কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
কী ধরণের ফোন আসছে হেল্পলাইন নম্বরে? পুলিস কর্মীরাই জানাচ্ছেন, কেউ ফোন করে শোনাচ্ছে বাচ্চার কান্নার আওয়াজ, কেউ আবার করছে প্রেম নিবেদন। কেউ কেউ মদ্যপান করে পুলিসকে গালিগালাজও করছে। ইতিমধ্যে এই নিয়ে ডিস্ট্রিক্ট কন্ট্রোল রুমের তরফে কয়েক জনের বিরুদ্ধে মামলাও দায়ের করা হয়েছে। আরও জানা গিয়েছে, জেলার আপৎকালীন নম্বর ১০০-তে ফোন করে অনেকে বিভিন্নভাবে পুলিসকে ভুল তথ্য দিয়ে বিরক্ত করছে। অনেক সময় বোকাও বানানো হচ্ছে পুলিসকে। কোথাও ঝামেলার খবর দিয়ে পুলিসকে আসতে বলা হচ্ছে ঘটনাস্থলে। পুলিস ঘটনাস্থলে পৌঁছে দেখতে পাচ্ছে আদৌ সেরকম কোনও ঘটনাই ঘটেনি। দীর্ঘদিন ধরেই এহেন অবস্থা চলে এসেছে পুলিসের দক্ষিণ দিনাজপুরের ডিস্ট্রিক্ট কন্ট্রোল রুমে।
ডিস্ট্রিক্ট কন্ট্রোল রুমের ওসি বিশ্বজিৎ ভট্টাচার্য বলেন, আমাদের কাছে যে ফোনগুলি আসছে, তার মধ্যে ৮০ শতাংশ ভূয়ো। আমাদের নানাভাবে ভূল তথ্য দেওয়া হচ্ছে। আমরা খবর পেয়ে সেই থানার পুলিসকে ঘটনাস্থলে যেতে বলছি। কিন্তু পুলিস গিয়ে দেখছে, কিছুই ঘটেনি। আমরা ইতিমধ্যে এই নিয়ে থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছি।
সাধারণত জেলার বাসিন্দারা বিপদে পড়লে ১০০ নম্বরে ফোন করে সমস্যার কথা জানাতে পারেন। তবে বেশ কিছু দিন ধরে জেলার কিছু বাসিন্দা অপ্রয়োজনে ১০০ নম্বরে ফোন করে পুলিসকে অতিষ্ঠ করে তুলেছে। পুলিসের কাছে ফোন আসতেই রিসিভ করার পর বাচ্চার কান্নার আওয়াজ শুনতে পাওয়া যাচ্ছে। ওপার থেকে অভিভাবক বলছে, মামার সঙ্গে কথা বলো, কান্না থামাও। কেউ আবার ফোন করে তার বাচ্চাকে বলছে, পুলিসকে অ আ ক খ শোনাও। কোনও মদ্যপ ফোন করে রীতিমত প্রপোজ করছে পুলিসকে। সেইসঙ্গে ফোন করে কোনও ভূয়ো দুর্ঘটনার খবর দিয়ে পুলিসকে বিভ্রান্ত করা, বা বানিয়ে বানিয়ে বিপদের কথা বলে পুলিসকে দৌড় করানোর বিষয় তো রয়েছেই। কেউ বলছে, এই মুহূর্তে অমুক জায়গায় দুর্ঘটনা ঘটে গিয়েছে, আপনার তাড়াতাড়ি আসুন। সেই খবর পেয়ে পুলিস তড়িঘড়ি ঘটনাস্থলে পৌঁছে গিয়ে দেখতে পাচ্ছে, আদতে সেখানে কোনও ঘটনাই ঘটেনি। অনেকে ফোন করে পুলিসের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করছে। অশ্লীল কথাও বলছে। বিষয়টি নিয়ে ইতিমধ্যে পুলিস-প্রশাসনের তরফে থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।