বিমাসূত্রে ধনাগম হতে পারে। প্রেম-প্রণয়ে আনন্দ। কাজকর্মে অগ্রগতি ও সুনাম। ... বিশদ
পরিবেশ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদ জানিয়েছে, দেশের মধ্যে ৩৫০টি নদীকে দূষিত বলে ঘোষণা করা হয়েছে। সেগুলির মধ্যে রাজ্যের দু’টি নদীতে দূষণের মাত্রা অত্যাধিক বেশি। একটি উত্তরবঙ্গের মহানন্দা এবং অপরটি দক্ষিণবঙ্গের বিদ্যাধরী নদী। পরিবেশ বিজ্ঞানীদের তথ্য অনুযায়ী, ১০০ মিলিলিটার জলে ৫০০ কলিফর্ম ব্যাকটেরিয়া থাকলে তা স্বাভাবিক। সেখানে মহানন্দায় রয়েছে দু’লক্ষ। স্বাভাবিকভাবেই বিষয়টি পরিবেশবিদদের কাছে চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। তাই দূষণের মাত্রা কমাতে জার্মানির একটি সংস্থার সাহায্যে শহরের আবর্জনা প্রক্রিয়াকরণের জন্য সলিড ওয়েস্ট ম্যানাজমেন্ট পদ্ধতি এবং নর্দমারগুলির জল যাতে নদীতে না পড়ে সেজন্য ওয়েস্ট ওয়াটার প্লান্ট ট্রিটমেন্ট তৈরির পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। ইতিমধ্যেই নিকাশিনালা ও আবর্জনার সম্পর্কিত তথ্য নেওয়ার কাজ শুরু করেছে পর্ষদ। ২০২০ সালের মধ্যে একাজ শুরু হবে বলে পর্ষদের দাবি।
শিলিগুড়ি শহরে দীর্ঘদিন ধরে জলের সমস্যা রয়েছে। সেই সমস্যার সমাধানে ব্যারেজগুলি নতুন করে আধুনিকরণের কাজ শুরু করবে সেচদপ্তর। মন্ত্রী সৌমেনবাবু বলেন, ১৯৯৯ সালে সেচদপ্তর শহরে পানীয় জল সরবরাহের জন্য একটি প্রকল্প নিয়েছিল। কিন্তু তৎকালীন সরকার এনিয়ে কোনও পদক্ষেপ করেনি। আমরা এনিয়ে ডিপিআর তৈরি করছি। কিন্তু আপাতত ব্যারেজে জল ধরে রেখে তা পরিস্রুত করে সরবরাহের ব্যবস্থা করা হবে। এজন্য পাঁচ কোটি টাকা ব্যয় হবে। শীঘ্রই কাজ শুরু হয়ে যাবে। তাই শিলিগুড়ির মানুষকে আর জলের কথা ভাবতে হবে না।
মন্ত্রী আরও বলেন, আমি খুব গর্ব বোধ করছি যে শিলিগুড়িতে দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদ চালু হল। দিল্লি, মুম্বই থেকে পশ্চিমবঙ্গের দূষণের মাত্রা অনেকটাই কম। শিলিগুড়ি সবুজ শহর, তাই দূষণের পরিমাণ আরও কমাতে হবে। আগামী দিনে রাজ্যের ২৩টি জেলায় এই দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদ হবে। প্রতিটি জেলায় জেলাশাসকের তত্ত্বাবধানে কমিটি তৈরি হবে। এর ফলে দূরন্ত গতিতে কাজ হবে।
এদিনের অনুষ্ঠানে শহরের বিভিন্ন স্কুলের ছাত্রছাত্রীরা উপস্থিত ছিল। ছাত্রছাত্রীরা আগামী দিনের ভবিষ্যৎ। সেকারণে তাদের মধ্যে পরিবেশ নিয়ে সচেতনতা প্রসারে জোর দেন মন্ত্রী। পরে তিনি ভবন চত্বরে বৃক্ষরোপণ করেন। উল্লেখ্য, পরিবহণনগরে ১৯ কাঠা জমির উপর পরিবেশ ভবন তৈরি হয়েছে। এখান থেকেই শিলিগুড়ি শহরের দূষণ নিয়ন্ত্রণের এবং পরীক্ষা নিরীক্ষার কাজ করবে দপ্তর। পাশাপাশি সাড়ে তিন লক্ষ টাকা ব্যয়ে ভবনের ছাদে সৌরবিদ্যুৎ প্লান্ট বসানো হয়েছে। সেখান থেকে শীঘ্রই বিদ্যুৎ উৎপাদন শুরু হবে।