বিদ্যার্থীরা পড়াশুনার ক্ষেত্রে বিভিন্ন সুযোগ সুবিধা পাবে। নিজের প্রতি আত্মবিশ্বাস বাড়বে। অতিরিক্ত চিন্তার জন্য উচ্চ ... বিশদ
সভায় বংশীবাবু বলেন, গোটা উত্তরবঙ্গে ৫৪টি খোলাই (মাছ ধরে যেখানে রাখা হয়) রয়েছে। ২০২১ সালে এই খোলাইগুলিকে আর আমরা ওদের দেব না। আপনারা কী বলেন? আমদের খোলাই আমাদের কাছে রাখব। আমার ধানের ওই ৫৪টি বস্তা, আমরাই ঘরে নিয়ে যাব। সভা থেকে আহ্বান জানাচ্ছি, আজ থেকে বাড়ি গিয়ে আর বসে থাকবেন না। ভূমিকম্প তুলুন। এবার আমরা আমাদের টোপলা কেড়ে নেবই। এছাড়া আমাদের ভালো আর ওরা করবেন না। আর আমাদেরও ভালো হওয়ার না। এমন করে ভূমিকম্প তুলুন যাতে ওই দিল্লিওয়ালা, কলকাতাওয়ালা দৌড়ে আসতে বাধ্য হয়। আমাদের অধিকার ফেরৎ দিতে বাধ্য হয়।
সভার শেষে নির্বাচনে দাঁড়ানোর ইঙ্গিত প্রসঙ্গে বংশীবাবুকে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি বলেন, আমরা গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে আমাদের অধিকার কায়েম করার জন্য লড়ব। আগামী ২০২১ সালে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার মাধ্যমে আমরা আমাদের অধিকার ছিনিয়ে নেওয়ার আহ্বান জানালাম। তাহলে কি আপনারা প্রার্থী দেবেন? এই প্রশ্নের উত্তরে বংশীবাবু বলেন, সেই দিন আসুক। তখন অবশ্যই বুঝবেন। আমি যা বলার আকার ইঙ্গিতে বললাম। যা বোঝার আপনার বুঝে গিয়েছেন। যে কোনও মানুষের বাঁচার লড়াই, অধিকার আদায়ের লড়াই সহজে সরল ভাবে হয় না। অধিকার ছিনিয়ে নিতে হয়। গণতান্ত্রিক দেশে গণতান্ত্রিক পদ্ধতির মধ্যে দিয়ে অধিকার ছিনিয়ে নিতে হয়। সেই প্রক্রিয়াতে আমার অধিকার ছিনিয়ে নেওয়ার জন্য আমরা প্রস্তুত হচ্ছি।
সভায় অতুলবাবু বলেন, আমরা দাদার সঙ্গে নেই। দিদির সঙ্গেও নেই। আমরা আছি উত্তরবঙ্গের মানুষের সঙ্গে। আজ নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন উত্তরবঙ্গের মধ্যে লাগু করার একটা প্রক্রিয়া চলছে। আমরা যাঁরা ভূমিপুত্র তারা এর বিরুদ্ধে তীব্র আন্দোলন করার প্রস্তুতি নিচ্ছি। এই আইন চালু হলে এখানকার মাটির মানুষ, ভূমিপুত্ররা তাদের ভাষা, সংস্কৃতি, ইতিহাস, রাজনৈতিক ক্ষমতা, অর্থনৈতিক অধিকার, জীবন ও জীবিকা হারাবেন। ভূমিপুত্ররা কোণঠাসা হয়ে পড়বেন। সব জায়গা থেকে জীবন জীবিকার জন্য অন্য রাজ্যে যেতে হয়। এর জন্য যেমন বাংলা সরকার দায়ী তেমনি কেন্দ্র সরকারও দায়ী। আমরা দু’টি সংগঠন ঐক্যবদ্ধ হয়েছি। উত্তরবঙ্গের আরও যে সমস্ত ভূমিপুত্র সংগঠন রয়েছে, যারা মাটির মানুষের আন্দোলন করে, তারাও ঐক্যবদ্ধ হওয়ার জন্য যৌথ আন্দোলন করার জন্য ইচ্ছা প্রকাশ করেছে। এই মাসের মধ্যেই বৃহত্তর সংগঠন গড়ে যৌথভাবে আন্দোলনে নামব। এই মাটি ভূমিপুত্রদের মাটি। এই মাটিতে দক্ষিণবঙ্গের শাসন করার কোনও অধিকার নেই। আইনগত কোনও এক্তিয়ারও নেই।