রাজনীতিক ও পেশাদারদের ব্যস্ততা বাড়বে। বয়স্করা শরীর স্বাস্থ্যের প্রতি যত্ন নিন। ধনযোগ আছে। ... বিশদ
রবিবার সকালে ভারত ও বাংলাদেশের রপ্তানি ও আমদানির সঙ্গে যুক্ত ব্যবসায়ীরা দুই দেশের অন্তর্বর্তী জিরো পয়েন্টে পাথর রপ্তানি সমস্যা নিয়ে বৈঠকে বসেন। তবে এদিনের দীর্ঘ আলোচনাতেও কোনও সমাধান সূত্র বেরিয়ে আসেনি বলে মহদিপুর এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে। তবে বাংলাদেশের আমদানিকারকদের কাছ থেকে পাওয়া প্রস্তাব নিয়ে আলোচনার জন্য আজ, সোমবার একটি সাধারণ সভা ডাকা হয়েছে এদেশের ব্যবসায়ীদের সংগঠনের পক্ষ থেকে।
উল্লেখ্য, প্রায় এক মাসেরও বেশি সময় ধরে ভারত–বাংলাদেশের মধ্যে মহদিপুর সীমান্ত দিয়ে পাথরকুচি রপ্তানি বন্ধ রয়েছে। ব্যবসায়ীদের তরফ থেকে জানানো হয়েছে যে বাংলাদেশের পানামা পোর্ট লিঙ্কে পাথর বোঝাই লরিগুলি খালি করার খরচ এক ধাক্কায় প্রায় দশ গুণ বেড়ে যাওয়ায় রপ্তানি বন্ধ হয়ে যায়। এতদিন পর্যন্ত এই সমস্যাটাই সামনে ছিল। কিন্তু এদিনের বৈঠকে নতুন করে উঠে এসেছে পাথরকুচির দামের প্রসঙ্গও। এই দাম নিয়ে দরাদরি পাথর বাণিজ্যের ক্ষেত্রে নতুন সমস্যা তৈরি করতে পারেই বলে ধারণা ওয়াকিবহাল মহলের।
মহদিপুর এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের কার্যকরী সভাপতি ফজলুল হক বলেন, পাথরকুচি রপ্তানি নিয়ে তৈরি হওয়া সাম্প্রতিক জটিলতা কাটাতেই এদিনের বৈঠক হয়েছে। ভারতের রপ্তানিকারকদের একটি প্রতিনিধি দল ও বাংলাদেশের আমদানিকারকদের প্রতিনিধিরা এদিনের বৈঠকে অংশ নেন। কোনও সমাধান সূত্র বের হয়নি। পাথরকুচি রপ্তানি আপাতত বন্ধই থাকছে।
এদিনের বৈঠকে বাংলাদেশের সোনা মসজিদ আমদানিকারকদের পক্ষ থেকে ওই সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক তৌফিউর রহমান, বাংলাদেশের ক্লিয়ারিং অ্যান্ড ফরোয়ার্ডিং এজেন্ট কল্যাণ সমিতির প্রতিনিধি সোহেল আহমেদ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
অন্যদিকে মহদিপুর এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের পক্ষ থেকে সংগঠনের কার্যকরী সভাপতি ছাড়াও সম্পাদক প্রসেনজিৎ ঘোষ, ক্লিয়ারিং অ্যান্ড ফরোয়ার্ডিং এজেন্টদের প্রতিনিধি ভূপতি মণ্ডল প্রমূখ ওই বৈঠকে অংশ নেন।
প্রসেনজিৎ ঘোষ বলেন, মাল নামানোর খরচ বেড়ে যাওয়াটা একটি বড় সমস্যা। একই সঙ্গে বাংলাদেশের আমদানিকারকরা আবার পাথরকুচির দাম কমানোর কথা বলছেন। প্রতি টনে ভারতীয় মুদ্রায় ৫ টাকা থেকে ৬ টাকা পর্যন্ত দাম কমানোর প্রস্তাব দিয়েছেন তাঁরা। এদিনের বৈঠকে ব্যবসা আবার চালু করা নিয়ে শেষ পর্যন্ত কোনও সিদ্ধান্ত হয় নি।
সোমবার সকালে মালদহ শহরে মহদিপুর এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের সদস্যদের একটি সাধারণ সভা ডাকা হয়েছে। এই সংগঠনের প্রায় ৬০০ সদস্য রয়েছেন। তাঁরা বাংলাদেশের আমদানিকারকদের দেওয়া প্রস্তাব নিয়ে আলোচনা করবেন বলে সংগঠন সূত্রে জানানো হয়েছে। তবেএদিনের বৈঠকে সমাধান সূত্র বেরিয়ে না এলেও সমস্যার দ্রুত সমাধান হবে বলেই আশাবাদী দুই পক্ষই।
উল্লেখ্য, মহদিপুর দিয়ে প্রতিদিন সব্জি, আনাজ, ফল, পাথরকুচি সহ বিভিন্ন জিনিস রপ্তানি করতে বাংলাদেশে যায় দুই শতাধিক লরি। এরমধ্যে ১২৫-১৫০ লরি শুধু পাথর নিয়েই বাংলাদেশে। একেকটি লরিতে ৪০-৫০ টন পাথর বোঝাই থাকে। এই গাড়িগুলি ঝাড়খণ্ডের পাকুড় ও সাহেবগঞ্জ জেলার বিভিন্ন জায়গা থেকে এই পাথর সংগ্রহ করে। মহদিপুর স্থলবন্দর কাছাকাছি থাকায় ঝাড়খণ্ড থেকে পাথর বোঝাই লরিগুলি এখান দিয়েই বাংলাদেশে রপ্তানি করে থাকে। বাংলাদেশের পানামা পোর্ট লিঙ্কে গিয়ে এই পাথরগুলি নামিয়ে দেওয়া হয়।