কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
মন্ত্রী বলেন, দেড় বছর ধরে রাজ্য জুড়ে আদিবাসীদের রক্তের নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষা করা হচ্ছে। এখন অবধি ৫৮ হাজার নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। সেই নমুনার মধ্যে ১৯ হাজারের ফলাফল এসেছে। সেই ফলাফলে দেখা গিয়েছে ৪৮ শতাংশ আদিবাসী রক্তাল্পতায় ভুগছেন। মাত্র ১৯ শতাংশ আদিবাসী সম্পূর্ণ সুস্থ রয়েছেন। তাঁদের রোগের উপর ভিত্তি করে চার ধরনের রঙিন কার্ড বানানো হয়েছে।
প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, বছর দেড়েক আগে রাজ্য জুড়ে বিদ্যালয়গুলি থেকে আদিবাসীদের রক্তের নমুনা সংগ্রহ করছে রাজ্য সরকার। সেই নমুনা কলকাতার মেডিক্যাল কলেজে পরীক্ষা করে দেখার পরেই রিপোর্ট মেলে। রাজ্য জুড়ে সংগ্রহ হওয়া রিপোর্টগুলির রাজ্যের আদিবাসীদের স্বাস্থ্য সর্ম্পকে ভয়াবহ তথ্য সামনে তুলে এনেছে। সংগ্রহ করা ৫৮ হাজার নমুনা রক্তের মধ্যে ১৯ হাজারের ফলাফল প্রশাসনের কর্তাদের কাছে এসেছে। সেখানে মাত্র ১৯ শতাংশ আদিবাসী সুস্থ রয়েছে বলে জানা যায়। রক্তাল্পতা এবং থ্যালাসেমিয়ার বাহক প্রচুর সংখ্যায় রয়েছে আদিবাসীদের মধ্যে। রক্তের নমুনার এই ফলাফল চিন্তার ভাঁজ ফেলে দিয়েছে প্রশাসনিক কর্তাদের মধ্যে। তারপরেই চার ধরনের রঙিন কার্ডে সেই নমুনা ফলাফল প্রকাশ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। কার্ডে রং দেখে রোগের ধরন বোঝা যাবে। রক্তাল্পতা, থ্যালাসেমিয়ার বাহক সহ বিভিন্ন রোগের জন্য ভিন্ন রঙের কার্ড করা হয়েছে। সেই কার্ডে তাদের রোগের বিররণ সহ করগীয় কর্তব্য লেখা থাকবে। খাদ্যাভাস সহ প্রয়োজনীয় পরামর্শ দেওয়া থাকবে। রক্তাল্পতা কমাতে আয়রন ট্যাবলেট খাওয়ানো হচ্ছে আদিবাসীদের। থ্যালাসেমিয়ার বাহকরা যাতে একে অপরকে বিয়ে না করেন সেই প্রচারও করা হচ্ছে তাদের মধ্যে।