দীর্ঘমেয়াদি সঞ্চয় ও ব্যবসা থেকে অর্থাগম যোগ। প্রেমের প্রস্তাব পেতে পারেন। পুজো পাঠে মন। ... বিশদ
দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার কুমারগঞ্জ ব্লক মূলত মুসলিম অধ্যুষিত এলাকা। এই এলাকা থেকে লড়াই করে উঠে আসা মফিজউদ্দিন সাহেব দীর্ঘদিন ধরে জেলা রাজনীতিতে পরিচিত মুখ। তৃণমূলের সংগঠন কিষাণ খেত মজুরের দক্ষিণ দিনাজপুরের জেলা সভাপতি ছিলেন। তৃণমূলের টিকিটেই গত পঞ্চায়েত নির্বাচনে তিনি কুমারগঞ্জ থেকে জেলা পরিষদের প্রার্থী হয়ে ভোটে লড়েন ও জয়লাভ করে পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ হয়েছিলেন। কয়েক মাস আগে তিনি বিপ্লব মিত্রের হাত ধরে বিজেপিতে যোগদান করেন। স্থানীয় রাজনৈতিক মহলের মতে, জেলা পরিষদের বিজেপির সভাধিপতি ও গেরুয়া শিবিরের সদস্যদের পরিচালনা করতেন মফিজউদ্দিন মিঁয়াই। স্বাভাবিকভাবেই তিনি বিজেপি ছেড়ে দেওয়ায় বেশ চাপে পড়তে হতে পারে গেরুয়া শিবিরের জেলা সংগঠনকে।
জেলা পরিষদের পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ মফিজউদ্দিন মিঁয়া এদিন বলেন, নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের নামে দেশে যে অস্থিরতা তৈরি হয়েছে, তা কোনওভাবে মেনে নেওয়া যায় না। আমি বিজেপিতে গিয়েছিলাম নরেন্দ্র মোদীর আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে। তিনি বলতেন, ‘সবকা সাথ সবকা বিকাশ’। কিন্তু বিজেপি এখন আর সবার পাশে নেই। দেশে ধর্মীয় ভেদাভেদ সৃষ্টি করতে চাইছে। আমি বরাবর সকল মানুষকে নিয়ে চলেছি। তাই এই আইনের প্রতিবাদ জানিয়ে বিজেপি দল ত্যাগ করলাম। এই মুহূর্তে অন্য দলে যোগদান করছি না। আপাতত কোন দলে যাব তা নিয়ে কোনও চিন্তা ভাবনাও নেই। নির্দল হয়ে কৃষকদের নিয়ে আগামীতে কাজ করতে চাইছি।
এদিকে ব্যাপারটিকে পাত্তাই দিতে চাইছে না জেলা তৃণমূল। তৃণমূলের দক্ষিণ দিনাজপুরের জেলা সভানেত্রী অর্পিতা ঘোষ বলেন, মফিজউদ্দিন মিঁয়া কে? তাঁকে নিয়ে আমাদের কোনও ভাবনা নেই। তিনি কোথায় যাচ্ছেন, কোন দলত্যাগ করছেন, আমাদের এগুলো নিয়ে ভাবার সময় নেই।
বিজেপির দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা সভাপতি বিনয় বর্মন বলেন, মফিজ সাহেব আমাদের নীতি ও আদর্শ মেনে নিতে পারেননি। তিনি পদের দাবি তুলেছিলেন। আমাদের দলে অনেক নিয়ম রয়েছে। সব কিছু নিয়ম মেনেই হয়। তিনি কাঙ্খিত সেই পদ পাননি বলে চলে গিয়েছেন। তিনি আমাদের দলের সক্রিয় কর্মী ছিলেন না। তিনি দল ত্যাগ করাতে আমাদের কিছু যায় আসে না।
নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনে নিয়ে দেশ জুড়ে প্রতিবাদ চললেও দক্ষিণ দিনাজপুর জেলায় সেইভাবে এখনও তার আঁচ এসে পড়েনি। তবে বিল পাশ হয়ে আইন হতেই জেলা পরিষদের বিজেপির পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ মফিজউদ্দিন মিঁয়া দলত্যাগ করায় রাজনৈতিক মহলে শোরগোল পড়ে গিয়েছে।