রাজনীতিক ও পেশাদারদের ব্যস্ততা বাড়বে। বয়স্করা শরীর স্বাস্থ্যের প্রতি যত্ন নিন। ধনযোগ আছে। ... বিশদ
শামুকতলা থানার ওসি বিরাজ মুখোপাধ্যায় বলেন, আগে থেকেই এসবের বিরুদ্ধে অভিযান চালানো হচ্ছে। এবার কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ঘনঘন অভিযান চালানো হবে। আলিপুরদুয়ার জেলা আবগারি দপ্তরও জানিয়েছে, মদের অবৈধ কারবার বন্ধ করতে জেলাজুড়েই নিয়মিত অভিযান চালানো হয়। কোনও জায়গা থেকে নির্দিষ্ট অভিযোগ এলে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হয়।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, শামুকতলার ডাঙ্গি এলাকার সামাজিক পরিবেশ একেবারে বিষিয়ে উঠেছে। সেখানে ছড়িয়ে ছিটিয়ে মদের অনেকগুলি অবৈধ দোকান গজিয়ে উঠেছে। পাশাপাশি চলছে জুয়ার আসর। মদ খেয়ে এবং জুয়া খেলে অনেকে টাকাপয়সা নষ্ট করে দিচ্ছে। মদ্যপদের জন্য রাস্তায় চলাচল করা যায় না। মদের দোকানগুলি পরিবারের অশান্তির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। স্থানীয় বাসিন্দারা বলেন, মদ্যপদের জন্য এলাকার শান্তির পরিবেশ নষ্ট হয়ে যাচ্ছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্কুল ছাত্রীরা বলেন, ইভটিজিংয়ের জন্য আমরা বাড়ি থেকে বেরিয়ে একা একা স্কুলে বা প্রাইভেট টিউশন পড়তে যেতে পারি না। সন্ধ্যার পরে এলাকার রাস্তাঘাটে মদ্যপদের দাপট চলতে থাকে। পুলিস কেন যে এদের ধরে না তা বোঝা যায় না। এনিয়ে অভিভাবকদের মধ্যেও ক্ষোভ ছড়িয়েছে। অনেকেই বলেন, মেয়েরা রাস্তায় বেরিয়ে প্রায় প্রতিদিনই ইভটিজিংয়ের শিকার হচ্ছে। তাদের বাড়িতে থেকে একা বেরতে দেওয়া যায় না। মেয়েরা কোথাও গেলে সঙ্গে পরিবারের কাউকে না কাউকে থাকতে হয়।
স্থানীয় বাসিন্দারা বলেন, এলাকায় সুস্থ পরিবেশ ফেরাতে পুলিসের কাছে দাবিপত্র জমা দিয়েছি। এরপরেও এই সব অবৈধ কারবারের বিরুদ্ধে পুলিস ব্যবস্থা না নিলে আমরা বড়সড় আন্দোলনে নামব। স্থানীয় পঞ্চায়েত সদস্য দীপক দেবনাথ বলেন, এলাকার শান্তি ফিরিয়ে আনার জন্য মদ-জুয়ার ঠেকগুলি বন্ধ করতে হবে। এনিয়ে পুলিসের কড়া ব্যবস্থা নেওয়া দরকার।
দু’দিন আগেই স্থানীয় বাসিন্দারা এসব অসামাজিক কাজের প্রতিবাদে রাস্তায় আন্দোলনে নামেন। স্থানীয় একটি স্কুলের মাঠে তাঁরা জমায়েত হয়ে এলাকায় মদ-জুয়ার কারবার বন্ধ করার দাবিতে সভা করেন। সেদিন এলাকার অসামাজিক পরিবেশ দূর করে সুস্থ পরিবেশ ফিরিয়ে আনার দাবিতে তাঁরা শামুকতলা থানায় দাবিপত্রও দেন।