বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
রবিবার বিকালে কালিয়াগঞ্জ শহরের একটি সভাকক্ষে উন্নয়নের রূপরেখা সভায় যোগ দিয়ে রাজীববাবু বলেন, নাগরিকত্ব সংশোধিত আইন এনে আবার একটা মরণ ফাঁদ তৈরি করছে কেন্দ্রের বিজেপি সরকার। আমরা সবাই ভারতের নাগরিক, তারপরও যদি বলে নাগরিকত্বের জন্য আমাদের আবেদন করতে হবে, তাহলে এর জবাব আপনাদের আগামী দিনে দিতে হবে।
তিনি এদিন বলেন, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সবার আগে বলেছেন ‘নো সিএবি’। তার পরপরই দিল্লি, কেরল, মধ্যপ্রদেশ, পাঞ্জাব সহ বিভিন্ন রাজ্য থেকে একই সুরে শোনা গিয়েছে ‘নো সিএবি’।
কালিয়াগঞ্জ বিধানসভা উপনির্বাচনে জয়ের পর রবিবার রাজ্যের বনমন্ত্রী রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়, উত্তরপাড়ার বিধায়ক প্রবীর ঘোষাল কালিয়াগঞ্জে এসে এখানকার বাসিন্দাদের ওই সভা থেকে ধন্যবাদ জানান। বিগত বিধানসভা উপনির্বাচনে কালিয়াগঞ্জের মাটি কামড়ে পড়ে ছিলেন রাজ্যের মন্ত্রী রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় এবং উত্তরপাড়ার বিধায়ক প্রবীর ঘোষাল। মন্ত্রী ও বিধায়ক ওই সময়ে বাসিন্দাদের কাছে ভোট প্রার্থনা করতে গিয়ে বলেছিলেন, আপনাদের ভোটটা ঋণ হিসাবে দিন, আমরা উন্নয়নের মাধ্যমে তা পরিশোধ করে দেব। মানুষ তাঁদের আহ্বানে সাড়া দিয়ে তৃণমূল প্রার্থী তপন দেবসিংহকে নির্বাচিত করেন। মন্ত্রী ওই সময় আশ্বাস দিয়েছিলেন নির্বাচনে আমাদের প্রার্থী জয়ী হলে দুই সপ্তাহের মধ্যেই কালিয়াগঞ্জ এসে এখানকার উন্নয়নের রূপরেখা তৈরি করা হবে। সেই মতোই এদিন মন্ত্রী কালিয়াগঞ্জের জন্য বেশ কিছু উন্নয়নের পরিকল্পনা ঘোষণা করেন। এছাড়াও স্থানীয় দশটি গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকা এবং কালিয়াগঞ্জ পুর এলাকার উন্নয়নের ঢালাও প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। রাজীববাবু বলেন, মুখ্যমন্ত্রী নিজেই এখানে জেলার প্রশাসনিক বৈঠক করতে আসবেন। তিনি কল্পতরু হয়ে আপনাদের এলাকার উন্নয়ন করবেন। তবে দেড় বছর সময় থাকলেও কাজ করার জন্য আমরা এক বছরের বেশি সময় পাব না। সব কাজ করতে না পারলেও উন্নয়ন কাকে বলে সেটা আপনারা দ্রুত বুঝতে পারবেন। তপন দেবসিংহ একজন যোগ্য বিধায়ক। তাঁর মাধ্যমেই কালিয়াগঞ্জের সার্বিক উন্নয়ন হবে। আবেগতাড়িত হয়ে রাজীববাবু এদিন বলেন, আপনাদের ঋণ কোনওদিন শোধ করতে পারব না। আপনাদের আন্তরিকতা কোনওদিন ভুলতে পারব না।
রাজ্যের বনমন্ত্রী এদিন বক্তব্য রাখতে গিয়ে রাজবংশী ভাষায় বলেন, মুই বেশি কথা কইমুনি, কাজের মধ্য দিয়ে আমরা সেটা প্রমাণ করে দেব। সভাকক্ষে উপস্থিত জনতা হাততালিতে মন্ত্রীকে স্বাগত জানান।
উত্তরপাড়ার বিধায়ক প্রবীর ঘোষাল বলেন, আপনারা আমাদের নিজের ঘরের মানুষের মতো বিশ্বাস করেছেন। আমরা আপনাদের সেই বিশ্বাসের মর্যাদা রাখব। মুখ্যমন্ত্রী নিজেই কালিয়াগঞ্জের জন্য উন্নয়নের ডালি নিয়ে আসবেন। ইতিমধ্যে বুনিয়াদপুর থেকে কালিয়াগঞ্জ হয়ে রায়গঞ্জ পর্যন্ত রাস্তা সম্প্রসারণের জন্য প্রায় ২২ কোটি টাকা বরাদ্দ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। এখানে রাস্তা, পানীয় জল, সেচ সহ বিভিন্ন সমস্যার সমাধানে রাজ্য সরকার কাজ করবে।
সদ্য নির্বাচিত বিধায়ক তপন দেবসিংহ বলেন, গত বিধানসভা উপনির্বাচনে আমরা উন্নয়নের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলাম। আমরা এখান থেকে পরিকল্পনা রাজীববাবুর মাধ্যমে রাজ্য সরকারের কাছে পাঠাব। আশা করছি কালিয়াগঞ্জে উন্নয়নকে আমরা এগিয়ে নিয়ে যেতে পারব।