বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
অসমের অনেক ব্যবসায়ী ব্যবসার জন্য প্রতিদিন বারোবিশাতে আসেন। আবার বারোবিশার ব্যবসায়ীরাও ব্যবসার জন্য অসমের বিভিন্ন জায়গায় যেতেন। কিন্তু গণ্ডগোলের জন্য দু’দিকের ব্যবসায়ীদের ব্যবসা-বাণিজ্য প্রায় বন্ধ হয়ে গিয়েছে। এদিকে, অসমের বিভিন্ন জায়গা থেকে ক্রেতারা তাদের নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্র কেনাকাটা করতে প্রতিদিনই বারোবিশা শহরে আসতেন। অসমের দিকে যান চলাচল কম থাকার জন্য অসমের ক্রেতাদের বর্তমানে বারোবিশায় আর দেখা পাওয়া যাচ্ছে না। বারোবিশা শহরের রাস্তাঘাট অনেকটাই ফাঁকা হয়ে রয়েছে।
বারোবিশা ব্যবসায়ী সমিতির সম্পাদক কার্তিক সাহা বলেন, গত তিনদিনে বারোবিশার ব্যবসা একেবারেই হয়নি। প্রায় ৪০ লক্ষ টাকার ক্ষতি হয়েছে। কারণ বারোবিশার ব্যবসা বাণিজ্য অসমের উপরেই নির্ভরশীল। বারোবিশা ব্যবসায়ী সমিতির সদস্য উৎপল সরকার বলেন, দিনের বেলাতে অসমের কিছু ক্রেতা বারোবিশাতে কেনাকাটার জন্য এলেও, সন্ধ্যের পর ভয়ে তাঁরা আর বাড়ি থেকে বের হচ্ছেন না। ব্যবসায়ীরা দোকানপাট খুলে বসে রয়েছেন। গত বুধবারের পর থেকে ব্যবসা একেবারেই হয়নি। আমরা চাই অবস্থা আগের মতো স্বাভাবিক হয়ে যাক। এভাবে চলতে থাকলে আগামী দিনে বারোবিশার ব্যবসাবাণিজ্য জোর ধাক্কা খাবে।
একইভাবে বারোবিশা সংলগ্ন কামাখ্যাগুড়ির ব্যবসাও মার খাচ্ছে। অসমের পাইকারি সব্জি ব্যবসায়ীরা কামাখ্যাগুড়ির সব্জি বাজার থেকে প্রতিদিন সকালে সব্জি কিনে নিয়ে যেতেন। ওই সব্জিগুলি তাঁরা অসমের বিভিন্ন বাজারে বিক্রি করতেন। ট্রেন চলাচল বন্ধ থাকার জন্য তাঁরা এখন আর কামাখ্যাগুড়িতে আসছেন না। যার ফলে কামাখ্যাগুড়ির সব্জি ব্যবসায়ীরাও ক্ষতির মুখে পড়েছেন।
কামাখ্যাগুড়ি ব্যবসায়ী কল্যাণ সমিতির সম্পাদক প্রাণকৃষ্ণ সাহা বলেন, কামাখ্যাগুড়িতে প্রতিদিন সকালে সব্জির পাইকারি বাজার বসে। ট্রেন চলাচল বন্ধ থাকার জন্য অসমের ব্যবসায়ীরা গত তিনদিন ধরে আর কামাখ্যাগুড়িতে আসছেন না। যার ফলে কামাখ্যাগুড়ি সহ আশপাশের সব্জির ব্যবসায়ীদের আগের মতো আর ব্যবসা হচ্ছে না। তিনদিনেএখানে প্রায় ৪০ লক্ষ টাকার ব্যবসা মার খেয়েছে।
অসমের কচুগাঁও, শ্রীরামপুর, মকরাইগাঁও, তুলসীবিল, গোসাঁইগাঁও সেরফাংগুড়ি সহ অন্যান্য জায়গাগুলি থেকে প্রচুর ব্যবসায়ী বারোবিশার বাজারে এসে দোকান সাজিয়ে বসতেন। আবার বারোবিশা শহর সংলগ্ন অসমের বাসিন্দারাও তাঁদের নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্র প্রতিদিনই বারোবিশা থেকে কেনাকাটা করে নিয়ে যেতেন। তাঁরা তিনদিন থেকে বারোবিশায় পা রাখছেন না। প্রতি সোমবার বারোবিশা বাজারে সাপ্তাহিক বড় হাট বসে। ব্যবসা করার জন্য অসমের প্রচুর ব্যবসায়ী বারোবিশার হাটে এসে ভিড় জমাতেন। আজ সোমবার এই সাপ্তাহিক হাট আর জমবে না বলেই বারোবিশার ব্যবসায়ীরা ধরে নিয়েছেন।