পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
মৌমিতা ঘোষ, শিক্ষিকা, গার্লস কলেজ পাড়া, ৪ নম্বর ওয়ার্ড: বিগত বছরগুলিতে পুরসভা ভালোই কাজ করেছে। আমাদের ৪ নম্বর ওয়ার্ডে বেশকয়েকটি যাত্রী প্রতীক্ষালয় হয়েছে। সেগুলির ফলে পথচলতি মানুষদের এবং বয়ষ্কদের অনেক সুবিধা হয়। কিন্তু আমাদের এখানে নিয়মিত রাস্তা পরিষ্কার করলেও ড্রেন পরিষ্কার করা হয় না। শ্মশান কালীবাড়ির পার্কটির এখন বেহাল দশা। পার্কটিতে অধিকাংশ খেলার সামগ্রী ভাঙাচোরা অবস্থায় পড়ে রয়েছে। সেই সঙ্গে পুরসভার ময়লা ফেলার গাড়িগুলি যাতে নিয়মিত পরিষেবা দেয়, সেদিকেও নজর দেওয়া দরকার। নতুন বোর্ড ক্ষমতায় এলে আমাদের এই সমস্যাগুলির একটা যথাযথ সমাধান হবে বলে আশা করছি।
তন্ময় চৌধুরী (ব্যাঙ্ক কর্মী), উত্তর চক ভবানী, ৪ নম্বর ওয়ার্ড: বর্তমানে আমি ৪ নম্বর ওয়ার্ডের স্থায়ী বাসিন্দা। আমাদের ওয়ার্ডের সার্বিক পুর পরিষেবা নিয়ে আমরা খুশি। আমার ওয়ার্ডের আবর্জনা পরিষ্কার করা থেকে জল নিকাশি ব্যবস্থা সব ক্ষেত্রেই পুরসভার পরিষেবা ভালো। রাস্তায় পথবাতিগুলি নষ্ট হয়ে গেলেও সেসব সারাই করে দেন পুরসভার কর্মীরা। আমাদের পাড়ার নর্দমাগুলির স্ল্যাব ভেঙে গিয়েছে। শুধু এখন পুরসভার কাছে আমাদের চাহিদা, সেগুলির দিকে পুরসভা ঠিকমত নজর দিক। সেগুলি সারাইয়ের ব্যবস্থা করে দিলে খুব ভালো হয়। আশা রাখছি আগামী দিনে আরও ভালো পরিষেবা মিলবে।
বিপ্লব ভট্টাচার্য (গৃহশিক্ষক), শ্মশান কালীবাড়ি এলাকা, ৪ নম্বর ওয়ার্ড: বিগত বছরগুলিতে পুরসভা ভালোই কাজ করেছে। কিন্তু যেটুকু কাজ করবে বলে আশা করেছিলাম, ততটুকু কাজ কিন্তু তারা করতে পারেনি। আমাদের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের শ্মশান কালীবাড়ির পার্কটি বহু টাকা ব্যায়ে তৈরি করা হয়েছিল। বর্তমানে তা বেহাল অবস্থায় পড়ে রয়েছে। সেখানে ছেলেমেয়েদের নিয়ে যেতে পারে না কেউ। বহিরাগতদের আড্ডা বেশি। খেলাধুলোর পরিবেশ নেই। সেই পার্কটি সংস্কার করে সুস্থ পরিবেশ ফিরিয়ে নিয়ে এলে খুব ভালো হয়। এছাড়াও নিয়মিত নর্দমা পরিষ্কার করা হয় না। আশা করছি নতুন পুর বোর্ড গঠন হলে এই সমস্ত সমস্যা দূর হবে।
প্রদীপ পাল (শিক্ষক), ব্রতী সঙ্ঘ পাড়া, ৫ নম্বর ওয়ার্ড: এমনি বালুরঘাট পুরসভার পরিষেবা ভালো। কিন্তু পুরসভার ৫ নম্বর ওয়ার্ডের রাস্তাগুলো ভাঙা। গলির পথগুলোর বেহাল দশা। নর্দমাগুলিতে নোংরা জমে থাকে। ঠিকমত পরিষ্কার হয় না। এছাড়াও পুরসভার ট্যাপকলগুলো থেকে যে জল বের হয়, সেই জল অনেকেই খাওয়ার জন্য ব্যবহার করে। কিন্তু মাঝে মাঝে ঘোলা জল বের হয়। তা খাওয়ার যোগ্য নয়। নতুন পুরবোর্ড গঠন হলে এই ব্যাপারে সচেতন হওয়া দরকার।
