কর্মে অগ্রগতি ও নতুন কাজের বরাত প্রাপ্তি। আইটি কর্মীদের শুভ। মানসিক চঞ্চলতার জন্য বিদ্যাচর্চায় বাধা। ... বিশদ
বিজেপির জেলা সভানেত্রী বলেন, জেলায় আমরা শান্তি চাই। বক্সিরহাটে বহিরাগত দুষ্কৃতীরা এসে স্থানীয় লোকজনকে মারধর করছে। মহিলাদের শ্লীলতাহানি করছে। ওরা সব তৃণমূল কংগ্রেস আশ্রিত দুষ্কৃতী। আমরা এদিন বক্সিরহাট থানার ওসিকে ডেপুটেশন দিয়ে মহিলাদের নিরাপত্তার দাবি রেখেছি। জেলায় মহিলাদের উপর অত্যাচার, শ্লীলতাহানির মতো ঘটনা ঘটছে। আমাদের মহিলা মোর্চা এসপি অফিসে অভিযান করেছে।
তৃণমূলের জেলা সভাপতি বিনয়কৃষ্ণ বর্মন বলেন, যারা ২৩ মে’র পরে সারা রাজ্যের সঙ্গে কোচবিহারের মানুষের ঘুম কেড়ে নিয়েছিল তাদের আবার পুলিসের কাছে যাওয়ার দরকারটা কি? আমি এটা বুঝতে পারছি না। পুলিসকে তো ওরা মানতোই না। এটা ওদের একটা নতুন অভিনয়। বিজেপি শাসিত রাজ্যে সব থেকে বেশি নির্যাতিতা হচ্ছেন মহিলারা। সেটা আগে ওরা নিয়ন্ত্রণ করুক। তারপর এখানে যেন আন্দোলন করতে আসে।
বিজেপির মহিলা মোর্চার কর্মসূচি নিয়ে জেলার পুলিস সুপার সন্তোষ নিম্বালকর কোনও মন্তব্য করতে চাননি।
এদিন সকাল থেকেই কোচবিহারের সাগরদিঘির পাড়ে শহিদ বেদির সামনে, পুলিস সুপারের অফিস পেরিয়ে আমতলা যাওয়ার রাস্তা, এদিকে গোলবাগানের দিকে যাওয়ার রাস্তায় বাঁশ দিয়ে ব্যারিকেড করে দেয় পুলিস। বেলা আড়াইটে নাগাদ বিজেপির মহিলা মোর্চার মিছিল শহরের বিভিন্ন রাস্তা পরিক্রমা করে কাছারি মোড়ের দিক থেকে এসে পুলিস সুপারের অফিসের দিকে যেতে গেলে পুলিস তাঁদের বাধা দেয়। আন্দোলনকারীরা প্রথম ব্যারিকেড ভেঙে দ্বিতীয় ব্যারিকেডে এসে আটকে যায়। সেখানেই তাঁরা স্লোগান দিয়ে বিক্ষোভ প্রদর্শন করেন। এরপর মহিলা মোর্চার একটি প্রতিনিধি দল পুলিস সুপারের অফিসে যান। সেখানে জেলার অতিরিক্তি পুলিস সুপারের কাছে তাঁরা ডেপুটেশন দেন।
এদিকে বক্সিরহাট থানা ঘেরাও কর্মসূচি জোড়াই মোড় থেকে শুরু হয়। সেখান থেকে মিছিল থানার সামনে পৌঁছয়। ওই কর্মসূচিতে মালতী রাভা রায় ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন বিজেপির জেলা সাধারণ সম্পাদক সঞ্জয় চক্রবর্তী, জেলা সম্পাদিকা মাধবী প্রধান সহ অন্যান্য নেতারা। প্রসঙ্গত, দিনকয়েক আগে এই এলাকাতেই দু’টি গ্রাম পঞ্চায়েতে বোর্ড গঠনকে ঘিরে বিজেপি ও তৃণমূলের মধ্যে ব্যাপক গণ্ডগোল হয়েছিল। মাঝেমধ্যেই দু’দলের গণ্ডগোলের কারণে বক্সিরহাট থানার বিভিন্ন এলাকা উত্তপ্ত হয়ে উঠছে। বিজেপি বারবার অভিযোগ তুলছে, ওই এলাকায় বহিরাগতদের নিয়ে এসে অশান্তি পাকাচ্ছে তৃণমূল। তারপরেই এদিন কর্মসূচি তারা গ্রহণ করে। তবে দু’জায়গার দু’টি কর্মসূচি ঘিরে কোনও গণ্ডগোলের খবর পাওয়া যায়নি।