বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
কোচবিহার-১’র প্রাক্তন ব্লক সভাপতি খোকন মিঁয়া বলেন, আমার সঙ্গে দলের প্রাক্তন জেলা সভাপতি রবিবাবুর ভালো সম্পর্ক থাকার জন্য দক্ষিণ বিধানসভা কেন্দ্রের কমিটিতে রাখা হল না। ওই বিধানসভা এলাকায় পাঁচজন মহিলা গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধানকেও নবগঠিত কমিটিতে রাখা হয়নি। তাছাড়াও পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি চন্দ্রকান্ত রায়ও ওই কমিটিত ঠাঁই পাননি। জেলা নেতৃত্ব দলের সংগঠনকে গুরুত্ব না দিয়ে নিজেদের ইচ্ছেমতো লোককে কমিটিতে রেখেছে। এই নিয়ে আমি রাজ্য নেতৃত্বের কাছে লিখিত অভিযোগ জানাব। রাজ্য নেতৃত্বকে জানানোর পর কোনও প্রতিকার না হলে অন্য কোনও দলে যাওয়ার সম্ভাবনা আছে কি না, সেনিয়ে অবশ্য ওই বিক্ষুব্ধ তৃণমূল নেতা মুখ খোলেননি।
যদিও কোচবিহার দক্ষিণ বিধানসভা কেন্দ্রের কমিটি গঠন নিয়ে কোনও কোন্দল নেই বলে জানিয়েছেন বর্তমান জেলা সভাপতি বিনয়কৃষ্ণ বর্মন। তিনি বলেন, দলে কোনও দ্বন্দ্ব নেই। কমিটিতে নাম থাকা না থাকার বিষয়টি ওই এলাকার বিধায়কই বলতে পারবেন।
কোচবিহার দক্ষিণ বিধানসভা কেন্দ্রের বিধায়ক মিহির গোস্বামী বলেন, এখানে গ্রুপবাজির কোনও ব্যাপার নেই। ব্লকে দু’টি বিধানসভা কেন্দ্র রয়েছে। সেখানে যাঁর বাড়ি সেখানে তাঁকে সেই বিধানসভার কমিটিতে রাখা হবে। খোকন মিঁয়া নাটাবাড়ি বিধানসভা কেন্দ্রের কমিটিতে রয়েছে। একজন দুই কমিটিতে থাকবে এটা হয় না।
তৃণমূল কংগ্রেসের প্রাক্তন জেলা সভাপতি রবীন্দ্রনাথ ঘোষ বলেন, এনিয়ে আমি কোনও মন্তব্য করব না।
কোচবিহার জেলায় তৃণমূলের অন্দরে গোষ্ঠী কোন্দল অবশ্য নতুন নয়। এর আগে একাধিকবার বর্তমান জেলা সভাপতি বিনয়কৃষ্ণ বর্মনের সঙ্গে প্রাক্তন জেলা সভাপতি রবীন্দ্রনাথ ঘোষের কোন্দল প্রকাশ্যে এসেছে। দক্ষিণ বিধানসভার তৃণমূল বিধায়ক মিহির গোস্বামী ও রবীন্দ্রনাথ ঘোষের সম্পর্ক তো আদায় কাঁচকলায়। দীর্ঘদিন তৃণমূলের ওই দুই নেতাকে একমঞ্চে দেখা যায়নি। দলের অন্দরের খবর, এবার কোচবিহারে লোকসভা নির্বাচনে তৃণমূল প্রার্থী পরেশচন্দ্র অধিকারীর ভোটে হেরে যাওয়ার পিছনে দলীয় গোষ্ঠী কোন্দলকেই দায়ী করেছেন জেলা তৃণমূল নেতাদের একাংশ।