রাজনীতিক ও পেশাদারদের ব্যস্ততা বাড়বে। বয়স্করা শরীর স্বাস্থ্যের প্রতি যত্ন নিন। ধনযোগ আছে। ... বিশদ
বুধবার জেলা পরিষদের সভাধিপতি তৃণমূল কংগ্রেসের শীলা দাস সরকার বলেন, পঞ্চায়েতগুলির বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কাজের জন্য চলতি মাসের ২ তারিখে পঞ্চায়েত ও গ্রামোন্নয়ন দপ্তর থেকে আমরা টাকা পেয়েছি। এই টাকায় প্রতিটি গ্রাম পঞ্চায়েতে ছোট ছোট রাস্তা, নদী ভাঙন রুখতে বাঁধ সংস্কার ও পরিস্রুত পানীয় জল পরিষেবার উন্নয়ন কাজে খরচ করা হবে। এছাড়া ১০৫ কোটি টাকায় জেলায় ১৩৫ কিমি রাস্তার কাজ করা হবে।
রাজনৈতিক মহলের ধারণা, সামনেই বিধানসভার ভোট। সেই জন্য বিজেপিকে চাপে রাখতে ও উন্নয়নকে অস্ত্র করে বাজিমাত করতেই রাজ্যের তৃণমূল সরকার আলিপুরদুয়ারে পঞ্চায়েত স্তরে উন্নয়নে বাড়তি নজর দিয়েছে। পরিষদের একমাত্র বিরোধী সদস্য বিজেপির কল্পনা নাগ বলেন, উন্নয়নের জন্য অর্থ বরাদ্দকে স্বাগত জানাই। এখন দেখার ওই টাকা বিতরণে বিরোধী পঞ্চায়েতগুলির ক্ষেত্রে সমবণ্টন নীতি কার্যকরী হয় কি না।
জেলা পরিষদ সূত্রে জানা গিয়েছে, পঞ্চায়েত দপ্তরের পাঠানো ওই টাকা পঞ্চায়েতগুলি ঠিকমতো খরচ করতে পারছে কি না তা দেখার জন্য জেলা পরিষদ থেকে একটি শক্তিশালী মনিটরিং টিমও তৈরি করা হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশেই এই মনিটরিং টিম তৈরি করা হয়েছে। ওই মনিটরিং টিমের মাথায় আছেন স্বয়ং জেলা পরিষদের সভাধিপতি। এছাড়া ওই টিমে আছেন পরিষদের ইঞ্জিনিয়ারিং সেল, জনস্বাস্থ্য কারিগরি দপ্তর, পঞ্চায়েত সমিতির একজন করে প্রতিনিধি ও সংশ্লিষ্ট এলাকার জেলা পরিষদ সদস্য।
প্রসঙ্গত, পঞ্চায়েত ভোটের পর গ্রামোন্নয়ন দপ্তর থেকে আলিপুরদুয়ারের ৬৬টি পঞ্চায়েতের উন্নয়নমূলক কাজের জন্য প্রথম দফায় ২৯ কোটি টাকা পাঠানো হয়েছিল। ওয়াকিবহাল মহল মনে করছে, সামনেই বিধানসভার ভোট। ওই ভোটকে পাখির চোখ করেই দ্বিতীয় দফায় আলিপুরদুয়ার জেলা পরিষদকে গ্রামোন্নয়ন দপ্তর আরও ৩৯ কোটি ৯২ লক্ষ টাকা পাঠিয়েছে। যদিও এই টাকার সঙ্গে আসন্ন ভোটের কোনও সম্পর্ক নেই বলে সভাধিপতি জানিয়েছেন। পরিষদ সূত্রে জানা গিয়েছে, ১০৫ কোটি টাকায় জেলায় মোট ১০টি রাস্তা তৈরি হবে। আলিপুরদুয়ার-১, ২ সহ ফালাকাটা, কালচিনি, মাদারিহাট এবং কুমারগ্রাম ব্লকে রাস্তা তৈরি হবে। ১০টি রাস্তার দূরত্ব ১৩৫ কিমি হবে। এদিকে রাজ্যের চতুর্থ অর্থকমিশনের ১ কোটি ৫৬ লক্ষ টাকায় জেলার ছ’টি ব্লকে মোট ছ’টি পাকা সেতু তৈরি হবে।