গৃহে শুভকর্মের প্রস্তুতি ও ব্যস্ততা। হস্তশিল্পীদের নৈপুণ্য ও প্রতিভার বিকাশে আয় বৃদ্ধি। বিদ্যায় উন্নতি। ... বিশদ
বিজেপির বালুরঘাট টাউন সভাপতি সুমন বর্মন বলেন, প্রায় ১৬ মাস ধরে বালুরঘাট পুরসভায় কোনও বোর্ড নেই। এতে নাগরিক পরিষেবা ব্যাহত হচ্ছে। এদিন আমরা পুরসভাকে অনাথ আশ্রম হিসাবে ঘোষণা করলাম। এছাড়াও পোস্টকার্ডের মাধ্যমে আমরা জেলাশাসক ও পুরসভার প্রশাসককে লিখিত অনুরোধ করেছি তাঁরাও যেন সরকারিভাবে পুরসভাকে অনাথ আশ্রম হিসেবে ঘোষণা করেন।
এবিষয়ে মহকুমা শাসক তথা পুরসভার প্রশাসক বিশ্বরঞ্জন মুখোপাধ্যায় বলেন, আমাদের কাছে বিজপি নেতৃত্ব আগে থেকে মিছিল অথবা কোনও কর্মসূচি করার অনুমতি নেয়নি। নাগরিক পরিষেবাও ব্যাহত হয়নি। আর পুরভোট কবে হবে সেটা নির্বাচন কমিশন ঠিক করবে। পুরসভার সামনে যদি কেউ কোনও বেআইনি ফেস্টুন লাগিয়ে থাকে তাহলে আমরা আইনানুগ পদক্ষেপ করব।
তৃণমূলের জেলা কার্যকরী সভাপতি দেবাশিস মজুমদার বলেন, বালুরঘাট পুরসভায় প্রশাসক রয়েছেন। নাগরিক পরিষেবা ঠিকঠাকই রয়েছে। আর নির্বাচন কমিশন পুরভোটের দিনক্ষণ ঠিক করবে। এধরনের বুদ্ধিহীনের মতো কাজ বিজেপিই করতে পারে। এগুলি বিজেপির সস্তার রাজনীতি। এতে মানুষ সাড়া দেবে না। এবিষয়ে আরএসপি নেতা বিমল সরকার বলেন, বিজেপি পুরসভাকে কী আখ্যা দিল সেবিষয়ে আমাদের কোনও মন্তব্য নেই। তবে সংবিধানের নিয়ম অনুযায়ী ছ’মাস পুরসভা প্রশাসকের অধীনে থাকতে পারে। কিন্তু এখানে প্রায় দেড় বছর হতে চলল নির্বাচন হচ্ছে না। তৃণমূলের নেতারাই কমেটিতে বসে রয়েছেন। নাগরিক পরিষেবাও ব্যাহত হচ্ছে। আমরা চাই দ্রুত নির্বাচন হোক।
প্রসঙ্গত, তৃণমূল পরিচালিত পুর বোর্ডের মেয়াদ দেড় বছর আগেই শেষ হয়ে গিয়েছে। এরপর মহকুমা শাসকের তত্ত্বাবধানেই চলছে পুরসভার সমস্ত কাজকর্ম। সামনেই ভোট, তার আগেই ছুটির দিনে বিজেপি আন্দোলনে নেমে পড়েছে। এদিন সকালে বিজেপি কর্মী-সমর্থকরা একটি মিছিল করে ব্যান্ড পার্টি নিয়ে বালুরঘাট পুরসভার সামনে এসে জমা হয়। সেখানে গেটের মধ্যে অনাথ আশ্রম লেখা একটি ফেস্টুন টাঙিয়ে দিয়েছে বিজেপি। এদিনের কর্মসূচিতে বিজেপির বালুরঘাট টাউন মণ্ডল সভাপতি সুমন বর্মন সহ অন্যান্য নেতৃত্ব উপস্থিত ছিল।