পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, গোপন সূত্রে খবর পেয়ে শনিবার রাতে গাজোলের কদুবাড়ি মোড় এলাকায় অভিযান চালায় পুলিস। দুই ব্যক্তিকে সন্দেহজনক অবস্থায় ঘোরাফেরা করতে দেখে প্রথমে আটক পরে গ্রেপ্তার করা হয় তাদের। পুলিস জানিয়েছে ধৃতদের নাম মিরাজুল আলি (৩৬) ও মির নাজিম আলি (৪০)। জেরা করার সময় ধৃতদের কাছ থেকে উদ্ধার করা হয় দুই লক্ষ টাকার জাল নোট। নোটগুলি সবই দুই হাজার টাকার বলে জানিয়েছে পুলিস। ধৃত দুই ব্যক্তিই মোথাবাড়ি থানা এলাকার মহারাজপুরের বাসিন্দা বলে পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে।
একই দিনে ইংলিশবাজার থানা এলাকার ঝলঝলিয়া এলাকা থেকে এক যুবককে গ্রেপ্তার করে পুলিস। তার কাছ থেকে ৩০ হাজার টাকার জাল নোট উদ্ধার হয়েছে বলে জানিয়েছে ইংলিশবাজার থানার পুলিস। ধৃত ব্যক্তির নাম ফায়েম শেখ (২৮)। সে ঝাড়খণ্ডের বাসিন্দা বলে প্রাথমিক তদন্তে জানতে পেরেছে পুলিস। ট্রেনে করে ওই জাল নোট নিয়ে সে কোথায় যাচ্ছিল তা জানতে ওই ব্যক্তিকে জেরা করা হবে বলে পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে।
পুলিস সুপার অলোক রাজোরিয়া বলেন, জাল নোট পাচার রুখতে সক্রিয় রয়েছে জেলা পুলিস। জাল নোট পাচারের ঘটনায় যুক্ত ধৃতদের জেরা করে এই চক্রের সঙ্গে যুক্ত অন্যান্যদের চিহ্নিত করার চেষ্টা চলছে।
উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার রাতে গোপন সূত্রে খবর পেয়ে লক্ষাধিক টাকার জাল নোট সহ দুই তরুণকে আটক করেছিলেন ২৪ নম্বর ব্যাটালিয়নের বিএসএফ জওয়ানরা। উদ্ধার করা হয়েছিল একটি মোবাইল ফোন ও একটি মোটরবাইকও। পরে জাল নোট সহ ওই দুইজনকে বৈষ্ণবনগর থানার পুলিসের হাতে তুলে দেওয়া হয়। পুলিস ওই দুইজনকে গ্রেপ্তার করে। ধৃতেরা বৈষ্ণবনগর থানার বীরনগরের মুকুন্দটোলা চায়নাবাজার এলাকার বাসিন্দা।
পরপর জাল নোট উদ্ধারের ঘটনায় বেশ খানিকটা নড়েচড়ে বসেছে পুলিসও। এক পুলিস আধিকারিক বলেন, কম পরিমাণে কিন্তু ঘনঘন এই জাল নোট উদ্ধারের ঘটনা আমাদের অন্যভাবে ভাবাচ্ছে। একাধিক ব্যক্তির মাধ্যমে বিভিন্ন জায়গায় পাচারের লক্ষ্য জাল নোট চক্র কাজ করছে কি না, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।