শুভশ্রী রায় (নার্স), সঙ্কেত পাড়া, ৫ নম্বর ওয়ার্ড: আমাদের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের রাস্তাগুলি খুবই অপরিষ্কার থাকে। ঠিকমত সাফাই কর্মীরা রাস্তা পরিষ্কার করতে আসেন না। রাস্তাগুলি অনেক দিন হল সংস্কার করা হয়নি। আমরা চাই গলির ভেতরে রাস্তাগুলি নতুন করে বানানো হোক। আমাদের এলাকার পুর বাজারটির অবস্থাও সংস্কারের অভাবে শোচনীয় হয়ে গিয়েছে। সুস্থ পরিবেশ পাওয়ার ব্যাপারে আমরা আগ্রহী এবং আগামীদিনে এই পুরবাজারটির সংস্কার চাই।
শুভাশিস চক্রবর্তী (চিত্রশিল্পী), রথতলা, ৫ নম্বর ওয়ার্ড: আমার এলাকার রাস্তাঘাট সবই ভালো রয়েছে। পথবাতি ঠিকঠাকই জ্বলে। এলাকায় জলের ট্যাপকলের ব্যবস্থা আছে। খুব তাড়াতাড়ি বাড়ি বাড়ি জল সরবরাহ হবে বলে আশা করছি। শুধু রাস্তার পাশের নর্দমাগুলির একটু ভালোভাবে সংস্কার করা দরকার। নর্দমাগুলির নোংরা আবর্জনা নিয়মিত পরিষ্কার পরিছন্ন করলে এলাকার বাসিন্দাদের কোনও অসুখবিসুখ হবে না। আশা রাখছি আগামীতে সব পরিষেবা ভালোভাবে মিলবে।
আকাশ ঘোষ (মেডিক্যাল রিপ্রেজেন্টটেটিভ), রামকৃষ্ণপল্লি, ৬ নম্বর ওয়ার্ড: আমাদের ওয়ার্ডে রাস্তাঘাট ভালো হলেও এখানে অনেক ধরনের সমস্যা রয়েছে। একটু বৃষ্টি হলেই রাস্তায় জল জমে যায়। হাঁটু জল ভেঙে সেই রাস্তা দিয়ে চলাচল করতে হয়। এছাড়াও রাস্তাঘাট অনেক জায়গায় ভাঙা রয়েছে। সেই ভাঙা রাস্তার কারণে মাঝেমাঝেই ছোটখাট দুর্ঘটনা ঘটে যায়। নর্দমাগুলি ঠিকমত পরিষ্কার করেন না পুরকর্মীরা। সেই নোংরা জল থেকেই মশামাছির উপদ্রব বাড়ে।
শুভেন্দু কুমার বক্সী ( শিক্ষক), ব্রতী সঙ্ঘ, ৬ নম্বর ওয়ার্ড: আমাদের এলাকায় যথা সময়ে ড্রেন পরিস্কার হয় না। যত্রতত্র ড্রেনের উপর স্ল্যাব ভাঙা রয়েছে। যার ফলে যে কোনও সময় দুর্ঘটনা ঘটে যেতে পারে। এই বিষয়ে এলাকার কাউন্সিলার কোনও নজরদারি করেন না। এছাড়াও গলির ভেতরে পর্যাপ্ত আলোর অভাব রয়েছে। সেগুলি নষ্ট হয়ে গেলেও সারাই করতে ঢিলেমি করে পুরসভা। আর পানীয় জলের ট্যাপের অভাব রয়েছে এলাকায়। আমাদের ওয়ার্ডে তেমন কোনও পরিবর্তন বা উন্নতি হয়নি।
দুর্গারানি দাস (প্রবীণ ব্যক্তি), পাওয়ার হাউস, ৬ নম্বর ওয়ার্ড: আগেকার তুলনায় বালুরঘাট অনেক উন্নত হয়েছে। রাস্তাঘাট, পথবাতি থেকে শুরু করে ড্রেনের ব্যবস্থাও বেশ উন্নত হয়েছে। কিন্তু মাঝেমাঝেই রাস্তার ধারে ড্রেনের নোংরাগুলি তুলে রেখে দেয়। আর পরিষ্কার করতে ঢিলেমি করে পুরসভার কর্মীরা। সেখান থেকে দুর্গন্ধ ছড়ায় এবং মশামাছির উপদ্রব বাড়ে। পুরসভার কর্মীদের একটু এই ব্যাপারে সচেতন হওয়া দরকার। সংকলন: গোপাল সূত্রধর