গৃহে শুভকর্মের প্রস্তুতি ও ব্যস্ততা। হস্তশিল্পীদের নৈপুণ্য ও প্রতিভার বিকাশে আয় বৃদ্ধি। বিদ্যায় উন্নতি। ... বিশদ
উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার দিলীপ সরকার বলেন, যে কোনও কাজের জন্য টেন্ডার পাশ করতে হয়। ইতিমধ্যে আমরা হস্টেল তৈরির জন্য পিডব্লুডিকে ২ কোটি ৬৩ লক্ষ টাকা অগ্রিম অর্থ প্রদান করেছি। পিডব্লুডি কর্মকর্তারা চলতি বছরের নভেম্বরের মধ্যে কাজ শুরু করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল। কিন্তু কাজ এখনও শুরু হয়নি। হয়ত কিছু প্রযুক্তিগত ত্রুটি থাকতে পারে। এমনকী শুনেছি পিডব্লুডি দু’বার টেন্ডার বের করেছিল। কিন্তু তাতে কেউ অংশ নেয়নি। আমরা তিন বছর আগে অগ্রিম দিয়েছিলাম। কাজটি কখন শুরু হয় তা দেখা যাক।
বিশ্বদ্যিালয়ের দ্বিতীয় ক্যাম্পাসটি জলপাইগুড়ি ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের কাছে ৩৪ একর জমিতে তৈরি হয়েছে। ২০১৩ সালে দ্বিতীয় ক্যাম্পাসে পঠনপাঠন শুরু হয়েছে। এই ক্যাম্পাসে একটি ছেলেদের জন্য এবং একটি মেয়েদের জন্য হস্টেল তৈরি করা হবে। অন্যদিকে, শিলিগুড়ির শিবমন্দিরের মূল ক্যাম্পাসে ছাত্রীদের জন্য আরও দু’টি হস্টেল নির্মাণের প্রস্তুতি নিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। বর্তমানে উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে পাঁচটি গার্লস হস্টেল এবং তিনটি বয়েজ হস্টেল রয়েছে। পাশাপাশি পর্যাপ্ত হস্টেলের অভাবে অতিরিক্ত দুটি অস্থায়ী গার্লস হস্টেল বিশ্ববিদ্যালয়ের স্টাফ কোয়ার্টারে চলছে।
রেজিস্ট্রার আরও বলেন, হস্টেলের অভাব মেটাতে ইতিমধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ে আরও দুটি গার্লস হস্টেল তৈরির উদ্যোগ নিয়েছি। একটির জন্য রাজ্য সরকারের উচ্চশিক্ষা বিভাগ এবং অন্যটির জন্য উপজাতি কল্যাণ বিভাগ অর্থ দেবে। আমরা হস্টেল তৈরির জায়গাও চিহ্নিত করেছি। খুব শীঘ্রই কাজ শুরু হয়ে যাবে।
উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের ইন্সপেক্টর অফ কলেজ সুব্রত সান্যাল বলেন, আমরা মেয়েদের জন্য আরও দু’টি হস্টেল নির্মাণের প্রস্তাব পাঠিয়েছি। যাতে আমরা আরও ছাত্রীকে হস্টেলের পরিষেবা দিতে পারি। বর্তমানে মেয়েদের তুলনায় ছেলেদের অনুপাত কম। ছেলেদের হস্টেলগুলিতে অধিকাংশ কক্ষ ফাঁকা রয়েছে এবং মেয়েদের হস্টেলে আসন নেই। ফলে অনেক ছাত্রী হস্টেলে থাকতে পারছে না। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, আবাসিক ছাত্রছাত্রীদের কাছ থেকে ন্যূনতম ফি নেওয়া হয়। প্রতিমাসে মাথাপিছু ৬০০ টাকা করে নেওয়া হয়। এই ফি’র মধ্যে আবাসিক ছাত্রছাত্রীদের খাবার খরচটি কেটে নেওয়া হয়।