পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
এদিন জেলা প্রাথমিক বিদ্যালয় সংসদ ও জেলা শিশু ক্রীড়া পারিচালনা সমিতি ২০১৯ এর উদ্যোগে ৩৭ তম মালদহ জেলা বার্ষিক শিশু ক্রীড়া প্রতিযোগিতা হয় বৃন্দাবনী ময়দানে। মশাল দিয়ে প্রদীপ জ্বালিয়ে চূড়ান্ত পর্যায়ের খেলার উদ্বোধন করেন অতিরিক্ত জেলা শাসক(সাধারণ) অশোক কুমার মোদক। অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন প্রাক্তন মন্ত্রী তথা পুরসভার কাউন্সিলার কৃষেন্দু নারায়ণ চৌধুরী, মালদহ জেলা পরিষদের শিক্ষা, ক্রীড়া ও সংস্কৃতি কর্মাধ্যক্ষ প্রতিভা সিংহ, ইংলিশবাজার পুরসভার ভাইস চেয়ারম্যান দুলাল সরকার, মালদহ ডিস্ট্রিক্ট কাউন্সিল ফর স্কুল গেমস অ্যান্ড স্পোর্টসের ভাইস প্রেসিডেন্ট শান্তনু সাহা, জেলা বিদ্যালয় পরিদর্শক(মাধ্যমিক) আসানুল করিম সহ বিভিন্ন সার্কেলের স্কুল পরিদর্শকরা।
এদিন অনুষ্ঠানের শুরুতেই তাল কাটে প্রাক্তন মন্ত্রী তথা কাউন্সিলার কৃষেন্দু নারায়ণ চৌধুরীর ভূমিকায়। অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ পদ্ধতি নিয়ে তিনি প্রচণ্ড উত্তেজিত হয়ে ওঠেন। মঞ্চে উপবিষ্ট সরকারি আধিকারিকদের সামনে তিনি উদ্যোক্তাদের সঙ্গে বচসায় জড়িয়ে পড়েন। তিনি অভিযোগ করেন, এখানে বেছে বেছে নিমন্ত্রণ করা হয়েছে। এটা সরকারি অনুষ্ঠান অথচ এখানকার সংসদ সদস্য, বিধায়ক এবং স্থানীয় কাউন্সিলারকে আমন্ত্রণ করা হয়নি। এমনকী প্রকাশ্যেই তিনি স্কুলের ছাত্রছাত্রীদের ঠিকমতো খাবার দেওয়া হয় না বলেও শিক্ষকদের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেন।
উল্লেখ্য, যে ওয়ার্ডে এদিন প্রতিযোগিতাটি হয় সেই ওয়ার্ডের কাউন্সিলার কৃষ্ণেন্দুবাবুর স্ত্রী কাকলি চৌধুরী। এভাবে আমন্ত্রণ পদ্ধতি নিয়ে তিনি প্রকারান্তরে দলের অপর গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে অভিযোগ তোলেন।
প্রকাশ্যে মঞ্চে কৃষ্ণেন্দুবাবু বচসায় জড়িয়ে পড়ায় শহরে গুঞ্জন শুরু হয়েছে। অন্যদিকে, কৃষ্ণেন্দুবাবুর অভিযোগ মানতে নারাজ তাঁর সঙ্গেই মঞ্চে উপস্থিত পুরসভার ভাইস চেয়ারম্যান তথা তৃণমূল নেতা দুলাল সরকার। কার্যত উল্টো সুরেই তিনি বলেন, যেহেতু এটা গোটা জেলার ক্রীড়া প্রতিযোগিতা ছিল, তাই ইংলিশবাজার পুরসভার সব কাউন্সিলারের নাম কার্ডে দেওয়া সম্ভব হয়নি। তাছাড়া আমার স্ত্রী তো কাউন্সিলার তথা জেলার চাইল্ড ওয়েলফেয়ার কমিটির চেয়ারপার্সন। তাঁকেও তো আমন্ত্রণ জানানো হয়নি। আর যেহেতু আধিকারিকরাই এবার সবকিছু করেছেন, তাই তাঁদের পক্ষে সব জনপ্রতিনিধির নাম জানা সম্ভব নয়। আমি খোঁজ নিয়ে জেনেছি পুরসভায় সব কাউন্সিলারের জন্যই একটি আমন্ত্রণ পত্র দেওয়া হয়েছে। সেটার কথা হয়তো সবার কাছে পৌঁছয়নি।
আমন্ত্রণ প্রসঙ্গে প্রশ্ন করা হলে মালদহ জেলা প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ক্রীড়া পরিচালন সমিতির সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য আইনুল হক বলেন, এব্যাপারে আমি কিছু বলব না। যা বলার জেলা শিশু ক্রীড়া পরিচালন সমিতির সম্পাদক বলবেন। জেলার শিশু ক্রীড়া পরিচালন সমিতির সম্পাদক তথা জেলা প্রাথমিক বিদ্যালয় সংসদের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ও সচিব সুনীতি সাঁপুই বলেন, আমরা যা করেছি তা নিয়ম মেনেই করেছি। সরকারি নিয়ম মেনেই আমন্ত্রণ করা হয়েছে। এর থেকে বেশি আমি কিছু বলব না।