বিমাসূত্রে ধনাগম হতে পারে। প্রেম-প্রণয়ে আনন্দ। কাজকর্মে অগ্রগতি ও সুনাম। ... বিশদ
স্থানীয় ও পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, শনিবার রাত দেড়টা নাগাদ গোবড়াছড়ার আঁটিয়াবাড়ি গ্রামের বাসিন্দা তৃণমূল কর্মী জামেদুল হকের বাড়িতে ২০-২৫ জনের একটি মোটর বাইক বাহিনী বোমা বন্দুক নিয়ে আসে। ওই দলটি তৃণমূল কর্মীর শোবার ঘরে পেট্রোল ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেয়। এরপর ওই দুষ্কৃতীরা দু’টি বোমাও ফাটায়। চিৎকার চেঁচামেচিতে আশেপাশের লোকজন ছুটে এলে দুষ্কৃতীরা পালিয়ে যায়। স্থানীয়রাই জল জল ঢেলে আগুন নেভায়। রাতেই পুলিস আসে।
জামেদুল হকের বাবা কপুর উদ্দিন মিঁয়া বলেন, আমরা পুরানো তৃণমূল কর্মী। দীর্ঘদিন থেকে তৃণমূল করি। রাতে সকলেই ঘুমিয়েছিলাম। বিধায়ক উদয়ন গুহ আশ্রিত দুষ্কৃতী দল আমার ছেলের ঘরে পেট্রল ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেয়। ওরা দু’টি বোমাও ফাটায়। এলাকার লোকজন জড়ো হতেই ওরা পালিয়ে যায়।
গোবড়াছড়া নয়ারহাট অঞ্চলের তৃণমূল যুব কংগ্রেসের সভাপতি মিলন সেন বলেন, কয়েক মাস ধরে নয়ারহাটে উদয়ন গুহ আশ্রিত দুষ্কৃতীরা এলাকায় বোমাবাজি, মারধর ও বন্দুক দেখিয়ে সন্ত্রাস তৈরি করছে। শনিবার রাতে দলেরই এক কর্মীর বাড়িতে পেট্রল ঢেলে আগুন ধরিয়ে দিয়ে তাঁকে পুড়িয়ে মারার চেষ্টা করেছে। অবিলম্বে উদয়ন গুহের ছত্রছায়ায় থাকা ওই দুষ্কৃতীদের গ্রেপ্তারের দাবিতে তৃণমূলের পক্ষ থেকে আমরা এদিন থানায় বিক্ষোভ দেখিয়েছি। সেইসঙ্গে পুলিসের কাছে লিখিতভাবে অভিযোগও জানানো হয়েছে।
যদিও ওই অভিযোগ ভিত্তিহীন বলে উড়িয়ে দিয়েছেন দিনহাটার তৃণমূল বিধায়ক উদয়ন গুহ। তিনি বলেন, কিছু সমাজবিরোধী, গুন্ডা নানাভাবে গোলমাল পাকিয়ে অন্যের ঘাড়ে দোষ চাপিয়ে দেওয়ার চেষ্টা চালাচ্ছে। আমরা এসব বরদাস্ত করব না। পুলিস সবটার তদন্ত করছে। সাহেবগঞ্জ থানার পুলিস জানিয়েছে, রাতে এলাকায় গিয়ে বোমার নমুনা সংগ্রহ করে আনা হয়েছে। গোটা ঘটনা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে থেকেই বিধায়ক উদয়ন গুহের সঙ্গে দলের দিনহাটা-২ ব্লকের প্রাক্তন ব্লক সভাপতি মীর হুমায়ূন কবিরের বিরোধ প্রকাশ্যে আসে। তারপর থেকে উদয়ন গুহ ও মীর হুমায়ূন কবিরের আনুগামীদের মধ্যে নয়ারহাটে গণ্ডগোল লেগেই থাকছে। গত শুক্রবার সকালে তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর সংঘর্ষে জখম হন দলের তিনকর্মী। বৃহস্পতিবার রাতেও তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর গণ্ডগোলের জেরে এলাকায় বোমাবাজি করা হয় বলে অভিযোগ ওঠে। লোকসভা নির্বাচনের ফল ঘোষণার পর সেই বিরোধ কিছুটা কমলেও মাস তিনেক থেকে ফের এলাকার ক্ষমতার রাশ কার হাতে থাকবে তা নিয়েই বিরোধ শুরু হয়েছে।