কর্মে অগ্রগতি ও নতুন কাজের বরাত প্রাপ্তি। আইটি কর্মীদের শুভ। মানসিক চঞ্চলতার জন্য বিদ্যাচর্চায় বাধা। ... বিশদ
দীর্ঘদিন ধরেই বেহাল হয়ে পড়ে রয়েছে ময়নাগুড়ি বাবুপাড়ায় অবস্থিত রবিতীর্থ ভবন। ময়নাগুড়ি সাংস্কৃতিক চর্চার প্রাণকেন্দ্র এই রবিতীর্থ ভবনটি এককালে ময়নাগুড়িবাসীর গর্বের বিষয় ছিল। এই ভবনটি জলপাইগুড়ি জেলা পরিষদের অধীনে রয়েছে। একসময় এই ভবনটিতে নানা সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হতো। কিন্তু বর্তমানে এর অবস্থা এতটাই খারাপ যে ভবনের বুকিং বন্ধ হয়ে গিয়েছে। ভবনটির বেহাল দশায় ময়নাগুড়িবাসীদের মধ্যে ক্ষোভের সঞ্চার হয়েছে।
ভবনটির চারপাশ আগাছায় ভরে গিয়েছে। ভবনটির দেওয়ালগুলিতে ফাটল ধরেছে। চরম অবহেলায় পড়ে রয়েছে রবি ঠাকুরের মূর্তি। ভবনের ভিতরে লাইটগুলির কোনও জ্বলে কোনওটি জ্বলে না। মিউজিক সিস্টেমও খারাপ হয়ে রয়েছে। রবিতীর্থ ভবনটি ২০১১ সালের ১ ফেব্রুয়ারি উদ্বোধন করা হয়েছিল। দ্বিতল ভবনে ৭০০ জনের বসার ব্যবস্থা রয়েছে। ময়নাগুড়ির ঐতিহ্য এই ভবনে বিভিন্ন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানসহ নানা সামাজিক অনুষ্ঠান করার পরিকাঠামো রয়েছে। কিন্তু উপযুক্ত রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে ভবনটির পরিস্থিতি দিন দিন খারাপ হয়ে পড়েছে। ভবনে অনুষ্ঠানের সংখ্যা দিনদিন কমতে শুরু করেছে।
ময়নাগুড়ি গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান তৃণমূল কংগ্রেসের সজল কুমার বিশ্বাস বলেন আমাদের ময়নাগুড়ির ঐতিহ্য এই ভবন ঠিকমতো রক্ষণাবেক্ষণের জন্য জেলা পরিষদকে আমি চিঠি করেছিলাম। গত বুধবারও এনিয়ে আলোচনা হয়েছে। আমার কাছে যা খবর আছে ভবনটি লিজে দেওয়া হবে। এটি হলে অবশ্য ভবনটি আবার প্রাণ ফিরে পাবে।
জলপাইগুড়ি জেলা পরিষদের কৃষি, সেচ ও সমবায় কর্মধ্যক্ষ গোবিন্দ রায় বলেন, রবিতীর্থ ভবনটি নিয়ে আমাদের মধ্যে আলোচনা হয়েছে। টেন্ডার প্রক্রিয়ার মাধ্যমে আমরা ভবনটি লিজে দেব। লিজে দেওয়া হলে এর রক্ষণাবেক্ষণ যেমন হবে তেমন আমাদেরও কিছু আর্থিক সুবিধা হবে। জলপাইগুড়ি জেলা পরিষদের সহ সভাধিপতি দুলাল দেবনাথ বলেন, কিছুদিনের মধ্যে ভবনটি লিজে দেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু হবে।
বিজেপি নেতা অনুপ পাল বলেন, ভবনটির আজ যে অবস্থা হয়েছে সেটি জেলা পরিষদের চরম ব্যর্থতার কারণেই হয়েছে। তবে রবিতীর্থ ভবনটি যদি লিজে দেওয়া হয় তাহলে এর রক্ষণাবেক্ষণ ভালো হবে। আমরা ময়নাগুড়িবাসী হিসেবে ভালো পরিষেবা পাব আশা করছি। ভবনটি আমাদের গর্ব।