বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
সদর মহকুমা শাসক সুরেশ চন্দ্র রানো বলেন, জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে আনাজ ও সব্জির বাজারদর নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য আগেও অভিযান করা হয়েছে। এখনও নজরদারি চালানো হচ্ছে। জেলাশাসকের উদ্যোগে ও কৃষি বিপণন দপ্তরের সহায়তায় ইতিমধ্যেই পেঁয়াজ বিক্রি করা হচ্ছে। প্রথমে ৯০ টাকা কেজি দরে সেই পেঁয়াজ বিক্রি করা হলেও বুধবার ৮০ টাকা কেজি হিসাবে সেই পেঁয়াজ বিক্রি করা হয়েছে।
তবে পেঁয়াজ সহ অন্যান্য আনাজ ও সব্জির দাম পাইকারি ও খুচরো বাজারে অনেকটাই আলাদা বলে দাবি বেশ কিছু ক্রেতার। বর্তমানে সব্জি ও আনাজের আকাশছোঁয়া দর হওয়ায় কোনও কোনও ক্রেতা ইংলিশবাজার নিয়ন্ত্রিত বাজার সমিতিতে গিয়ে সব্জির পাইকারি দর জানার চেষ্টা করছেন। এমনই এক ক্রেতার বক্তব্য, অনেক সব্জি বা আনাজই পাইকারি বাজারে যে দামে পাওয়া যাচ্ছে খুচরো বাজারে তা বিক্রি হচ্ছে প্রায় দ্বিগুণ দামে। বহন খরচ ধরলেও দামের এত ফারাক হওয়া উচিত নয়। উদাহারণ দিয়ে তিনি বলেন, যে মূলো ১০ টাকা কেজি দরে পাইকারি বাজারে পাওয়া যাচ্ছে, খুচরা বাজারে তা প্রায়ই বিক্রি হচ্ছে ৩০ টাকা থেকে ৪০ টাকা প্রতি কেজি দরে। ফলে সাধারণ মানুষের সমস্যা হচ্ছে।
এদিকে খুচরো ব্যবসায়ীদের বক্তব্য, লাভের পরিমাণ এতটাও বেশি নয়। মকদুমপুর বাজারের এক খুচরো আনাজ বিক্রেতা বলেন, সরকারিভাবে পেঁয়াজ ৮০ টাকা থেকে ৯০ টাকা প্রতি কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে বলে শুনেছি। কিন্তু আমাদের পেঁয়াজ বিক্রি করতে হচ্ছে ১০০ টাকা থেকে ১১০ টাকা প্রতি কেজি দরে। কারণ আমাদের ভালো মানের পেঁয়াজ কিনতেই হচ্ছে প্রায় ৯০ থেকে ১০০ টাকা প্রতি কেজি দরে।
আরেক খুচরো সব্জি ব্যবসায়ীর বক্তব্য, আগের তুলনায় কিছুটা হলেও সব্জির দাম কমেছে। আস্তে আস্তে আরও কিছুটা কমবে বলে আশা করছি। ওই তরুণ সব্জি বিক্রেতার বক্তব্য, নতুন আলু শুরুর দিকে ৫০ টাকা প্রতি কেজি দরে বিক্রি কবেছি। তবে এখন তা বিক্রি হচ্ছে কিলো প্রতি ৩০ টাকা দরে। এদিকে আবার দাম বেড়েছে পুরোনো আলুর। পুরানো আলুর দাম ১৮ টাকা প্রতি কেজি থেকে কিছুটা বেড়ে ২২ টাকা প্রতি কেজিতে দাঁড়িয়েছে।
বেগুন, টমেটো সহ অন্যান্য সব্জি বিক্রি হচ্ছে ৪০ টাকা প্রতি কেজি দরে। আদার দাম কমে ১২০ টাকা প্রতি কেজি হয়েছে বলেও দাবি করেছেন ওই বিক্রেতা। তিনি বলেন, এক সময় প্রায় ২০০ টাকে কেজি করে আদা বিক্রি হয়েছে। তবে রসুনের দাম এখনও উল্লেখযোগ্য কিছু কমেনি। রসুন ২০০ টাকা প্রতি কেজি বা তারও একটু বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে বলে জানা গিয়েছে।
জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, পাইকারি ও খুচরো বাজারে আনাজ ও সব্জির দামের যেন বিপুল পরিমাণ পার্থক্য না থাকে, তা নিয়ে পদক্ষেপ করার কথা ভাবা হচ্ছে।