বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
এব্যাপারে কোচবিহার পঞ্চানন বর্মা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য দেবকুমার মুখোপাধ্যায় বলেন, আমরা খলিসামারিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের দ্বিতীয় ক্যাম্পাস তৈরির উদ্যোগ নিয়েছি। ট্রাস্টের আওতায় থাকা ৫০ একর জমি হস্তান্তর করার জন্য স্ট্যাম্প ডিউটি মকুব করতে রাজ্য সরকারের কাছে আবেদন করা হয়েছিল। সেই আবেদনের প্রেক্ষাপটে সরকার ৫০ একর জমির বিস্তারিত তথ্য জানতে চেয়েছে। আমরা পঞ্চানন বর্মা মেমোরিয়াল ট্রাস্টকে এব্যাপারে জমির বিস্তারিত তথ্য সরবরাহ করার জন্য জানিয়েছি। জমিটি হস্তান্তর হলেই ক্যাম্পাসের কাজ শুরু করা সম্ভব হবে।
এব্যাপারে পুণ্যভূমি খলিসামারি পঞ্চানন বর্মা মেমোরিয়াল ট্রাস্টের সম্পাদক গিরীন্দ্রনাথ বর্মন বলেন, পঞ্চানন বর্মার জন্মভূমি খলিসামারির মহিষমুড়িতে ৫০ একর জমি স্থানীয় বাসিন্দারা আমাদের ট্রাস্টকে বিনাশর্তে দান করেছেন। আমরা সেই জমি বিশ্ববিদ্যালয়কে হস্তান্তর করার জন্য প্রস্তুত রয়েছি। সম্প্রতি রাজ্য সরকার এই জমির ব্যাপারে বিস্তারিত তথ্য চেয়েছে। আমরা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ও রাজ্য সরকারকে শীঘ্রই এব্যাপারে জানাব। আমরা আশা করছি দ্রুত জমি হস্তান্তর হয়ে যাবে এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের দ্বিতীয় ক্যাম্পাস তৈরির কাজ শুরু হবে।
কোচবিহার পঞ্চানন বর্মা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার পর থেকে খলিসামারিতে দ্বিতীয় ক্যাম্পাস তৈরির দাবি জানিয়ে আসছেন খলিসামারির বাসিন্দারা। কয়েকমাস আগে খলিসামারিতে এসে ক্যাম্পাস তৈরির প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন উপাচার্য দেবকুমার মুখোপাধ্যায়। তিনি জানিয়েছিলেন, ক্যাম্পাসের জন্য জমি হস্তান্তর করতে প্রচুর টাকার স্ট্যাম্প ডিউটির প্রয়োজন। সেটা মকুব করার জন্য রাজ্য সরকারের কাছে আবেদন করা হবে। এনিয়ে রাজ্য সরকারকে আবেদন করে বিশ্ববিদ্যালয় ও ট্রাষ্ট। এই আবেদনের প্রেক্ষিতে রাজ্য সরকার ৫০ একর জমির পূর্ণাঙ্গ তথ্য জানতে চেয়ে সম্প্রতি চিঠি দিয়েছে। ট্রাস্টের পক্ষ থেকে অবশ্য দাবি করা হয়েছে, জমির সমস্ত তথ্য তাদের কাছে প্রস্তুত রয়েছে শীঘ্রই তা রাজ্য সরকার ও বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে জমা দেওয়া হবে।