গৃহে শুভকর্মের প্রস্তুতি ও ব্যস্ততা। হস্তশিল্পীদের নৈপুণ্য ও প্রতিভার বিকাশে আয় বৃদ্ধি। বিদ্যায় উন্নতি। ... বিশদ
কয়েকদিন আগে মালদহ জেলার কোতোয়ালি এলাকায় এক মহিলার অগ্নিদ্বগ্ধ মৃতদেহ উদ্ধার হয়। কিছুতেই পুলিস ঘটনার কিনারা করতে পারছিল না। বুধবার ওই মৃতদেহ শনাক্ত হয়। মৃতের বাড়ি শিলিগুড়ির উপকণ্ঠে এনজেপি লাগোয়া অম্বিকানগর এলাকায়। এনজেপি থানা সূত্রে জানা গিয়েছে, সোমবার রাতে ওই মহিলা নিখোঁজ হয়েছে বলে তাঁর মা অভিযোগ করেন। মৃতের মা’র বয়ান অনুসারে মালদহের অজ্ঞাত পরিচয় মহিলার মৃতদের চেহারার বিবরণ হুবহু মিলে যায়। এরপর মঙ্গলবার মৃতের মা ও আত্মীয়দের নিয়ে মালহদের উদ্দেশে রওনা দেওয়া হয়। এদিন মৃতদেহ শনাক্ত করা হয়েছে।
শিলিগুড়ির ডেপুটি পুলিস কমিশনার (পূর্ব) ইন্দিরা মুখোপাধ্যায় বলেন, ওই মৃতদেহের পরিচয় জানতে কয়েকদিন আগে রাজ্যের বিভিন্ন থানায় মেসেজ পাঠায় মালদহ জেলা পুলিস। সোশ্যাল মিডিয়াতেও এনিয়ে চর্চা চলে। এই অবস্থায় অম্বিকানগরের এক মহিলা নিখোঁজের অভিযোগ দায়ের হয়। নিখোঁজের চেহারা সম্পর্কে অভিযোগকারীদের দেওয়া বিবরণ মালদহে উদ্ধার মৃত মহিলার চেহারার সঙ্গে মিলে যায়। এরপরই ওই মৃতদেহ শনাক্ত করা হয়েছে।
এদিকে, মৃতের পরিচয় জানাজানি হতেই বুধবার এনজেপি থানার অম্বিকানগরে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়ায়। আশপাশের বাসিন্দারা ওই এলাকায় ভিড় করেন। মৃতের আত্মীয় ও স্থানীয় বাসিন্দাদের একাংশের সঙ্গে কথা বলে এনজেপি থানার পুলিস কিছু তথ্য জানতে পেরেছে। পুলিস ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ফুলবাড়ি-১গ্রাম পঞ্চায়েতের অম্বিকানগরে মৃত মহিলার বাবার বাড়ি। কয়েক বছর আগে শান্তিপাড়ার এক যুবকের সঙ্গে ওই মহিলার বিয়ে হয়। সম্পর্কে টানাপড়েনের জেরে ওই মহিলা অম্বিকানগরে বাবার বাড়িতে থাকতেন। একটি পপকর্নের কোম্পানিতে কাজ করতেন। বছর দুই আগে ওই কোম্পানিতে কাজ করতেন মালদহের অভিযুক্ত যুবক। সেই সময়ই তাঁদের মধ্যে পরিচয় হয়। গত ২ ডিসেম্বর অভিযুক্ত যুবকের কাছ থেকে নিজের মোবাইল ফোন আনার কথা বলে ওই মহিলা বাড়ি থেকে বের হন। পাশের বাড়ির এক মহিলাকে বিষয়টি জানিয়েছিলেন। নিষেধ করার পরও ওই মহিলা জোর করেই বাড়ি থেকে বেরিয়ে যান। তারপরই তাঁর এমন পরিণতি হয়েছে।