গৃহে শুভকর্মের প্রস্তুতি ও ব্যস্ততা। হস্তশিল্পীদের নৈপুণ্য ও প্রতিভার বিকাশে আয় বৃদ্ধি। বিদ্যায় উন্নতি। ... বিশদ
এব্যাপারে মালদহ টাউন স্টেশনের স্টেশন ম্যানেজার দিলীপ চৌহান বলেন, শুক্রবার সকালে আপ ব্রহ্মপুত্র মেল প্রায় দুই ঘণ্টা ধরে মালদহ টাউন স্টেশনে দাঁড়িয়েছিল। পাশাপাশি আপ কামরূপ এবং কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেস এদিন বাতিল করা হয়েছে। ফলে যাত্রীদের একটু সমস্যায় পড়তে হয়েছে। যাত্রীদের যাতে ভোগান্তি পোহাতে না হয় সেদিকে আমরা নজর রাখছি।
মালদহ টাউন জিআরপি’র আইসি ভাস্কর প্রধান বলেন, আমরা পরিস্থিতির উপর নজর রাখছি। যাত্রীদের কোনও সমস্যা যাতে না হয় তা দেখা হচ্ছে।
উল্লেখ্য, সংসদের দুই কক্ষে নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল পাশ হওয়ার পর থেকেই দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের রাজ্যগুলোতে হিংসাত্মক পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। একের পর এক জেলায় হিংসা ছড়িয়ে পড়ে। সেই হিংসার আঁচ লেগেছে ওই সব রাজ্যের রেল পরিষেবাতেও। বিভিন্ন স্টেশন থেকে যাত্রীরা বাইরে বের হতে পারছেন না। ট্রেন থেকে নেমে যাত্রীরা গন্তব্যে পৌঁছতে পারছেন না। বহু ট্রেন বিভিন্ন স্টেশনে দাঁড়িয়ে থাকছে। ফলে তার প্রভাব এরাজ্যের সীমান্তবর্তী স্টেশনগুলোতেও পড়েছে। উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন স্টেশনে দূরপাল্লার এক্সপ্রেস ও মেল ট্রেন দাঁড়িয়ে থাকার খবর পাওয়া যাচ্ছে। দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে উত্তর-পূর্বের রাজ্যগুলিতে যাওয়ার ট্রেনগুলি দাঁড় করিয়ে রাখা হচ্ছে। যাত্রীরা যাতে ওই সব রাজ্যে গিয়ে অস্বস্তিকর পরিস্থিতির মধ্যে না পড়েন, সেজন্যই ট্রেনগুলিকে নিরাপদ জায়গায় দাঁড় করিয়ে রাখা হচ্ছে বলে জানা গিয়েছে।
এদিকে মালদহের অনেকে উত্তর-পূর্বের বিভিন্ন চা বাগিচায় কাজ করতে যান। সেজন্য অনেকেই আগাম টিকিট কেটে রেখেছিলেন। বর্তমান পরিস্থিতিতে সংরক্ষিত কামরার ওইসব টিকিট বাতিল করতে তাঁরা উঠেপড়ে লেগেছেন। কারণ হিংসাত্মক পরিস্থিতির মধ্যে গিয়ে পড়তে তাঁরা রাজি নন। নাগরিক সংশোধনী বিল, আইনে পরিণত হয়ে যাওয়ার পরবর্তী পরিস্থিতি নিয়ে তাঁদের মধ্যেও আতঙ্ক ছড়িয়েছে।
মানিকচকের বাসিন্দা সুবীর মণ্ডল, ইসমাইল শেখরা বলেন, ডিসেম্বর মাসের শেষ সপ্তাহে আমাদের অসমে যাওয়ার কথা ছিল। সেখানকার একটি রাইস মিলে আমরা শ্রমিকের কাজ করতাম। এবার গিয়ে রাইস মিল স্বংলগ্ন একটি চা বাগানে আমাদের কাজ করার কথা ছিল। কিন্তু এখন তা অবস্থা তাতে আমরা অসমে যেতে ভয় পাচ্ছি। ফলে ট্রেনের টিকিট এদিন বাতিল করে দিয়েছি। আমাদের কয়েকজন বন্ধু অসমে কাজ করছিল। তারা ভয় পেয়ে সেখান থেকে ফিরে আসছে। তাদের ট্রেন বিভিন্ন স্টেশনে তিন থেকে চার ঘণ্টা করে দাঁড়িয়ে থাকছে। বিষয়টি নিয়ে তাদের পরিবারের লোকজনও যথেষ্ট উদ্বিগ্ন।