পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
জলপাইগুড়ি জেলা তৃণমূলের সভাপতি কিষাণ কল্যাণী বলেন, পুরভোটে দলের প্রার্থী নির্বাচন করবে রাজ্য নেতৃত্ব। স্বচ্ছভাবমূর্তি, ওয়ার্ডে গ্রহণযোগ্য মুখকেই আমরা এবার প্রার্থী করব। তার প্রাথমিক স্তরে প্রস্তুতি নিচ্ছি।
গত শুক্রবার জলপাইগুড়ি পুরসভার আসন সংরক্ষণের খসড়া তালিকা প্রকাশিত হয়েছে। সেই তালিকায় ভাইস চেয়ারম্যান পাপিয়া পাল, চেয়ারম্যান ইন কাউন্সিল (জল) সৈকত চট্টোপাধ্যায় সহ শাসক দলের একাধিক হেভিওয়েট কাউন্সিলারের ওয়ার্ড সংরক্ষণের তালিকায় থাকায় নিজের জেতা ওয়ার্ডে তাঁরা এবার প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারবেন না। যদিও পুরসভার চেয়ারম্যান মোহন বসু, চেয়ারম্যান ইন কাউন্সিল (পূর্ত) সন্দীপ মাহাত সহ কয়েকজন কাউন্সিলার নিজের ওয়ার্ডে লড়তে পারবেন।
জলপাইগুড়ি পুরসভার ২৫টি আসনের মধ্যে ১৩টিই আসন খসড়া তালিকায় সংরক্ষিত হয়েছে। এরমধ্যে ছ’টি আসন এসসি’দের জন্য সংরক্ষিত হয়েছে। সাতটি আসন সাধারণ মহিলাদের জন্য সংরক্ষিত রয়েছে। সংরক্ষণের আওতায় এসেছে ২, ৩, ৪, ৭, ১০, ১১, ১২, ১৩, ১৬, ১৭, ২০, ২৩ ২৫। এই আসনগুলির একাধিক জায়গায় জয়ী প্রার্থী রয়েছেন শাসক দলের কাউন্সিলাররা। পাপিয়া পাল, সৈকত চট্টোপাধ্যায়, নিপু শাহ সহ একাধিক কাউন্সিলার এবারের নির্বাচনে তাঁদের জেতা আসন থেকে লড়তে পারবেন না। আসন সংরক্ষণের গেরোয় তাঁরা প্রার্থী হতে না পারলেও অন্য আসন থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারেন অনেকেই। দলীয় স্তরে সেই প্রচেষ্টায় চালিয়ে যাচ্ছেন তাঁরা। তবে তাঁরা নিজের ওয়ার্ডে স্ত্রীকে ভোটে দাঁড় করাতে পারেন বলেই গুঞ্জন চলছে। তবে সংরক্ষণের গেরোয় না পড়লেও দল সূত্রে খবর অনেক জয়ী কাউন্সিলার এবার টিকিট নাও পেতে পারেন। কারণ পুরসভার একাংশ কাউন্সিলারের কাজকর্ম নিয়ে ইতিমধ্যেই পিকের টিম এলাকায় ঘুরে সমীক্ষা করে গিয়েছে। ওই টিমের সদস্যরা বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলে কাউন্সিলারদের মনের কথা বুঝছেন। তাছাড়া কাউন্সিলারদের ব্যক্তিগত জীবন সম্পর্কেও টিম পিকে তথ্য সংগ্রহ করেছে। লোকসভা ভোটে দলের পরাজয়ের পরে কারা গোপনে গেরুয়া শিবিরে ঘনিষ্ঠতা বাড়িয়েছেন সেই তথ্যও পিকের ডায়েরিতে নথিভুক্ত হয়েছে। তাছাড়া লোকসভা নির্বাচনে কাউন্সিলারদের ভূমিকা কি ছিল সেটা আগেই যাচাই করেছে পিকের টিমের লোকজন। এককথায় পিকের টিমের ব্যাডবুকে থাকা কাউন্সিলারদের এবার ছাঁটাই হওয়ার সম্ভাবনাই বেশি।
এছাড়াও ‘দিদিকে বলো’ কর্মসূচির মাধ্যমে একাধিক কাউন্সিলারের বিভিন্ন কাজে অনিয়ম আর স্বজনপোষণের বিষয়টিও পুরভোটে টিকিট দেওয়ার ক্ষেত্রে এবার বিবেচিত হতে পারে বলে দল সূত্রে খবর। প্রাথমিকভাবে জেলা নেতৃত্ব স্থির করেছে, সংরক্ষণের বাইরে থাকা একাংশ কাউন্সিলারের জায়গায় তাঁদের নিকট আত্মীয়দের পরিবর্তে বিকল্প হিসেবে যুব নেতাদের বাছা হচ্ছে। রাজবাড়ি সংলগ্ন এক ব্যবসায়ীর নামও আলোচনায় আছে। এছাড়াও ওই তালিকায় একজন অধ্যাপক, আইনজীবী, সমাজসেবী, চিকিৎসকের নামও উঠে এসেছে। ওই তালিকাই জেলা নেতৃত্ব তৈরি করছে।