বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
মাথাভাঙা পুরসভার চেয়ারম্যান লক্ষপতি প্রামাণিক বলেন, জানুয়ারি মাসের মধ্যেই অত্যাধুনিক বাস টার্মিনাস চালু করার বিষয়টি চূড়ান্ত হয়েছে। টার্মিনাসের গেটের সামান্য কাজ কিছু বাকি আছে। কয়েকদিনের মধ্যে সেই কাজ সম্পূর্ণ হয়ে যাবে। আমরা টার্মিনাসের ভিতরে যে স্টলগুলি তৈরি করেছি সেগুলির বণ্টন প্রক্রিয়াও শুরু করেছি। বাস টার্মিনাসটি চালু হলে শহরের যানজট অনেকটাই আশা করি নিয়ন্ত্রিত হবে। একইসঙ্গে বেসরকারি বাস টার্মিনাসে অটোস্ট্যান্ড করব আমরা। ফলে অটোস্ট্যান্ডের সমস্যাও আর থাকবে না।
বর্তমানে মাথাভাঙা শহরের প্রাণকেন্দ্র পোস্ট অফিস মোড়ে রয়েছে উত্তরবঙ্গ রাষ্ট্রীয় পরিবহণ সংস্থার টার্মিনাস। বেসরকারি বাস টার্মিনাসটি রয়েছে শহরের মদনমোহন বাড়ি এলাকায়। সরকারি ও বেসরকারি দু’টি টার্মিনাস শহরের ভিতরে থাকায় শনিমন্দির মোড় থেকে মদনমোহন বাড়ি পর্যন্ত শহরের মূল রাস্তায় প্রতিদিন যানজট তৈরি হচ্ছে। এতে নাকাল হচ্ছেন বাসিন্দারা। বিশেষ করে বেসরকারি বাসগুলি রাস্তার উপর দাঁড়িয়ে যাত্রী ওঠানো-নামানো করায় যানজট আরও ব্যাপক আকার ধারণ করে।
পুরসভা সূত্রে জানা গিয়েছে মদনমোহন বাড়ি এলাকায় বেসরকারি বাস টার্মিনাসের জায়গায় অটোস্ট্যান্ড তৈরি করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। নতুন বাস টার্মিনাস চালু হলেই সেখানে অটোস্ট্যান্ড বানানোর কাজ শুরু হবে। এরফলে শহরের যত্রতত্র অটো দাঁড়িয়ে থাকবে না। শহরে বর্তমানে দু’টি জায়গায় অস্থায়ী অটোস্ট্যান্ড করা হয়েছে। মেলার মাঠে কোনও অনুষ্ঠান হলে অস্থায়ী অটোস্ট্যান্ডের চালকরা মাঝেমধ্যে বিপাকে পড়েন। মাঠের মুক্তমঞ্চে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হলেই সেখান থেকে অটো সরিয়ে নিতে হয়। নতুন অটোস্ট্যান্ড হলে এই অসুবিধা আর থাকবে না। শনিমন্দির থেকে মূল চৌপথি পর্যন্ত রাস্তায়ও যানজট অনেকটাই এতে নিয়ন্ত্রিত হবে।
পুরসভা জানিয়েছে, বাস টার্মিনাসটি কলেজ মোড়ে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হলেও যাত্রবাহী প্রতিটি বাস শহরে ঢুকবে। ফলে সাধারণ মানুষকে অসুবিধায় পড়তে হবে না। একইসঙ্গে বেসরকারি বাসস্ট্যান্ডের জায়গায় অটোস্ট্যান্ড করা হলে ওই জায়গাটিও আগের মতো জমজমাট থাকবে।