গৃহে শুভকর্মের প্রস্তুতি ও ব্যস্ততা। হস্তশিল্পীদের নৈপুণ্য ও প্রতিভার বিকাশে আয় বৃদ্ধি। বিদ্যায় উন্নতি। ... বিশদ
মিমির মাসি সুতপা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, আমার মেয়ে বর্ষার বিয়েতে ওকে আসতেই হবে বলেছিলাম। ও কথা রেখেছে। আমরা সকলে মিলে চুটিয়ে আনন্দ করছি। বৃহস্পতিবার ও ফিরে যাবে।
মিমির মামিমা পুনম চক্রবর্তী বলেন, মিমি সেলিব্রেটি হলেও ও নিমন্ত্রণ রক্ষা করে। তাই আমাদের একফোনেই হাজারো ব্যস্ততার মাঝে সময় বের করে এখানে ছুটে এসেছে। মাঝেমধ্যেই টেলিফোন করে মিমি পরিবারের সকলের খোঁজখবর নেয়। বোনের বিয়ের কথা শুনে প্রায়ই টেলিফোন করে খবরাখবর নিয়েছে। মঙ্গলবারই ভাগনি পাণ্ডাপাড়ার বাড়িতে আসে। মেহেন্দি অনুষ্ঠানেও যোগ দেয়। রাতে ভাইবোনদের নিয়ে হইহুল্লোড় করেছে। বিয়ের অনুষ্ঠানে ওকে পেয়ে খুব ভালো লাগছে।
মিমির মামা রামবাবু বলেন, আমাদের ঘরের মেয়ে মিমি এখন সেলিব্রেটি। টলিউডের অন্যতম জনপ্রিয় অভিনেত্রী। এখন এমপি। তবে ওর মধ্যে কোনও পরিবর্তন আমরা দেখিনি। আগের মতোই পরিবারের সকলের সঙ্গে সময় দিচ্ছে। হাতে মেহেন্দি পরা থেকে হলুদকোটা, জল ভরতে যাওয়া কিংবা কনে সাজানো সবক’টি পর্বেও ও অংশ নিয়েছে।
এবার লোকসভা ভোটের সময়ে জলপাইগুড়িতে দলীয় তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী বিজয়চন্দ্র বর্মনের হয়ে প্রচারে এসেছিলেন মিমি চক্রবর্তী। তারপর নানা কাজে ব্যস্ততার জন্য আর নিজের ছোটবেলার শহর জলপাইগুড়িতে তাঁর আর আসা হয়ে ওঠেনি। এরপর মাসির মেয়ের বিয়ের অনুষ্ঠানে মঙ্গলবার আসেন তিনি। এমপি নির্বাচিত হওয়ার পরে এই প্রথম তাঁর জলপাইগুড়িতে আসা হল। সিনেমার শ্যুটিংয়ের কারণে একদিকে ব্যস্ততা, অন্যদিকে এমপি হিসেবে নিজের এলাকায় যাওয়া কিংবা সংসদ ভবনে হাজিরা দেওয়া এত ব্যস্ততার মাঝেও সময় বের করে পরিবারের সদস্যের বিয়েতে এসে চুটিয়ে মজা করছেন মিমি।
পাণ্ডপাড়ায় বন্দ্যোপাধ্যায় বাড়ি বিয়ে উপলক্ষে ফুল, আলোর মালায় সেজে উঠেছে। অনুষ্ঠান বাড়িতে অভিনেত্রী মিমি আসায় অন্যমাত্রা পেয়েছে। মঙ্গলবার বিকেলের পর মেহেন্দি অনুষ্ঠান হয়। বুধবার হলুদকোটা হয়েছে। মৃদুস্বরে সানাইয়ের সুরও মাঝেমধ্যে শোনা গিয়েছে। বুধবার বাড়ির মেয়েরা সকলে মিলে জল ভরতে যান। রাতে শহরের একটি ভবনে বিয়ের অনুষ্ঠানে মিমি যোগ দেন। সেখানে মিমিকে মুখোমুখি পেয়ে অনেকেই তাঁর সঙ্গে ছবি তোলার জন্য আবদার করেন। তবে মিমি কাউকেই নিরাশ করেননি। প্রসঙ্গত, পাণ্ডাপাড়ায় মিমির পৈতৃক বাড়ি। সেই বাড়ির পাশেই মামা ও মাসির বাড়ি।
পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার রাতে মিমি পরিবারের সকলের সঙ্গে এক টেবিলে বসে খাওয়া দাওয়া করেন। তবে মিমি নিরামিশ খেয়েছিলেন। আজ, বৃহস্পতিবার বোনের বিয়ের অনুষ্ঠান শেষ করে শিলিগুড়ি হয়ে বাগডোগরা থেকে তাঁর বিমানে কলকাতার উড়ে যাওয়ার কথা রয়েছে। ওঁর পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, লোকসভা নির্বাচনের সময় রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে প্রচারে ব্যস্ত থাকায় সেই সময় মামার মেয়ের বিয়ের দিন উপস্থিত থাকতে পারেননি। তবে এবার মাসির মেয়ের বিয়েতে আসায় সকলেই আনন্দিত।