কর্মে অগ্রগতি ও নতুন কাজের বরাত প্রাপ্তি। আইটি কর্মীদের শুভ। মানসিক চঞ্চলতার জন্য বিদ্যাচর্চায় বাধা। ... বিশদ
বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিষ্টার দুর্লভ সরকার বলেন, রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের হস্টেলের ছাত্রদের সঙ্গে একটা গোলমাল হয়েছিল বলে শুনেছি। তবে পরিস্থিতি পুরোটাই এখন নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। আমি বাইরে আছি। ফিরে গিয়ে বিষয়টি খতিয়ে দেখে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
আক্রান্ত ছাত্ররা অভিযোগে লিখেছেন, একদল বহিরাগত মদ্যপ অবস্থায় সোমবার রাত নয়টা নাগাদ হোস্টেলে ঢুকে আবাসিকদের মারধর শুরু করে। সেই ঘটনায় কয়েকজন আহত হয়, একজনের মাথা ফেটে যায়। রাতের বেলা বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্তারক্ষীদের বেষ্টনী ভেদ করে ওই দুষ্কৃতীরা হস্টেলে ঢুকে তাণ্ডব চালায়। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বহিরাগত ওই দুষ্কৃতীরা এক প্রভাবশালীর ঘনিষ্ঠ হওয়ায় তাদের মার আবাসিকদের হজম করতে হয়। খবর পেয়ে যখন পুলিস যায়, দুষ্কৃতীরা তখন সেখান থেকে পালিয়ে গিয়েছে।
রায়গঞ্জ বিশ্ববিদ্যালয়ের হস্টেলের মাঠে পর্যাপ্ত আলো না থাকায় প্রতিদিনই সেখানে নেশাখোরদের আনাগোনা হয় বলে অভিযোগ। বাসিন্দারা জানিয়েছেন, ওই মাঠের অন্ধকারে বসে ব্রাউন সুগারের মতো মারণ নেশাও করেন অনেকেই। নিরাপত্তারক্ষী থাকলেও তাদের তোয়াক্কাই করে না দুষ্কৃতীরা। ছাত্রদের নেশায় আসক্ত করতে একটি চক্র এখানে সক্রিয়। হস্টেলের অধিকাংশ ছাত্ররা তাদের ফাঁদে পা না দেওয়ায় এধরনের হামলার ঘটনা ঘটেছে বলে ছাত্রদের একাংশ মনে করছে।
রাতে বহিরাগতরা কিভাবে হোস্টেলে ঢুকে তাণ্ডব চালাল, সেনিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-অশিক্ষক কর্মীদের একাংশ নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। তাঁরা বলেন, হস্টেলে যারা থাকে তারা অধিকাংশ নিম্নবিত্ত পরিবারের সন্তান। কিন্তু যেভাবে দুষ্কৃতীরা সেখানে তাণ্ডব চালাল, তাতে তাদের নিরাপত্তা বলে কিছু নেই। যদিও হামলার ঘটনার পর হস্টেলের আবাসিকরা ভয়ে সংবাদমাধ্যমের কাছেও মুখ খোলার সাহস করেনি। তারা বিশ্ববিদ্যালয় উপাচার্যের কাছে নিরাপত্তা নিশ্চিত করার দাবি জানিয়ে চিঠি দিলেও প্রকাশ্যে কেউ মুখ খুলতে সাহস করছে না। হামলার ঘটনার পর আবাসিকদের পরিবারের লোকরাও রীতিমতো উদ্বেগে রয়েছেন। তারা অনেকেই ছেলেদের হস্টেল ও লেখাপড়া ছেড়ে দিয়ে সন্তানদের ঘরে ফেরারও পরামর্শ দিয়েছেন। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক আক্রান্তদের একাংশ জানিয়েছে, দুষ্কৃতীরা আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে ভয় দেখিয়েছে। খুন করে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে গিয়েছে।