পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
শিলিগুড়ির মাটি বামদুর্গ হিসেবেই পরিচিত। কিন্তু গত লোকসভা ভোটে এই মাটিতেই ব্যাপক ফলাফল করে পদ্মশিবির। মোদির হাওয়ায় বিজেপি এখানে অধিকাংশ ওয়ার্ডে লিড পায়। এখন দমকা হওয়ার দাপট কিছুটা নিয়ন্ত্রণ হয়েছে। বর্তমানে এনআরসি, সিএএ’র প্রতিবাদে এবং পুরসভার বিরুদ্ধে নাগরিক পরিষেবা প্রদানে ব্যর্থতার অভিযোগ তুলে লাগাতার আন্দোলন করছে তৃণমূল। ধারাবাহিক লড়াই আন্দোলনের মধ্যদিয়ে ঘাফসুল শিবিরের পালে কিছুটা হাওয়া লেগেছে। এই অবস্থায় আজ, শুক্রবার শিলিগুড়ি পুরসভার আসন সংরক্ষণের খসড়া তালিকা প্রকাশ করবে রাজ্য নির্বাচন কমিশন। রাজনৈতিক দলগুলির ধারণা, অশোকবাবুর জেতা আসন ৬ নম্বর ওয়ার্ড এবার সংরক্ষিত হতে পারে। এই অনুমান মিলে গেলে সিপিএমের ‘ক্যাপটেন’ এবার নিজের জেতা আসনে দাঁড়াতে পারবে না। তাঁকে সেফ সিট খুঁজতে হবে।
পুরভোটে প্রার্থী হওয়া নিয়ে এক প্রশ্নের উত্তরে মেয়র অশোকবাবু বলেন, এই বিষয়ে কিছু বলব না। দলের রাজ্য সম্পাদক মণ্ডলী বিষয়টি ঠিক করবে। তবে আমরা নির্বাচনের জন্য প্রস্তুত আছি। রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের ধারণা, লড়াই কঠিন হবে বুঝতে পেরেই বুক ফুলিয়ে সিপিএমের ‘ক্যাপটেন’ নির্বাচনী ময়দানে প্রার্থী হয়ে দলকে নেতৃত্ব দেওয়ার কথা আগাম ঘোষণা করতে পারছেন না। সিপিএম নেতারা অবশ্য অশোকবাবুর বক্তব্যের মধ্যে অন্যরকম কিছু দেখছেন না।
এদিকে এবার পুরভোটের ময়দান যে মসৃণ নয়, তা মেনে নিয়েছেন সিপিএমের অনেক নেতাই। দলীয় সূত্রের খবর, এখানে দলে চাপা বিরোধ রয়েছে। দলের একাংশ বয়স্কদের সরিয়ে নতুন মুখকে সামনে আনার দাবি তুলেছেন। দলীয় ভোটব্যাঙ্কও কিছুটা হাতছাড়া হয়েছে। স্বভাবতই এবার ভোটের ময়দানে বাউন্স সর্বত্র সমান নয়। কৃষিজমির মতো এবার ময়দানের অনেক জায়গাই উঁচু-নিচু। কাজেই এবারের লড়াই কিছুটা কঠিন। এজন্যই পুরভোটে কংগ্রেসের সঙ্গে জোট করার কথা ভাবা হচ্ছে। জোটে বামফ্রন্টে অন্য শরিকদের পাশাপাশি এসইউসি এবং সিপিআই (এমএল) লিবারেশনকে শামিল করার কথাও ভাবা হয়েছে। অশোকবাবু অবশ্য বলেন, আমাদের কাছে ‘পিকের’ মতো কোনও ব্যক্তি নেই। কিন্তু শহরের বিভিন্নপ্রান্তের বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলে বুঝতে পেরেছি, আমাদের অবস্থা যথেষ্ট ভালো। ভোটে এখানে জোটের ফল ভালো হবে।
রাজ্যে এখন শিলিগুড়িই ‘লালদ্বীপ’ হিসেবে পরিচিত। সৌজন্যে অশোক ভট্টাচার্য। উল্লেখ্য, ১৯৮৮ সালে তিনি পুরভোটের মধ্য দিয়ে সংসদীয় রাজনীতিতে প্রবেশ করেন। ১৯৯১ থেকে ২০১১ সাল পর্যন্ত তিনি মন্ত্রী ছিলেন। ২০১১ সালে বিধানসভা নির্বাচনে পরাজিত হন। ফের ২০১৫ সালে পুরসভার ভোটে দাঁড়িয়ে জয়ী হন। ২০১৬ সালে শিলিগুড়ি বিধানসভা কেন্দ্রের বিধায়ক নির্বাচিত হন। অনেকেই বলেন, প্রতিকূল পরিস্থিতিতে অশোকবাবু ভালো খেলেন। ‘কাঁটা বিছানো’ পথ মারিয়ে তিনি সুষ্ঠুমতো পুরসভাও পরিচালনা করে চলেছেন। তাই এবারও হয়তো নির্বাচনে তাঁকেই পাটি মুখ করবে।