গৃহে শুভকর্মের প্রস্তুতি ও ব্যস্ততা। হস্তশিল্পীদের নৈপুণ্য ও প্রতিভার বিকাশে আয় বৃদ্ধি। বিদ্যায় উন্নতি। ... বিশদ
বংশীবাবু বলেন, ক্যাব নিয়ে আমরা আন্দোলনে নামব। আমরা ক্যাবের পক্ষে নই। আমরা এনআরসি চাই। উত্তর-পূর্ব ভারতের মতো ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চকে ধরে গ্রেটার কুচবিহার এলাকাতেও ১৯৭১ সালকে ধরে এনআরসি চালু হোক এটা আমরা চাই। ১৯৫২ সালকে ভিত্তি সাল ধরে এটা করলে আরও ভালো হয়। গ্রেটার কুচবিহার এলাকায় এই ক্যাবের বিরোধিতা আমরা করব।
তিনি আরও বলেন, আমরা এবিষয়ে আলোচনায় বসব। তারপর আন্দোলনের সিদ্ধান্ত নেব। আমরা ভূমিপুত্র ঐক্যমঞ্চ করেছি। বাকি যে রাজবংশী বা ভূমিপুত্ররা ছোট ছোট সংগঠনের জড়িয়ে আছে তাদেও আহ্বান করব। তাদের নিয়ে বৃহত্তর আন্দোলনে নামব। আমরা গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে শান্তিপূর্ণভাবে গণতান্ত্রিক আন্দোলনে নামব। এটা নিয়ে সংগঠনের জরুরি বৈঠক ডেকে এক্সিটিউটিভ কমিটিতে আলোচনা করা হবে।
গ্রেটার কুচবিহার পিপলস অ্যাসোসিয়েশন প্রথম থেকেই এনআরসির পক্ষে সাওয়াল করে আসছে। পাশাপাশি কোচবিহার রাজ্যের ভারত ভুক্তি চুক্তি অনুসারে পরিচয় পরিষ্কার করার দাবিও তারা জানিয়ে আসছে। উত্তরবঙ্গের জেলাগুলিতে জেলাশাসকদের কাছে স্মারকলিপি প্রদান কর্মসূচি তারা গত কয়েক মাসে শেষ করেছেন। এই সব সমাবেশগুলিতে ভূমিপুত্র ঐক্যমঞ্চের ব্যানারে প্রচুর মানুষের সমাবেশ দেখা গিয়েছে। এই আন্দোলনে কামতাপুর প্রগ্রেসিভ পার্টিও তাদের পাশে রয়েছে। এই দুই সংগঠন মিলেই ভূমিপুত্র ঐক্যমঞ্চ গড়ে তুলেছে। তারই কেন্দ্রীয় সমাবেশ আগামী ১৩ জানুয়ারি কোচবিহারের রাসমেলা মাঠে অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। গ্রেটার সূত্রে জানা গিয়েছে, এই কেন্দ্রীয় সমাবেশের জন্য কোচবিহার রাসমেলা মাঠ ব্যবহার করার জন্য তারা ইতিমধ্যেই প্রশাসনের কাছে আবেদনও করা হয়েছে। উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন জেলা থেকে লক্ষাধিক মানুষকে তারা ওই সমাবেশে আনতে চাইছে।
এরই মধ্যে লোকসভায় নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল পাশ হওয়ার পর তা রাজ্যসভাতেও পাশ হয়ে গিয়েছে। এই বিল পাশ হওয়ার পর অসমের বিভিন্ন জায়গায় ব্যাপক আন্দোলন শুরু হয়েছে। গ্রেটার কোচবিহার আগে থেকেই এনআরসি চালুর পক্ষে সাওয়াল করে আসছিল। কিন্তু রাজ্যসভায় ক্যাব বিল পাশ হওয়ার পর গ্রেটারের দাবি, ১৯৭১ সালকে ধরেই এনআরসি চালু করা হোক। সেই সঙ্গে কোচবিহারের ভারত ভুক্তি চুক্তি অনুসারে পরিচয়ের বিষয়টি পরিষ্কার করা হোক।