কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
ব্যবসায়ীরা জানান, এলাকায় যাবতীয় রাজনৈতিক সংঘর্ষ হচ্ছে বাজার এলাকাতেই। সব সময় আতঙ্কে থাকতে হচ্ছে। ব্যবসার ক্ষতি হচ্ছে। পুলিস এসে ব্যবসায়ীদেরই মারছে। এদিনও তিনটি তাজা বোমা বাজারে উদ্ধার হয়েছে। আমরা ব্যবসা করার মতো সুস্থ পরিবেশ চাইছি।
মঙ্গলবার ডাকঘড়া বাজারে সাপ্তাহিক হাট ছিল। সন্ধ্যার আগে হাট জমতে শুরু করার সময়েই তৃণমূল ও বিজেপি দুই পক্ষই বাজার এলাকায় মিছিল শুরু করে। দু’টি মিছিল মুখোমুখি হতেই শুরু হয় বোমাবাজি। হাটে আসা মানুষজন প্রাণভয়ে পড়িমড়ি করে পালান। দোকান বন্ধ করে দেন ব্যবসায়ীরা। পন্ড হয়ে যায় সাপ্তাহি হাট। শীতলকুচি থানার পুলিস এসে বাজার থেকে দু’পক্ষকে সরিয়ে দেয়। সে সময় দোকান ঠিকঠাক বন্ধ হয়েছে কি না তা দেখতে এলে দু’জন ব্যবসায়ীকে পুলিস আটকে মারধর করে। এলাকায় ব্যাপক ক্ষোভ জমে। এই পরিস্থিতিতেই বুধবার সকালে দোকান খুলতে এসে বাজারে তিনটি তাজা বোমা পড়ে থাকতে দেখেন ব্যবসায়ীরা। আতঙ্ক ও ক্ষোভ আরও বেড়ে যায়। ব্যবসায়ীরা দোকান খোলেন না। এলাকার সুস্থ পরিবেশ ও নিরাপত্তার দাবিতে সকাল ১১টা থেকে ব্যবসায়ীরা মাথাভাঙা-শীতলকুচি রাজ্য সড়ক অবরোধ শুরু করেন। পুলিস এসে ব্যবসায়ীদের বুঝিয়ে অবরোধ তুলে দেয়। বেলা ১২টা নাগাদ অবরোধ ওঠে।
ডাকঘড়া বাজার ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি ধীরেন্দ্রনাথ বর্মন বলেন, লোকসভা নির্বাচনের পর থেকেই এলাকা উত্তপ্ত। আর বারবার ডাকঘড়া বাজারেই রাজনৈতিক সংঘর্ষ হচ্ছে। বাজার এলাকায় বোমা, বন্দুক, বাঁশ নিয়ে মিছিল দেখেও পুলিস কোনও পদক্ষেপ নিচ্ছে না। আমরা চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি। ব্যবসা মার খাচ্ছে। এদিনও এলাকায় বোমা পড়ে ছিল। কিছুদিন আগের রাজনৈতিক সংঘর্ষে ব্যবসায়ীদের বাইক তুলে নিয়ে গিয়েছিল পুলিস। ব্যবসায়ীদের মারধর করেছে। এদিন বাধ্য হয়ে দোকান বন্ধ রেখে পথ অবরোধে শামিল হয়েছি। পুলিস আমাদের আশ্বস্ত করেছে। তাই অবরোধ তুলে নেওয়া হল। এরপরে এধরনের ঘটনা হলে আমরা বড়সড় আন্দোলনে নামব। এছাড়া আর উপায় নেই।
এদিকে বাজারের এই পরিস্থিতি নিয়ে তৃণমূল কংগ্রেস ও বিজেপি একে অপরকেই দুষছে। বিজেপি’র মণ্ডল সভাপতি মহেন্দ্রনাথ বর্মন বলেন, ডাকঘড়া বাজারে অশান্তির মূলে তৃণমূল। ওরা বাইরে থেকে সশস্ত্র দুষ্কৃতী নিয়ে গিয়ে এলাকায় সন্ত্রাস করছে। এদিকে তৃণমূল নেতা সাহের আলি মিঁয়া বলেন, বিজেপিই ওখানে অশান্তি করছে। আমাদের কর্মী-সমর্থকদের বাজারে ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না।
মাথাভাঙার মহকুমা পুলিস আধিকারিক শুভেন্দু মণ্ডল বলেন, ডাকঘড়া বাজারে ব্যবসায়ীরা পথ অবরোধ করেছিলেন। তাদের সঙ্গে আলোচনা করে তা তুলে দেওয়া হয়েছে। তাঁদের বিষয়টি আমরা দেখছি। এলাকায় তিনটি বোমা উদ্ধার হয়েছে। সেগুলি নিষ্ক্রিয় করা হয়েছে। পুলিস যথাযথ পদক্ষেপ করছে।