকলের সুবিধা হবে।
অশোক সাহা (ব্যবসায়ী), গৌড় রোড, ৪ নম্বর ওয়ার্ড: এই পুরবোর্ডের কাজে সন্তুষ্ট। আমাদের ওয়ার্ডে পরিষেবার দিক থেকে কোনও সমস্যা নেই। এখনও পযর্ন্ত সব দিক দিয়ে ভালো পরিষেবা পাচ্ছি। কোনও অসুবিধা নেই। বর্তমান বোর্ডের কাজ নিয়ে আমরা সকলেই ভীষণ খুশি। এখন যেমন পাচ্ছি, নতুন বোর্ডের কাছে এই পরিষেবাটাই চাই। যেন আরও কাজ হয়, যেন এই ভাবেই উন্নয়ন হয়। তবে এলাকায় আরও বেশি সংখ্যক বৃদ্ধদের ভাতা দেওয়ার ব্যবস্থা করে দিলে খুব ভালো লাগত। এব্যাপারে একটু নজর দিলে ভালো হয়।
বাবু বোস (ব্যবসায়ী), দক্ষিণ সিঙ্গাতলা, ৪ নম্বর ওয়ার্ড: আমাদের এলাকায় তো ওয়ার্ডের সব কাজ হয়েছে বলেই আমাদের মনে হয়। উন্নয়ন বা কাজ নিয়ে কোনও অভিযোগ এখন নেই। সারা বছর ভালো পরিষেবা পেয়েছি। আপদে বিপদে কাউন্সিলারকে ডাকলে সব সময় কাছে পাওয়া যায়। তিনি আমাদের সব সময়ে সাহায্য করেন। তবে হ্যাঁ,আমরা চাই আমাদের এলাকার আরও উন্নয়ন হোক।
শঙ্কর দে (মিষ্টির দোকানের কর্মী), সিঙ্গাতলা, ৫ নম্বর ওয়ার্ড: এই বোর্ড আসার পর বেশ কিছু কাজ হয়েছে। আগে যা ছিল তার থেকে এখন রাস্তাঘাটের অবস্থা অনেকটাই ভালো। পথবাতি পরিষেবা উন্নত রয়েছে। তবে ওয়ার্ডের অনেক এলাকায় আবর্জনা জমে থাকে। জমে থাকা নোংরা নিয়মিত পরিষ্কার করার বিষয়ে নজর দিলে ভালো হয়।
সমরজিৎ দাস (বিএসএফে কর্মরত), ৫ নম্বর ওয়ার্ড: এই কয়েক বছরে পুরসভার অনেক কাজ ভালো হয়েছে। এনিয়ে আমার বিশেষ কিছু বলার নেই। তবে পাড়ার নিকাশি নিয়ে খুব সমস্যা হয়। তাই এই বিষয়ে মানুষের ক্ষোভ রয়েছে। সবাই বিরক্ত। একটু বৃষ্টি হলেই ড্রেনের জল উপচে রাস্তায় চলে আসে। বর্ষায় আমাদের ভোগান্তির শেষ থাকে না। আমাদের এলাকার এটা একটা বড় সমস্যা। কিভাবে এই সমস্যা সমাধান করা সম্ভব, সেবিষয়ে আগে ভাবা উচিত। জনপ্রতিনিধিরা ঠিক করুক, তাঁরা এব্যাপারে কি করবেন।
অভিজিৎ গুপ্ত (শিক্ষক), উত্তর সিঙ্গাতলা, ৫ নম্বর ওয়ার্ড: এই বোর্ডের পুর পরিষেবার কথা বলতে গেলে মোটামুটি কাজ হয়েছে বলা চলে। রাস্তা, জল, আলোর যা কাজ হয়েছে, ভালোই হয়েছে। শহরের বা এলাকার উন্নয়ন হয়েছে। তবে শহরের ইতিউতি জুড়ে নোংরা ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে। সেটি পরিষ্কার করার বিষয়ে সকলের উদাসীনতা রয়েছে, যা ঠিক না। এছাড়া ইংলিশবাজার শহরকে আরও সাজানোর দরকার রয়েছে।
ফুলমতি হরিজন (গৃহবধূ), ফিরোজপুর, ৬ নম্বর ওয়ার্ড: ওয়ার্ডে নোংরা জমে থাকে অনেক সময়ে। খুব অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ তৈরি হয়ে থাকে। আবর্জনা সাফাইয়ে জোর দেওয়া উচিত। তবে এলাকার উন্নয়ন করতে হলে পাড়ার মানুষকেও এগিয়ে আসতে হবে। আমাদের মধ্যে অনেকেই যেখানে সেখানে নোংরা ফেলে দেন। এলাকায় নির্দিষ্ট ডাস্টবিন রয়েছে। সেখানে ময়লা ফেললেই হয়। কিন্তু বেশিরভাগ মানুষই তা ব্যবহার করেন না। রাস্তায় আবর্জনা ফেলে দেন। তবে আমাদের এলাকায় জলের কোনও সমস্যা নেই।
সুদীপ কুণ্ডু (রেলে কর্মরত), ১ নম্বর কলোলি, ৬ নম্বর ওয়ার্ড: আমাদের বিশেষ কিছু চাওয়ার নেই পুরসভার কাছ থেকে। পুর কর্তৃপক্ষ এলাকার পুর পরিষেবার মান আরও ভালো করে দিক, এটাই চাইব। পাড়ার বড় মাঠের সামনে অনেক আবর্জনা পড়ে থাকে। অনেক জায়গায় বলার পরেও এই সমস্যা থেকেই গিয়েছে। এছাড়া সব ঠিক রয়েছে।
সোমা প্রামাণিক (গৃহবধূ), কলেজ রোড, ৬ নম্বর ওয়ার্ড: এলাকায় তেমন বড় কোনও সমস্যা আমার চোখে পড়েনি। জল পর্যাপ্ত পরিমাণে রয়েছে। রাস্তাজুড়ে আলোর অভাব নেই। কাজ খুব ভালো হয়েছে। জনপ্রতিনিধিরা ভালো ব্যবহার করেন। এনিয়ে কোনও অসুবিধা হয় না।
সংকলন: মঙ্গল ঘোষ