পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
জলপাইগুড়ি জেলা তৃণমূল যুব কংগ্রেসের সভাপতি সৈকত চট্টোপাধ্যায় বলেন, কেন্দ্রীয় সরকার জলপাইগুড়ি তথা এই রাজ্যের স্বার্থের বিরোধী। তাই তারা জলপাইগুড়ি টাউন স্টেশনের মত একটা হেরিটেজ স্টেশন থেকে দার্জিলিং মেলের সংযোগকারী কামরা দু’টি তুলে দিতে চাইছে। যে স্টেশন থেকে ঐতিহ্যবাহী ট্রেনটি তুলে নেওয়া হয়েছে সেই স্টেশনে স্টেশন সুপারিনটেনডেন্টের বসার কোনও প্রয়োজনীয়তা নেই। তাই আমরা তাঁর ঘরে তালা দিয়ে দিয়েছি। এখান থেকে দার্জিলিং মেলের সংযোগকারী কামরার চলাচল বন্ধ করে দেওয়ার প্রচেষ্টার বিরুদ্ধে স্টেশনে থাকা তিস্তা-তোর্ষা এক্সপ্রেস আটকে দিয়েছি।
জলপাইগুড়ি টাউন স্টেশনের সুপারিনটেনডেন্ট নিতাই দাস বলেন, আমার ঘরে তালা মারা হয়েছিল। আন্দোলনকারীরা দার্জিলিং মেলের সংযোগকারী কামরা তুলে না নেওয়ার দাবিতে স্মারকলিপি দিয়েছেন। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে সমস্ত বিষয়টি জানিয়েছি।
জলপাইগুড়ি জেলা বিজেপি সভাপতি বাপী গোস্বামী বলেন, দার্জিলিং মেলের সংযোগকারী কামরা দু’টি যাতে বন্ধ না হয়ে যায়, সেজন্য জলপাইগুড়ির সংসদ সদস্য জয়ন্ত রায় দিল্লির রেল ভবনে রেল কর্তাদের সঙ্গে দেখা করেছেন। ওই সুবিধা যাতে বন্ধ না হয়ে যায় সেজন্য তিনি চেষ্টা করছেন। আমরাও দলগতভাবে রেলমন্ত্রীকে আবেদন করছি যাতে তা বন্ধ না হয়।
ইংরেজ আমলে হলদিবাড়ি হয়ে বাংলাদেশের মধ্য দিয়ে দার্জিলিং মেল কলকাতা যেত। দেশভাগের পরে এই রুটটি বন্ধ হয়ে যায়। এনজেপি থেকে কলকাতা পর্যন্ত চলত ট্রেনটি। পরবর্তীতে ঐতিহ্যবাহী এই ট্রেনটির সঙ্গে হলদিবাড়ি থেকে যাওয়া দু’টি সংযোগকারী কোচ লাগানো হয়। সেই সংযোগকারী কোচ দু’টি হলদিবাড়ি থেকে জলপাইগুড়ি টাউন স্টেশনের উপর দিয়ে এনজেপি স্টেশনে যায়। তারপর সেই কোচ দুটি এনজেপিতে অবস্থিত দার্জিলিং মেলের সঙ্গে যুক্ত করা হয়। তারপরে কলকাতার উদ্দেশ্যে রওনা দেয় ট্রেনটি। রেল কর্তাদের দাবি, হলদিবাড়ি এলাকায় বর্তমানে ওই কামরা দু’টিতে নিয়মিত প্যাসেঞ্জার হচ্ছে না। কোচ দুটির সংস্কার করার প্রয়োজন। তাই ১০ এপ্রিল থেকে সংযোগকারী কামরা দুটি তুলে নেওয়া হবে। রেল কর্তাদের এই সিদ্ধান্ত প্রকাশ্য আসতেই ক্ষোভ প্রকাশ করে সাধারণ মানুষ। জলপাইগুড়ি শহরের উপর দিয়ে মাত্র এতদিন কলকাতাগামী মাত্র তিনটি এক্সপ্রেস ট্রেন যাতায়াত করত। দার্জিলিং মেলের সংযোগকারী কামরা দু’টি তুলে নেওয়া হলে পড়ে থাকবে কেবল তিস্তা তোর্ষা এক্সপ্রেস ও হলদিবাড়ি সুপারফাস্ট। কলকাতা যাতায়াতের ক্ষেত্রে সমস্যায় পড়বেন সাধারণ মানুষ।