পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
অতীতে উত্তরবঙ্গ উৎসবের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান শিলিগুড়ি শহরে হয়েছে। এবার তা শহর সংলগ্ন মাটিগাড়া ব্লকের আঠারোখাই ময়দানে হবে। এজন্য মাঠটি ইতিমধ্যে সাজিয়ে তোলা হয়েছে। রবিবার মাঠ পরিদর্শন করেন পর্যটনমন্ত্রী গৌতম দেব সহ উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন দপ্তর এবং শিলিগুড়ির পুলিস ও প্রশাসনের আধিকারিকরা। মুখ্যমন্ত্রীর নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা স্পেশাল সিকিউরিটির অফিসারাও মাঠ পরিদর্শন করেন। প্রশাসনের আধিকারিকরা বলেন, অনুষ্ঠান সুষ্ঠুমতো করতে সবরকম প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। মূলপর্বের অনুষ্ঠানের পর কাওয়াখালির বিশ্ববাংলা শিল্পীহাটে, কাঞ্চনজঙ্ঘা স্টেডিয়াম ও উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ে ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হবে। এই সময়ের মধ্যে উত্তরবঙ্গের প্রতিটি জেলায় অনুষ্ঠান হবে।
প্রশাসন সূত্রের খবর, মূল অনুষ্ঠানের মঞ্চ থেকে উত্তরবঙ্গের নয় জেলার বিশিষ্টজনদের বঙ্গরত্ন সম্মান দেওয়া হবে। ওই তালিকায় আলিপুরদুয়ারের প্রাক্তন শিক্ষক তথা সমাজসেবী রাজেন্দ্রনাথ দাস, কোচবিহারের শিক্ষক জ্যোতির্ময় রায়, দক্ষিণ দিনাজপুরের বিশিষ্ট লেখক বিশ্বনাথ লাহা, দার্জিলিংয়ের (পাহাড়) বডিবিল্ডার গণেশ বাহাদুর গিরি, শিলিগুড়ির টেবল টেনিস কোচ ভারতী ঘোষ, জলপাইগুড়ির বিশিষ্ট অধ্যাপক শুভম মজুমদার, কালিংম্পংয়ের হেমলতা প্রধান, মালদহের দ্বিজেন্দ্র সরকার ও উত্তর দিনাজপুরের মমতা কুণ্ডু রয়েছেন। তাঁদেরকে স্মারক ও এক লক্ষ টাকা করে প্রদান করা হবে। এর বাইরে অনুষ্ঠান মঞ্চ থেকে প্রতিটি জেলার ১০ জন করে ৯০ জন দুঃস্থ মেধাবী ছাত্রছাত্রীকে ১০ হাজার টাকা করে দেওয়া হবে।
প্রসঙ্গত, কয়েকদিন আগে শিলিগুড়িতে এনআরসি ও সিএএ’র বিরুদ্ধে মেগা র্যা লি করার পর উত্তরবঙ্গ উৎসবের দায়িত্ব পর্যটনমন্ত্রীকে দেন মুখ্যমন্ত্রী। ওইদিন থেকেই পর্যটনমন্ত্রী প্রস্তুতি শুরু করেন। এদিন তিনি বলেন, উৎসবের উদ্বোধন করবেন মুখ্যমন্ত্রী। অনুষ্ঠানে উত্তরবঙ্গের মন্ত্রীদের পাশাপাশি বিশিষ্টজনরা থাকবেন।
অন্যদিকে, উৎসবের প্রস্তুতি নিয়ে অনেকেই অসন্তুষ্ট। উৎসবের ২৪ ঘণ্টা আগে রবিবার তৃণমূলের একাংশের অভিযোগ, মূল উৎসবের কী আয়োজন করা হয়েছে তা অনেকের কাছেই অজানা। উৎসব নিয়ে তেমন প্রচারও নেই। বঙ্গরত্ন প্রদানের জন্য যাঁদের নাম চূড়ান্ত করা হয়েছে তাঁদের অনেকে এদিন বিকাল পর্যন্ত আমন্ত্রণপত্র হাতে পাননি। এদিন সন্ধ্যায় টেবল টেনিস কোচ ভারতীদেবী বলেন, বঙ্গরত্ন সম্মান পাচ্ছি বলে সাংবাদিকদের কাছ থেকে শুনছি। শিলিগুড়ি মহকুমা পরিষদের একজন জানিয়েছে সোমবার সকাল ১০টায় বাড়িতে গাড়ি আসবে। আমাকে মৈনাক ট্যুরিস্ট লজে নিয়ে যাবে। সেখান থেকে উৎসব মঞ্চে নিয়ে যাওয়া হবে। কিন্তু এখনও পর্যন্ত উৎসব কমিটি, মহকুমা প্রশাসন বা উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন দপ্তর কারও কাছ থেকেই আমন্ত্রণ পাইনি। তাই বুঝতে পারছি না কী করব?
এদিকে, আজ অনুষ্ঠানের মঞ্চে উত্তরবঙ্গ উন্নয়নমন্ত্রী রবীন্দ্রনাথ ঘোষও গরহাজির থাকতে পারেন। তিনি নিজের জেলা কোচবিহারে উৎসবে থাকতে পারেন। এব্যাপারে তিনি বলেন, এটা আমাদের সরকারের উৎসব। তাই উৎসবে আছি।