পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
বালুরঘাট সদর ডিএসপি ধীমান মিত্র বলেন, মূলত শীতকালে একটু বেশি চুরি হয়। কিন্তু এবারের শীতে বালুরঘাট শহরে কোনও চুরির ঘটনা ঘটেনি। শীতের রাতে আমাদের সিভিক ভলান্টিয়াররা হাতে লাঠি ও প্রতি ৩০ মিনিট অন্তর করে বাঁশি বাজিয়ে নিরাপত্তা দিচ্ছে। এছাড়াও শহরে পুলিসের দু’টি মোবাইল ভ্যান ঘোরাফেরা করে। অ্যান্টি ক্রাইম ভ্যান, মোবাইল ভ্যান, মোটর বাইকে পুলিস ও সিভিকরা নিয়মিত নজরদারি চালাচ্ছে।
শহরের এক বাসিন্দা উৎপল সরকার বলেন, শীতকালে চুরি ও নানা অপরাধমূলক কাজের সংখ্যা বেড়ে যায়। তবে এবারের শীতে তেমন কোনও বড়সড় চুরির ঘটনা সামনে না এলেও ছোটখাট চুরির কথা শুনেছি। তবে পুলিসের নিরাপত্তা বেড়েছে। সেকারণেই এবার হয়ত বড় চুরি ঘটেনি। আমরা সেকারণে একটু স্বস্তি পাচ্ছি। বালুরঘাট ব্যবসায়ী সমিতির সম্পাদক হরেরাম সাহা বলেন, আমাদের দোকানগুলিতে আগে প্রায়ই ছোটখাট চুরি হতো। আমরা পুলিসের কাছে গিয়ে এনিয়ে লিখিত আবেদন জানিয়েছিলাম। এবার শহরে কোনও দোকানে চুরি হয়নি। কিন্তু শহরের বাইরে অনেক চুরি হচ্ছে। সেকারণে আমাদের আশঙ্কা এখনও পুরোপুরি যায়নি।
শহরে সেরকম চুরির ঘটনা না ঘটলেও শহর লাগোয়া অঞ্চলগুলিতে প্রায়ই চুরি হচ্ছে। বালুরঘাটের ডাঙির কলাইবাড়ি এলাকার অলোক বর্মন বলেন, জানুয়ারির শুরুতেই আমার বাড়িতে চোর গাড়ি চুরি করতে এসেছিল। আমরা হাতেনাতে চোরকে ধরে পুলিসের হাতে তুলে দিয়েছি।
প্রসঙ্গত, গরমের তুলনায় শীতেই বেশি চুরি হয়। কখনও বাড়ির গ্রিল ভেঙে টাকা পয়সা চোরেরা নিয়ে যায়। আবার কখনও সরাসরি ভয় দেখিয়ে চুরি ছিনতাই হয়। এছাড়াও বাইক, সাইকেল ও বাড়ির ছোটখাট জিনিসপত্রও প্রতিনিয়ত চুরি হয়। এসব ঘটনা বালুরঘাট শহরে নতুন নয়। কিন্তু এবারের শীতে শহরে এখনও বড় চুরি হয়নি। তবে বেশ কিছুদিন আগে বালুরঘাট শহরে আত্রেয়ী শিবমন্দিরে চুরি হয়। এছাড়াও চকভৃগুর এক দোকানে ছোট চুরি হয়েছে। পুলিস সূত্রে খবর, দিনরাত সব মিলিয়ে বালুরঘাট শহর জুড়ে ৩০-৩৫টি জায়গায় পুলিস পাহারা থাকে। শহরের মধ্যে পুলিসের অ্যান্টি ক্রাইম ভ্যান, মোবাইল ভ্যান, মোটর বাইক মোবাইল সহ নানারকম ভাবে নজরদারি চলছে। রাতে নিরাপত্তা দিতে বালুরঘাটের ২৫টি ওয়ার্ডকে পাঁচটি ভাগে ভাগ করা হয়েছে। সেই ওয়ার্ডগুলির অলি গলিতে সিভিক ও পুলিস মোটর বাইক নিয়ে টহল দেয়। সিভিকের হাতে লাঠি দেওয়া হয়েছে এবং প্রতি ৩০ মিনিট অন্তর বাঁশি বাজিয়ে মানুষকে নিরাপত্তা দিচ্ছে। এছাড়াও শহরে যে সমস্ত এলাকায় আলোর অভাব রয়েছে, যেই জায়গাগুলিতে চিহ্নিত করে বিশেষ নজরদারি চলছে।