বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
জলপাইগুড়ির ব্যবসায়ী গোপাল কর্মকার বলেন, রাজনৈতিক স্বার্থে বিলটি পাশ করান হল। এদেশেই আমি জন্মেছি। ফের যদি ঠাকুরদাদার প্রমাণপত্র দেখাতে বলা হয় তা দেখাতে পারবো না। এই বিলের মাধ্যমে ফের নাগরিকত্ব পাওয়ার জন্য সরকারি আধিকারিকদের কাছে যেতে হবে। হয়রানির শিকার হতে হবে। জলপাইগুড়ির অমরখানা প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক গৌরব সাহা বলেন, হয়রানি করা ছাড়া আর কিছু হচ্ছে না। ১৩০ কোটির দেশে অনুপ্রবেশকারী আর শরণার্থীদের খোঁজা মানে খড়ের গাঁদায় সূচ খোঁজা। দীর্ঘমেয়াদি এই পদ্ধতিতে কারও নাম একবার বাদ পড়লে অনেক কাঠখড় পোড়াতে হবে।
জলপাইগুড়ি বিবেকানন্দ উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষিকা সুমনা ঘোষ দস্তিদার বলেন, এই বিলটি পাশ করিয়ে সমাজে ভেদাভেদ তৈরি করা হল। সম্প্রীতির মেলবন্ধন নষ্ট করার চেষ্টা চলছে। একজন সাধারণ মানুষ হিসেবে বিলটি সমর্থন করতে পারি না। বিলকে কেন্দ্র করে উত্তর-পূর্ব ভারতে যে বিক্ষোভ শুরু হয়েছে তার রেশ উত্তরবঙ্গেও আসতে পারে বলে আশঙ্কায় রয়েছি।
জলপাইগুড়ির বিশিষ্ট প্রাবন্ধিক উমেশ শর্মা বলেন, ১৯৯২ সালের বন্যায় জলপাইগুড়ির অধিকাংশ দলিল দস্তাবেজ ভেসে গিয়েছে। ফের নাগরিকত্ব প্রমাণে কাগজ জোগাড় করতে মানুষকে হয়রান হতে হবে।