পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল আইনে পরিণত হয়েছে। এরপরই সর্বত্র জোর আলোচনা শুরু হয়েছে। রায়গঞ্জ শহরের চিকিৎসক জয়ন্ত ভট্টাচার্য বলেন, এই আইন পাশ করার পর স্বাভাবিক ভাবেই একটা হিংসার বাতাবরণের আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। তবে চাইব সবাই শান্তিপূর্ণভাবে এই আইনের বিরোধিতা করুক। এদিকে যেমন এই আশঙ্কা রয়েছে, তেমনি আবার এর বিরুদ্ধ মতও রয়েছে। রায়গঞ্জ বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক দেবাশিস বিশ্বাস যেমন মনে করেন এর ফলে জেলায় অশান্তি হবে না। তিনি বলেন, দেশের একটা বড় অংশের মানুষ চাইছিলেন নাগরিকত্ব সংশোধন আইন আসুক। কারণ শরণার্থী এবং অনুপ্রবেশকারীদের মধ্যে ফারাক থাকা প্রয়োজন। বর্তমানে এই বিলটি আইনে পরিণত হয়েছে। এর ফলে ভারতবাসীর উন্নতি হবে। আমাদের জেলাকে আমি যেভাবে চিনি তাতে কোনওরকম হিংসা ছড়াবে না।
রায়গঞ্জ বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের অধ্যাপিকা অর্পিতা রায়চৌধুরী বলেন, নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের ফলে হিংসা ছড়াক তা মোটেও কাম্য নয়। আমি চাই মানুষ নির্ভাবনায় জীবনযাপন করুক। কোনওভাবেই যেন অশান্তির বাতাবরণ তৈরি না হয়। দেশে কিছু কিছু জায়গা অশান্ত হয়ে উঠেছে। আমাদের এলাকায় যেন এধরনের কোনও ঘটনা না ঘটে।
রায়গঞ্জ পুলিস জেলার সুপার সুমিত কুমার বলেন, আমরা আমাদের গোয়েন্দা বিভাগকে বিশেষ করে সক্রিয় করেছি। কোনওভাবেই যাতে কেউ এই আইন নিয়ে অশান্তি ছড়ানোর চেষ্টা না করে সেজন্য আমরা সজাগ রয়েছি। রায়গঞ্জ পুলিস জেলার অন্তর্গত সমস্ত থানাকে সক্রিয় থাকার ব্যাপারে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
উত্তর দিনাজপুর জেলা বরাবরই সংখ্যালঘু প্রধান। ফলে নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন নিয়ে তাদের মধ্যে একটা ভীতি তৈরি হয়েছে। পাশাপাশি এই আইনের ভালো বা খারাপ দিক সম্পর্কে মানুষ পুরোপুরি না জানার ফলেই আতঙ্ককে কাজে লাগিয়ে হিংসা ছড়ানোর চেষ্টা হতে পারে বলে মনে করছে বুদ্ধিজীবী মহল। তবে সব মিলিয়ে এই আইন নিয়ে কোথাও যাতে অশান্তি না ছড়ায় সেদিকে নজর রাখার দাবি জানিয়েছেন তাঁরা।