পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
জেলা সদর বালুরঘাট, গঙ্গারামপুর, বুনিয়াদপুরের মতো শহরের বাজারগুলিতে পেঁয়াজ সহ অন্যান্য সব্জির দাম দিনের পর দিন বেড়েই চলেছে। পেঁয়াজ কিনতে বাজারে এসে মধ্যবিত্তদের মাথায় হাত পড়ছে। স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, একেক দোকানে পেঁয়াজ সহ সব্জির একেক রকম দাম। পাশাপাশি এই জেলায় নেই সুফল বাংলার কোনও স্টল। ফলত ৫৯ টাকায় সরকারের তরফ থেকে পেঁয়াজ বিক্রি করা হচ্ছে না কোথাও। রেশন দোকান থেকেও মিলছে না পেঁয়াজ। জেলাবাসি ভর্তুকিযুক্ত পেঁয়াজ কেনার আশায় থাকলেও জেলা প্রশাসন কিন্তু এব্যাপারে কিছুই করার নেই বলে জানিয়ে দিয়েছে জেলাবাসীকে। তবে জেলা প্রশাসন জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার থেকে নিয়মিত সব্জি সহ পেঁয়াজের বাজার নিয়ন্ত্রণ করতে জেলা প্রশাসনের বিশেষ টিম নজরদারি চালাবে জেলার বাজারগুলিতে।
জেলাশাসক নিখিল নির্মল বলেন, আমরা জেলার বাজারে পেঁয়াজ সহ সব্জির দাম নিয়ন্ত্রণ করতে অভিযান শুরু করব বৃহস্পতিবার থেকে। আমি টাস্কফোর্স নিয়ে নিজে যাব। সব্জির দাম ও পেঁয়াজের দাম এত বেড়েছে কেন, কোথায় সমস্যা রয়েছে, সেসব খতিয়ে দেখা হবে। তাছাড়া জেলার বিভিন্ন বাজারে যাতে পেঁয়াজ ও অন্যান্য সব্জির দাম একই থাকে, সেব্যাপারে বিক্রেতাদের সতর্ক করা হবে। এখন থেকে আমাদের টাস্কফোর্স নিয়মিত জেলার বাজারে সব্জি ও পেঁয়াজের দাম নিয়ন্ত্রণ করতে নজরদারি চালাবে। সরকারিভাবে ভর্তুকি যুক্ত পেঁয়াজ দেওয়ার বিষয় আমাদের কাছে এখনও কোনও নির্দেশিকা আসেনি রাজ্য থেকে। তেমন নির্দেশ এলে নিশ্চয় জেলাবাসীকে সস্তায় পেঁয়াজ দেওয়া হবে।।
গঙ্গারামপুরে পাইকারি পেঁয়াজ বিক্রেতা আনন্দ তামিল বলেন, বর্তমানে আমরা গঙ্গারামপুর শহরে খুচরো বিক্রেতাদের কাছে পেঁয়াজ বিক্রি করছি ৭০ থেকে ৮০ টাকা কেজি দরে। এবারে খুচরো বিক্রেতারা কত দামে পেঁয়াজ বিক্রি করছেন, তা আমাদের জানা নেই। তবে এক সপ্তাহের মধ্যে আমাদের পাইকারি বাজারে পেঁয়াজের দাম কেজিতে ১৫ টাকা করে কমেছে। আমাদের কাছে যা খবর রয়েছে, এক সপ্তাহের ভেতর পেঁয়াজের দাম আরও কমবে। সরকারিভাবে পেঁয়াজের দাম নিয়ন্ত্রণ করলে ভালোই হবে। সাধারণ মানুষের সুবিধে হবে। তবে খুচরো ব্যবসায়ীরা তো বিনা লাভে বিক্রি করতে পারবেন না। সেদিকেও দেখা উচিত।
গঙ্গারামপুর শহরের সবজি বিক্রেতা অমর দাস বলেন, শীতকালে সব্জির দাম অপেক্ষাকৃত অনেক কম হয়। তবে এবারে কোথাও শীতের সব্জির ভালো চাষ না হওয়ায় বাজারে চাহিদার সঙ্গে পাল্লা দিতে পারছে না। তাই দাম বেড়েছে। এবার শুরু থেকেই দাম চড়া। সেইসঙ্গে এখন বিয়ের মরশুম বলে দাম কমছে না। আমরা পাইকারি বাজার থেকেই তো পেঁয়াজ ও সব্জি কিনছি বেশি দামে। তারপর লাভ রেখে বিক্রি করছি। প্রশাসন নজরদারি করুক। আমাদের কোনও অসুবিধে নেই। আমরা যে দামে কিনছি, তারপর সামান্য লাভ রেখেই বিক্রি করছি।
গঙ্গারামপুর শহরের বাসিন্দা নিবেদিতা সাহা বলেন, গঙ্গারামপুর থেকে শুরু করে জেলার অন্য বাজারেও সব্জির বাজারে আগুন লেগেছে। পেঁয়াজ থেকে শুরু করে সব সব্জির দাম চড়া। যে যেমন পারছেন, সব্জির দাম নিচ্ছেন। বাজারে কোনও নিয়ন্ত্রণ নেই। জেলা প্রশাসন দেরি করে হলেও সাধারণ মানুষের সমস্যা বুঝে জেলার সবজি ও পেঁয়াজের বাজারে দাম নিয়ন্ত্রণ করতে নামছে জেনে খুশি হলাম। তারপর সব্জি ও পেঁয়াজের দাম কতোটা কমে, সেটাই দেখার।
জেলার বাজারে ফুলকপি ৪০ টাকা, বাঁধাকপি ৪০ টাকা, শশা ৫০ টাকা, পেঁয়াজ ১২০ টাকা, আলু ৩০ টাকা, রসুন ২০০ টাকা, টম্যাটো ৪০ টাকা, ঝিঙে ১০০ টাকা, কোয়াস ৪০ টাকা প্রতি কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। জেলা প্রশাসন সাধারণ মানুষের সমস্যা বুঝতে পেরে সবজির বাজার নিয়ন্ত্রণ করতে অভিযান শুরু করছে।