কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
১০০ দিনের কাজে জেলার নোডাল অফিসার শুভজিৎ গুপ্ত বলেন, ২০১৬ সাল থেকেই পঞ্চায়েতগুলিকে নার্সারি করতে বলা হচ্ছে। প্রতি বছর এবিষয়ে পঞ্চায়েতগুলিকে চিঠি পাঠানো হয়। কিন্তু তারপরেও কাজ হচ্ছে না। এরফলে বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি নিলে বাইরে থেকে চারাগাছ কিনতে হয়।
আগডিমটিখন্তি গ্রাম পঞ্চায়েতর প্রধান তৃণমূল কংগ্রেসের নার্গিস বেগম বলেন, আমাদের এই এলাকায় নার্সারি করার মতো অভিজ্ঞ লোক নেই। অভিজ্ঞতা ছাড়া নার্সারি করলে চারাগাছ মরে যেতে পারে। এতে আবার সমস্যা হবে। আগের বোর্ড একবার এখানে নার্সারি করেছিল। কিন্তু সাফল্য পায়নি। সেই কারণে এনিয়ে আমরা আর এগোইনি। গাইসাল-২ গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান তৃণমূল কংগ্রেসের ললিত সিংহ বলেন, আমাদের নার্সারি নেই। নানা করণে তা করা সম্ভব হয়নি।
ইসলামপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান বিজেপির জ্যোতির্ময় মণ্ডল বলেন, এবছর আমরা বরোট ও অজিতবাস কলোনি এলাকায় দু’টি নার্সারি করেছি। আগামীতে গাছ লাগানোর কর্মসূচি হলে নিজেদের নার্সারি থেকেই চারাগাছের জোগান দেওয়া হবে। গাইসাল-১ গ্রাম পঞ্চাতের প্রধান তৃণমূল কংগ্রেসের নাফিসা আলমিন বলেন, এবছর আমরা প্রথম নার্সারি বানিয়েছি।
প্রশাসন জানিয়েছে এমজিএনআরইজিএস প্রকল্প থেকে গ্রামাঞ্চলে গাছ লাগানোর জন্য বিভিন্ন স্কিম আছে। বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বা রাস্তার পাশে গাছ লাগানো হয়। সেই সঙ্গে ছোট বাগান করার জন্য গ্রামের উপভোক্তাদের চারা দেওয়া হয়। পঞ্চায়েতগুলিতে নার্সারি না থাকার কারণে জেলা প্রশাসন বাইরে থেকে চারাগাছ কিনে গ্রাম পঞ্চায়েতগুলিকে দিয়ে থাকে। সম্প্রতি ইসলামপুর ব্লকের বিভিন্ন পঞ্চায়েত এলাকায় তেজপাতা গাছের চারা দেওয়া হয়েছিল। বাইরে থেকেই সেই চারা আনা হয়েছিল। এই চারা নিয়ে নানা অভিযোগ উঠেছে। কোথাও চারাগাছের মান খারাপ হওয়ার কারণে পঞ্চায়েত কর্তৃপক্ষ সেই চারাগাছ নেয়নি। কোথাও চারাগাছ লাগানোর কয়েক দিনের মধ্যেই মারা গিয়েছে। কোথাও আবার গ্রাম পঞ্চায়েতগুলিতে চারাগাছ চলে এলেও তা বিলি করা সম্ভব হয়নি। তবে সবক্ষেত্রে চারাগাছের মান নিয়ে সমস্যা ছিল বলে মানতে নারাজ জেলা প্রশাসন। প্রশাসনের দাবি, শুধুমাত্র চারাগাছের মান খারাপ ছিল বলেই সেগুলি মারা গিয়েছে, এমন অভিযোগ সত্য নাও হতে পারে। পরিচর্যার অভাবেও সেগুলি মারা যেতে পারে।
স্থানীয়রা বলছে,পঞ্চায়েতগুলি নিজেরা এমজিএনআরইজিএস প্রকল্পে নার্সারি তৈরি করলে এলাকার চাহিদা মতো গাছের চারা তৈরি করতে পারবে। পঞ্চায়েত নিজেদের প্রয়োজনে সেগুলি ব্যবহার করার পাশাপাশি সেগুলি বিক্রি করে নিজস্ব আয়ের সংস্থান করতে পারবে। এলাকার বাসিন্দাদেরও সুবিধে হবে।