গৃহে শুভকর্মের প্রস্তুতি ও ব্যস্ততা। হস্তশিল্পীদের নৈপুণ্য ও প্রতিভার বিকাশে আয় বৃদ্ধি। বিদ্যায় উন্নতি। ... বিশদ
এনআরসির বিরোধিতা করে অনেকদিন ধরেই উত্তরবঙ্গের অলিখিত রাজধানী শহর শিলিগুড়ির রাজপথে রয়েছে তৃণমূল। ইতিমধ্যে তারা বিভিন্ন এলাকায় মিছিল, পথসভা করে অসমের পরিস্থিতি তুলে ধরেছে। তা সত্ত্বেও রাজ্যসভায় নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল পাশ হতেই ঘাসফুল বাহিনী ক্ষিপ্ত হয়ে উঠেছে। আগামী রবিবার তারা চম্পাসারি এলাকায় মিছিল ও পথসভা করবে। সোমবার মাটিগাড়া থেকে শিবমন্দির পর্যন্ত মশাল মিছিল করবে। তৃণমূলের দার্জিলিং জেলা সভাপতি রঞ্জন সরকার বলেন, এই রাজ্যের মাটিতে এনআরসি হতে দেব না। এই দাবিতে আমরা রাস্তায় রয়েছি। এবার আন্দোলনের মাত্রা আরও তীব্র করব। মশাল মিছিল সহ একগুচ্ছ কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে। তৃণমূলের শিলিগুড়ি-২ নম্বর টাউন কমিটির সভাপতি বেদব্রত দত্ত বলেন, দেশের অর্থনৈতিক অবস্থা ভেঙে পড়েছে। যার ফলে, বিজেপি শাসিত কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে মানুষের ক্ষোভ বেড়েছে। সেদিক থেকে মানুষের দৃষ্টি ঘোরাতেই নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল পাশ করেছে কেন্দ্রীয় সরকার। এর বিরুদ্ধে এবার পাড়া বৈঠক, মিছিল, সভা করব।
এই ইস্যুতে কংগ্রেস ও সিপিএমও বসে নেই। প্রদেশ কংগ্রেসের কার্যনির্বাহী সভাপতি তথা দার্জিলিং জেলা কংগ্রেসের সভাপতি শঙ্কর মালাকার বলেন, এনআরসির বিরুদ্ধে অগামী ১৪ডিসেম্বর দিল্লির রামলীলা ময়দানে সভা ডেকেছেন সোনিয়া গান্ধী। ওই সভায় উত্তরবঙ্গে নেতাদের নিয়ে যাব। সেখান থেকে ফিরে শিলিগুড়ির চম্পাসারি, দেবীডাঙা, মাটিগাড়া, খড়িবাড়ি, সমরনগর প্রভৃতি এলাকায় গিয়ে এনআরসি নিয়ে আতঙ্কগ্রস্ত বাসিন্দাদের আতঙ্ক কাটাব। ১৮ডিসেম্বর থেকে এই কর্মসূচি শুরু হবে। পাশাপাশি, এনআরসি ও নাগরিকত্ব সংশোধনী বিলের বিরুদ্ধে মিটিং, মিছিল চলবে।
সিপিএমের দার্জিলিং জেলা সম্পাদক জীবেশ সরকার বলেন, এনআরসি ও নাগরিকত্ব সংশোধনী বিলের বিরুদ্ধে তো আমরা আন্দোলন করছি। আমাদের স্লোগান-‘নো এনআরসি’। আগামী ১৯ ডিসেম্বর নাগরিকত্ব সংশোধনী বিলের বিরুদ্ধে বামফ্রন্টের ডাকে দেশ জুড়ে প্রতিবাদ দিবস পালিত হবে। তাছাড়া, ওই বিল নিয়ে আইনি লড়াইও চলবে।
কংগ্রেস ও সিপিএমের নেতাদের একাংশ বলেন, শিলিগুড়িতে বিভিন্ন সমস্যা নিয়ে অনেকদিন ধরেই কংগ্রেস ও সিপিএম ঐক্যবদ্ধভাবে লড়াই করছে। এনআরসি ইস্যুতেও যৌথভাবে আন্দোলন করা হবে। যদিও, সিপিএমের জেলা সম্পাদক বলেন, এই ইস্যুতে স্থানীয়ভাবে কোনও কর্মসূচি এখনও ঠিক হয়নি। তা ঠিক হলে জানানো হবে।
এদিকে, পথ দুর্ঘটনায় দলের জেলা সভাপতির মৃত্যু নিয়ে এখনও শোকগ্রস্ত শিলিগুড়ির বিজেপি নেতারা। বিজেপির শিলিগুড়ি সাংগঠনিক জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক আনন্দ বর্মন বলেন, সদ্য প্রয়াত জেলা সভাপতি শ্রদ্ধাঞ্জলি সভার পর এনআরসি ও নাগরিকত্ব সংশোধনী বিলের প্রয়োজনীয়তা আমজনতাকে বোঝাতে ময়দানে নামব। এনআরসি ও নাগরিকত্ব বিল নিয়ে অপপ্রচার করে আমজনাতে বিভ্রান্ত করছে বিরোধীরা।