পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
এদিকে, সংসদের দু’টি কক্ষেই নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল (ক্যাব) পাশ হওয়ার পরেই উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে অসম সহ উত্তর-পূর্ব ভারতের বেশকিছু জায়গা। বাংলার সঙ্গে অসমের সীমান্ত রয়েছে কোচবিহার জেলার বক্সিরহাট এলাকা দিয়ে। ফলে স্বাভাবিক ভাবেই অসমের যে কোনও কিছুরই প্রভাব কিছুটা হলেও কোচবিহারে এসে পড়ে। কোচবিহারের অনেকেই অসমের পরিস্থিতি নিয়ে কিছুটা হলেও উদ্বিগ্ন রয়েছেন।
জেলা তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি বিনয়কৃষ্ণ বর্মন বলেন, আমরা প্রথম থেকেই এনআরসির প্রতিবাদে রাস্তায় রয়েছি। এই নাগরিক সংশোধনী বিলও আমারা মানি না। সারা জেলাজুড়ে আন্দোলন হচ্ছে। আমরা আরও তীব্র করব আন্দোলন। ফরওয়ার্ড ব্লকের জেলা সভাপতি দীপক সরকার বলেন, এনআরসি বিরুদ্ধে আমরা আন্দোলনে চালাচ্ছি। ক্যাবের বিরুদ্ধেও আমরা আন্দোলনে নামব। বিজেপির কোচবিহার জেলা সভানেত্রী মালতী রাভা রায় বলেন, সংসদের দু’টি কক্ষেই ক্যাব পাশ হওয়ায় আমরা খুশি। এদিন জেলার মণ্ডলগুলিতে আমরা মিছিল করেছি। দলের জেলা কার্যালয়ের সামনে মিষ্টি বিলি করেছি। কর্মীরা বাজি-পটকা ফাটিয়ে আনন্দ করেছেন।
কোচবিহার জেলা ব্যবসায়ী সমিতির সম্পাদক চাঁদমোহন সাহা বলেন, ক্যাব বিল শুধু মাত্র কোচবিহারের নয়। সারা দেশের জন্য। কেন্দ্র সরকার নিশ্চয় ভালো ভেবেই এটাই করছে। দেশের ভালোর জন্যই হয়তো এই ভাবনা ভাবছে। যারা ভারতে নাগরিক আছেন ও ছিলেন তাদের অসুবিধা না হলেই ভালো। নতুন যারা এসেছেন তাদের দিকে মানবিকতার দৃষ্টিতে তাকালে আরও ভালো। কোথাও কোনও গণ্ডগোল হলেই ব্যবসায়ীদের ক্ষতি হয়। অসমের গণ্ডগোলের কারণে কোচবিহারের বাজারে কোনও প্রভাব নেই। তবে জোড়াইয়ের ব্যবসায় কিছুটা প্রভাব পড়েছে। যাত্রী পরিবহণ ব্যবসায় কিছু প্রভাব পড়েছে।
এদিকে কোচবিহার জেলা অসম সীমান্ত লাগোয়া হওয়ার কারণে এই জেলার বহু মানুষেরই আত্মীয় স্বজন অসমের বিভিন্ন জায়গায় রয়েছেন। বৈবাহিক সূত্রে দুই রাজ্যের বহু পরিবার আবদ্ধ। অসমে এনআরসি চালুর পর থেকে কোচবিহারের বহু মানুষ আতঙ্কের মধ্যে দিন কাটিয়েছেন। কিছু দিন আগেও ব্লকে ব্লকে রেশন কার্ড ঠিক করানোর জন্য লক্ষ লক্ষ মানুষকে হত্যে দিয়ে লাইনে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা গিয়েছে। এনআরসির আতঙ্কের কারণে অনেকেই বিডিও অফিস, খাদ্য দপ্তর সহ বিভিন্ন দপ্তরে রেশন কার্ড, ভোটার কার্ড, আধার কার্ড সহ অন্যান্য নথি সংশোধন করা, নতুন কার্ড বের করা সহ অন্যান্য কাজে ঘুরছেন। সিএবি পাশ হওয়ায় আবার সেই দৃশ্য দেখা দিতে শুরু করেছে।