বিমাসূত্রে ধনাগম হতে পারে। প্রেম-প্রণয়ে আনন্দ। কাজকর্মে অগ্রগতি ও সুনাম। ... বিশদ
ইসলামপুর পুলিস জেলার সুপার সচিন মক্কর বলেন, দু’জন গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। বিএসএফের বিরুদ্ধে গুলি চালানোর অভিযোগ হয়েছে। তদন্ত চলছে। তদন্তের পরেই পরিষ্কার হবে কে গুলি চালিয়েছে। স্থানীয় বিধায়ক তথা শ্রমদপ্তরের রাষ্ট্রমন্ত্রী গোলাম রব্বানি বলেন, সীমান্ত থেকে ৩-৪ কিমি দূরে গিয়ে বিএসএফ কিছু না বলেই গুলি চালাতে পারে না। এটা খুবই দুঃখজনক ঘটনা। এদিকে বারংবার চেষ্টা করেও বিএসএফের কোনও বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
গোয়ালপোখর পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য তৃণমূল কংগ্রেসের ফরিয়াদ আলম বলেন, গুলিবিদ্ধ দু’জন খুবই সাধারণ ও নিরীহ মানুষ। দেবীগঞ্জ হাট লাগোয়া স্থানে তাঁরা তাস খেলছিলেন। হঠাৎ তাঁদের উপরে হামলা হয়েছে। শুনেছি বিএসএফ গুলি চালিয়েছে। জখম গোপাল বিশ্বাসের দাদা হিমাংশু বিশ্বাস বলেন, আমার ভাই বাড়ি থেকে সামান্য দূরে ছিল। এমন সময় বিএসএফ আচমকা গুলি চালিয়েছে। রাতেই ভাইকে উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। বিএসএফ সূত্রে জানা গিয়েছে, কোকরদহ বিওপির ৬ কিমি’র মধ্যে রয়েছে দেবীগঞ্জ। এই ঘটনার পরে বিএসএফের কমান্ড্যান্টের কাছে তাদের ঊর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষ রিপোর্ট চেয়েছে। কিন্তু এখনও পর্যন্ত কমান্ড্যান্ট রিপোর্ট পাঠাননি। ফলে এই ঘটনায় বিএসএফ যুক্ত আছে কি না তা পরিষ্কার নয়। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, সীমান্তবর্তী দেবীগঞ্জ হাট এলাকার মধ্যে বড় হাট বলেই সকলে জানে। এই এলাকা চোরাকারবারিদের আড্ডা। এলাকায় কাফ সিরাপ ও গবাদিপশু পাচার চক্র সক্রিয়। এই হাটেই অনেক কিছু হাত বদল হয়। জুয়া খেলার আসরও বসে। রাতে হাট সংলগ্ন এলাকায় জুয়া খেলার আসর চলছিল। সেসময় একদল বিএসএফ জওয়ান এলাকা ঘিরে ফেলে। পালানোর চেষ্টা করলে গুলি চালায় বলে স্থানীয়দের অভিযোগ। গুলিতে দু’জন জখম হওয়ায় এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়ায়। অনেকেই আতঙ্কিত হয়ে পড়ে, উত্তেজনাও ছড়ায়। গোয়ালপোখর থানা থেকে পুলিস গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে। বিএসএফের বিরুদ্ধে গুলি চালানোর অভিযোগ হলেও পুলিস এখনও পর্যন্ত তার প্রমান পায়নি। এর ফলে প্রশ্ন উঠছে বিএসএফ নাকি দুষ্কৃতীরা গুলি চালিয়েছে।