সংবাদদাতা, কুমারগ্রাম: বুধবার সকালে আলিপুরদুয়ারে টটপাড়া ২ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের দক্ষিণ মজিদখানা গ্রাম হাঁড়িভাঙা নদীর সেতুটি ভেঙে পড়ে। ঘটনায় তিন জন জখম হয়েছেন। পাঁচটি গ্রামের প্রায় দশ হাজার বাসিন্দা সেতুটি পার হয়ে প্রতিদিন শামুকতলা শহর সহ জেলা সদর শহর আলিপুরদুয়ারের সঙ্গে যোগাযোগ করতেন। সেতু ভাঙার ফলে ওই গ্রাম পঞ্চায়েতের অধীনে থাকা পাঁচটি গ্রাম সদর এলাকা থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। গ্রামবাসীরা দ্রুত নতুন সেতু তৈরি করার দাবি তুলেছেন। জেলা পরিষদ প্রায় ৩০বছর আগে ওই সেতুটি তৈরি করেছিল।
আলিপুরদুয়ার-২ পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি তৃণমূল কংগ্রেসের অনুপ দাস বলেন, ওই জায়গায় আরেকটি নতুন সেতু তৈরি করার জন্য জেলা পরিষদকে বলেছি। গ্রামবাসীরা যাতে নদী পার হয়ে যাতায়াত করতে পারে তারজন্য আপাতত অস্থায়ী একটা ব্যবস্থা করার জন্য গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধানকে বলা হয়েছে। টটপাড়া-২ গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান তৃণমূল কংগ্রেসের প্রিয়াঙ্কা দাস রায় বলেন, যাতায়াতের জন্য আপাতত ওই ভাঙা সেতুর পাশে একটি বাঁশের সাঁকো তৈরির কাজ এদিনই শুরু করে দেওয়া হয়েছে। আলিপুরদুয়ার জেলা পরিষদের পূর্ত কর্মাধক্ষ্য পদ্মা দে বলেন, বড় সেতু তৈরি করার মতো পর্যাপ্ত ফান্ড আমাদের হাতে নেই। দুর্বল সেতুগুলি নতুনভাবে তৈরি করার জন্য আমরা আগেই উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন দপ্তরের কাছে আবেদন রেখেছি। ফান্ড এলে ওই সেতুটি নতুনভাবে তৈরি করা হবে।
গ্রামবাসীরা জানান, দক্ষিণ মজিদখানা গ্রামে ওই সেতুটি অনেক দিন থেকেই দুর্বল হয়ে ছিল। স্থানীয় বাসিন্দা অসীম সরকার বলেন, বুধবার সকালে মাটি বোঝাই একটি গাড়ি ও একটি ট্রাক্টর পার হবার সময় ওই সেতুটি আচমকা ভেঙে পড়ে। ট্রাক্টর চালক ও আরও দু’জন সামান্য জখম হয়েছেন। এলাকা থেকে নির্বাচিত বিজেপি’র পঞ্চায়েত সদস্য শ্রীবাস দেবনাথ বলেন, সেতুটি তৈরির জন্য গ্রাম পঞ্চায়েতের মাধ্যমে জেলা পরিষদের কাছে আবেদন করা হয়েছিল। ওদের গাফিলতিই এই অবস্থার জন্য দায়ী।