গৃহে শুভকর্মের প্রস্তুতি ও ব্যস্ততা। হস্তশিল্পীদের নৈপুণ্য ও প্রতিভার বিকাশে আয় বৃদ্ধি। বিদ্যায় উন্নতি। ... বিশদ
স্থানীয় গ্রামবাসীদের অভিযোগ, ওই রাতে রাস্তার কাজ করতে এসেছিল ঠিকাদার সংস্থা। জেলা পরিষদের ইঞ্জিনিয়ার সেই রাস্তার ছবি তোলেন। রাতে বেহাল রাস্তার সংস্কার হচ্ছে দেখে গ্রামবাসীরা ক্ষিপ্ত হয়ে ঠিকাদার সংস্থার গাড়ি ও ইঞ্জিনিয়ারকে আটক করে রাখেন। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছন জেলা পরিষদের সদস্য রফিকুল ইসলাম। তিনি বলেন, আমি সন্ধ্যায় জেলা পরিষদ থেকে বাড়ি যাওয়ার সময় ঘটনার কথা জানতে পারি। ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখি একটি ছোট গাড়িতে পাথরের চিপ নিয়ে ঠিকাদার সংস্থা রাস্তার গর্ত বুজিয়ে দিচ্ছে রাতের অন্ধকারে। সেই সময় আমাদের ইঞ্জিনিয়ার ঘটনাস্থলে রাস্তার অবস্থা দেখতে গিয়ে সাধারণ মানুষের রোষের মুখে পড়েন। আমরা জানতে পেরেছি, পাঁচ বছর আগে ওই রাস্তার কাজ শেষ হয়। এলাকাবাসীর অভিযোগ, রাস্তাটি তৈরি করার সময় নিম্নমানের কাজ করা হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে আমরা জেলা পরিষদে আলোচনায় বসছি। দ্রুত রাস্তা সংস্কারের কাজ করা হবে।
জেলা পরিষদের একজিকিউটিভ ইঞ্জিনিয়ার পুলক সাহা বলেন, আমি শুনেছি আমাদের এক ইঞ্জিনিয়ারকে গ্রামবাসীদের রোষের মুখে পড়তে হয়েছে। তবে ওই রাস্তাটি পাঁচ বছর আগে তৈরি হয়েছিল। বর্তমানে রাস্তা সংস্কার করার জন্য আমাদের কাছে কোনও প্রকল্প নেই। আমি সমস্ত ঘটনার খোঁজ নিয়ে ব্যবস্থা গ্রহণ করব।
গ্রামবাসী আবদুর রহমান বলেন, পাঁচ বছর আগে নেংরাপীর থেকে রূপাহাটা পর্যন্ত প্রায় পাঁচ কিমি রাস্তা তৈরি হয়। কিছুদিন আগে ঠিকাদার সংস্থা কিছুটা রাস্তার সংস্কার করলেও, দু’দিনের মধ্যেই পিচ উঠে যায়। তারপর তারা রাতের অন্ধকারে মেরামতির কাজ করছিল। জেলা পরিষদের ইঞ্জিনিয়ার সঙ্গে থেকে কাজের ছবি তুলেছিলেন। ঠিকাদার সংস্থাকে না পেয়ে আমরা ইঞ্জিনিয়ারকে আটকে রাখি। রাস্তার কাজ খুব নিম্নমানের সামগ্রী দিয়ে করা হয়েছে। আমরা ইঞ্জিনিয়ারকে দিয়ে মুচলেকা লিখিয়ে নিয়েছি। আমরা চাই জেলা পরিষদ আমাদের বেহাল রাস্তা দ্রুত সংস্কার করার ব্যবস্থা গ্রহণ করুক।
এদিকে জেলা পরিষদ সূত্রে জানা গিয়েছে, বংশীহারির নেংরাপীর থেকে রূপাহাটা পর্যন্ত পাঁচ কিমি রাস্তার কাজ পাঁচ বছর আগে সম্পন্ন হয়েছে। রাস্তার মান পরীক্ষা করতে ঘটনাস্থলে গিয়েছিলেন ইঞ্জিনিয়ার। ওই রাস্তা সংস্কার করার জন্য বর্তমানে কোনও টাকা বরাদ্দ হয়নি। এদিকে এলাকাবাসীরা জানান, বেহাল রাস্তা দিয়ে চলাচল করেন নেংরাপীর, শ্রীরামপুর, শিয়ালডাঙা, ফজিলাপুর, রূপাহাটা গ্রামের কয়েক হাজার বাসিন্দা। তাঁরা সকলেই রাস্তা সংস্কারের দাবি তুলছেন।