বিমাসূত্রে ধনাগম হতে পারে। প্রেম-প্রণয়ে আনন্দ। কাজকর্মে অগ্রগতি ও সুনাম। ... বিশদ
তৃণমূলের দার্জিলিং জেলা সভাপতি তথা শিলিগুড়ি পুরসভার বিরোধী দলনেতা রঞ্জন সরকার অবশ্য বলেন, ওই সমীক্ষা সম্পর্কে কিছু বলতে পারব না। তবে, পুরভোট সহ যে কোনও নির্বাচনেই প্রার্থী তালিকা স্থানীয়স্তরে ঠিক করা হয় না। এ ব্যাপারে যা করার দলের নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ই করেন। শিলিগুড়ি পুরসভা নির্বাচনের ক্ষেত্রেও তিনি যা নির্দেশ দেবেন, তাই পালন করা হবে।
আর কয়েকমাস পরই বামফ্রন্ট পরিচালিত শিলিগুড়ি পুরসভার বর্তমান পুরবোর্ডের মেয়াদ শেষ হবে। তাই পুরনির্বাচনের দিকে তাকিয়ে ওয়ার্মআপ শুরু করে দিয়েছে তৃণমূল এবং বামফ্রন্ট। এই অবস্থায় শহরে ঘাসফুল শিবিরের শক্তি যাচাই করতে আসরে নেমে পড়েছে পিকের টিম। তৃণমূল সূত্রে জানা গিয়েছে, কয়েকদিন আগে পিকের টিমের একঝাঁক সদস্য ঘাঁটি গেড়েছে এই শহরে। তাঁরা ছাত্র, যুবক, যুবতী, শিক্ষক, চিকিৎসক, সরকারি কর্মচারী, ব্যবসায়ী সহ বিভিন্ন স্তরের মানুষের কাছে যাচ্ছেন। চায়ের দোকানে, বাজার, বাসস্ট্যান্ড সহ বিভিন্ন এলাকায় ঘুরে তৃণমূলের নেতা-নেত্রী এবং বর্তমান কাউন্সিলারদের ভাবমূর্তি সম্পর্কে খোঁজ খবর নিচ্ছেন। এমনকী, তৃণমূল নিস্ক্রিয় এবং পুরনো নেতাদের কাছে গিয়ে দলের কর্মকাণ্ড নিয়ে কথা বলছেন।
পুরভোটের আগে পিকের টিমের তৎপরতা যথেষ্ঠ তাৎপর্যপূর্ণ। রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের বক্তব্য, অতীতের কোনও নির্বাচনের আগে প্রার্থী বাছাই কিংবা নির্বাচনে লড়াই করার রণকৌশল নিয়ে বেসরকারি কোনও সংস্থাকে কাজে লাগায়নি তৃণমূল। লোকসভা ভোটের পর ময়দানে ঘুরে দাঁড়াতে পিকের টিমকে ময়দানে নামিয়েছে তৃণমূল। শিলিগুড়ির ক্ষমতা দখল করতে পিকের টিমের সমীক্ষা রিপোর্টের ভিত্তিতেই পুরনির্বাচনের স্ট্যাটেজি ঠিক করবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রার্থী বাছাইয়ের ক্ষেত্রেও ওই রিপোর্টকে গুরুত্ব দেওয়া হবে বলেই মনে হচ্ছে।
প্রসঙ্গত, বর্তমানে শিলিগুড়ি পুরসভার ৪৭টির মধ্যে তৃণমূলের দখলে ১৮টি ওয়ার্ড। ইদানিংকালে সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ডগুলির কাউন্সিলাররা দিদিকে বলো কর্মসূচির পাশাপাশি জনসংযোগ বাড়াতে বিভিন্ন রকম সামাজিক কর্মসূচি পালন করছেন। সকাল ও সন্ধ্যায় ওয়ার্ডে ঘুরে নাগরিক পরিষেবা স্বাভাবিক রাখার চেষ্টা করছেন। রাজ্য সরকারের সামাজিক প্রকল্পের সুযোগ-সুবিধা নাগরিকদের পাইয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছেন। কেবল মাত্র কাউন্সিলাররা নন, তৃণমূলের তিনটি টাউন কমিটির নেতারাও এখন অনেকটাই সক্রিয়।