দীর্ঘমেয়াদি সঞ্চয় ও ব্যবসা থেকে অর্থাগম যোগ। প্রেমের প্রস্তাব পেতে পারেন। পুজো পাঠে মন। ... বিশদ
তৃণমূলের বুথ সভাপতি যামিনী রায় বলেন, এদিন নিয়ম মেনে ১০০ দিনের কাজে নিযুক্ত শ্রমিকদের দিয়ে আমরা রাস্তার কাজ শুরু করি। কিন্তু কাজ শুরুর কিছুক্ষণের মধ্যেই বিজেপি আশ্রিত কিছু দুষ্কৃতী আচমকা কাজের জায়গায় এসে গালাগাল শুরু করে। লাটিসোঁটা নিয়ে এসে ওরা শ্রমিকদের মারধর করে। এলাকা থেকে চলে যেতে আমাকে নানাভাবে বিজেপির লোকজন হুমকি দেয়। আমাকে হেনস্তাও করে। পরে সেখান থেকে চলে আসি।
বিজেপির স্থানীয় বুথ সভাপতি সুশীল বর্মন বলেন, আমরা কাউকে হুমকি দিইনি। আমরা শুধু বলেছি, বেছে বেছে তৃণমূলের লোকজনকে রাস্তার কাজে নেওয়া চলবে না। এলাকার সাধারণ শ্রমিকদের কাজ দিতে হবে। এখন ওরা আমাদের নামে মিথ্যা অভিযোগ করছে।
কয়েকদিন আগেও এলাকার অন্য একটি মাটির রাস্তার কাজ বিজেপির লোকজনের বিরুদ্ধে বন্ধ করে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছিল। এদিন গেন্দুগুড়িতে ১০ নম্বর সংসদের বনচুকিরপাড় থেকে খামাত পর্যন্ত মাটির রাস্তার সংস্কারের জন্য ১০০ দিনের প্রকল্পে নিযুক্ত শ্রমিকরা কাজ শুরু করেন। অভিযোগ, কাজ শুরুর কিছু পরেই বিজেপির লোকজন লাটিসোঁটা নিয়ে এলাকায় ঢুকে। তাঁদের বিরুদ্ধে শ্রমিকদের হুমকি দিতে কাজ বন্ধ করে দেওয়ার অভিযোগ ওঠে। ওই সময়ে সেখানে তৃণমূলের বুথ সভাপতি সহ কয়েকজন তৃণমূলকর্মীও উপস্থিত ছিলেন। দু’পক্ষের মধ্যে তুমুল বচসা শুরু হলে এলাকায় উত্তেজনা ছড়ায়। পরে শ্রমিকরা ভয়ে কাজ বন্ধ রেখে বাড়ি চলে যান।
অপরদিকে বৃহস্পতিবার রাতে গোলকগঞ্জ বাজার থেকে এলংমারিতে নিজের বাড়ি ফেরার পথে আশুতোষ সাহা নামে এক তৃণমূল কর্মীকে বিজেপির বিরুদ্ধে বেধড়ক মারধর করার অভিযোগ ওঠে। এনিয়ে আশুতোষবাবুর পরিবারের লোকেরা মাথাভাঙা থানায় লিখিতভাবে অভিযোগ জানিয়েছেন। গুরুতর জখম আশুতোষ সাহা বর্তমানে মাথাভাঙা মহকুমা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। যদিও তাদের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ অস্বীকার করেছে বিজেপি।
বিজেপির কোচবিহার জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক অভিজিৎ বর্মন বলেন, তৃণমূলের কাউকে মারধর কেউ করেনি। ওরা মদ্যপ অবস্থায় নিজেদের মধ্যে ঝামেলা জড়িয়ে পড়েছিল। এখন আমাদের বদনাম করছে। তৃণমূলের স্থানীয় নেতারা বলেন, নানা ইস্যুতে ওরা এখন ব্যকফুটে চলে যাচ্ছে। তাই তৃণমূলকে দাবিয়ে রাখতে এসব করছে।