রাজনীতিক ও পেশাদারদের ব্যস্ততা বাড়বে। বয়স্করা শরীর স্বাস্থ্যের প্রতি যত্ন নিন। ধনযোগ আছে। ... বিশদ
রবীন্দ্রনাথবাবু বলেন,এখানে কয়েকজন বন্ধুবান্ধব নিয়ে একাই দলটা শুরু করেছিলাম। দীর্ঘ লড়াই আন্দোলনের পর ধীরে ধীরে সব মানুষ শামিল হয়েছেন।
এখন তো আপনার পাশে অনেকেই নেই, এই প্রশ্নের উত্তরে রবিবাবু বলেন, মানুষ পাশে আছেন। যাঁরা পরামর্শ চাইছেন তাঁদের পরামর্শ দিচ্ছি। যাঁরা আহ্বান জানাচ্ছেন তাঁদের কাছে, তাঁদের কর্মসূচিতে যাচ্ছি।
কাছের মানুষগুলি সব দূর সরে গিয়েছে,অভিমান হয় না?এই প্রশ্নের জবাবে সদাহাস্য রবীন্দ্রনাথবাবু বলেন, অভিমান হয় না এটা বললে মিথ্যে কথা বলা হবে। কিন্তু রাজনীতিতে ওই বস্তটির কোনও দাম নেই। কিন্তু কে কাকে কোণঠাসা করবে? এরপরেই তিনি বলেন, আমি একজন ছোটমাপের কর্মী। একজন সাধারণ কর্মী। কর্মী হিসেবে আমার যা দায়িত্ব পালন করার তা আমি পালন করা চেষ্টা করছি।
গত লোকসভা নির্বাচনে কোচবিহার আসনে বিপুল ভোটে পরাজিত হয়েছিল রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল। দলের প্রার্থীর এই হারের পরেই রবীন্দ্রনাথবাবুকে দলের জেলা সভাপতি থেকে সরে যেতে হয়েছিল। সেই সময় থেকেই জেলায় দলের অন্দরে কোণঠাসা হতে শুরু করেন বর্ষীয়ান এই নেতা। সেই সময়ে জেলার বিভিন্ন কর্মসূচিতে যোগদান করতে গিয়ে বিক্ষোভের মুখেও তাঁকে পড়তে হয়েছিল। এরপরে দল তাঁর জায়গায় বিনয়কৃষ্ণ বর্মনকে দলের জেলা সভাপতির দায়িত্বভার দেন দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এর পরবর্তী সময় থেকেই দলের অন্দরে অনেকটাই কোণঠাসা হয়ে পড়তে দেখা গিয়েছে রবীন্দ্রনাথবাবুকে।
একসময়ে কোচবিহার জেলায় দলকে প্রতিষ্ঠা করতে তিনি কঠিন পরিশ্রম করেছেন একথা তাঁর সমালোচকেরাও প্রকাশ্যে স্বীকার করেন। দিনরাত এককরে যে দলকে তিনি গড়ে তুলেছিলেন সেই দলেই আজ তিনি কোণঠাসা হয়ে পড়েছেন। তাঁর পাশে একসময়ে যে পরিমাণ নেতাদের ভিড় দেখা যেত এখন তার প্রায় সিকি ভাগও নেই। তবুও সকাল থেকে রাত পর্যন্ত দল ও সরকারি নানা অনুষ্ঠানে রবীন্দ্রনাথবাবুকে সক্রিয় থাকতে দেখা যায়। এমনকি অসুস্থ থাকার জন্য চিকিৎসা করার খাতিরে কলকাতায় থাকার সময়ের কয়েক দিন বাদ দিলে সেখান থেকে ফিরে এসেই তিনি দলীয় কর্মসূচিতে যোগ দিয়েছেন। এই পরিস্থিতিতেও রবিবাবুর সাফ কথা, যতদিন বাঁচব ততদিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও তৃণমূল কংগ্রেসের হয়ে লড়াই করে যাব।