কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
তৃণমূল কংগ্রেসের ডালখোলা টাউন সভাপতি তনয় দে বলেন, শহরে ‘দিদিকে বলো’ কর্মসূচি চলছে। এই কর্মসূচি যাতে সফল না হয় তার জন্য বিদায়ী চেয়ারম্যানন সুভাষ গোস্বামীর লোক আটকাচ্ছেন। দিদিকে বলো কর্মসূচিতে তাঁকে আমন্ত্রণ জানালেও তিনি অংশ নেন না। দলের পক্ষ থেকে তাঁকে পুরসভার প্রশাসক বোর্ডে রাখা হয়েছে। কিন্তু তিনি দলের সঙ্গে আলোচনা না করেই পুরসভার কাজ করছেন। দলের কর্মীরা যদি পুরসভার কাজের ক্ষেত্রে সুযোগ সুবিধা না পায় তাহলে সংগঠনকে চাঙ্গা করব কীভাবে? টাউন কমিটিতে আলোচনা না করে তিনি বিরোধী দলের কয়েক জনকে দলে নেওয়ার জন্য উঠেপড়ে লেগেছিলেন। এসব নিয়ে প্রতিবাদ করায় তিনি আমার সঙ্গে কথা বলা বন্ধ করে দিয়েছেন।
বিদায়ী চেয়ারম্যান সুভাষ গোস্বামী বলেন, ‘দিদিকে বলো’ কর্মসূচিতে যেতে আমি কাউকেই আটকাইনি বা যেতে নিষেধ করিনি। এমন কোনও প্রমাণ থাকলে দেখাক। ‘হারুপার্টির’ কর্মসূচিতে কে যাবে? চোরচোট্টা, বেইমানদের নিয়ে ঘুরছেন। চার বছরেও টাউন কমিটি বানাতে পারেননি। পদ আঁকড়ে আছেন। গত নির্বাচনে আমার বিরুদ্ধে দাঁড়িয়ে হেরেছেন। তাই তিনি আমাকে দেখতে পারেন না। বিদায়ী কাউন্সিলারদের সঙ্গে আলোচনা করেই পুরসভার কাজ হচ্ছে। আর, জেলা বা রাজ্য কমিটি কাউকে দলে নিলে কার কী আপত্তি থাকতে পারে? যাঁরা আপত্তি করছেন তাঁরা দলের ভালো চায় না, তাই দলকে বাড়াতেও চাইছেন না। এনিয়ে তৃণমূল কংগ্রেসের উত্তর দিনাজপুর জেলা সভাপতি কানাইয়ালাল আগরওয়াল বলেন, বিষয়টি দেখছি।
পুরসভা সূত্রে জানা গিয়েছে, ২০১৩ সালের সেপ্টেম্বর এই পুরসভায় নির্বাচন হয়। এবছর সেপ্টেম্বরে বোর্ডের মেয়াদ শেষ হয়েছে। কিন্তু এখনও নির্বাচন ঘোষণা হয়নি। প্রশাসক বোর্ড পুরসভা চালাচ্ছে। এই বোর্ডের অন্যতম সদস্য রয়েছেন বিদায়ী চেয়ারম্যান সুভাষ গোস্বামী। ২০১৩ সালের নির্বাচনে সুভাষবাবু শহরের ৮ নম্বর ওয়ার্ড থেকে কংগ্রেসের টিকিটে জয়ী হন। সেসময় তনয়বাবু তৃণমূলের টিকিটে তাঁর বিরুদ্ধে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নামেন। সুভাষবাবুর কাছে তনয়বাবু পরাজিত হন। সুভাষবাবুর নেতৃত্বে কংগ্রেস পুরবোর্ড গঠন করে। পরে সুভাষবাবু সহ কংগ্রেসের সমস্ত কাউন্সিলার দলবদল করে তৃণমূলে চলে আসেন। সেই থেকে বিবাদ চলছে।
ফলে ডালখোলায় মাঝেমধ্যেই এই দুই নেতার কাজিয়া প্রকাশ্যে চলে আসছে। এনিয়ে কর্মীরা অস্বস্তিতে পড়েছেন। তাঁরা বলেন, ২০২০ সালের শুরুতে পুরসভা নির্বাচন হবে ধরে নিয়েই সব দল মাঠে নেমেছে। কিন্তু তৃণমূলের কোন্দল থামছে না। একে অপরের সঙ্গে কথা বলা তো দূরের কথা মুখ দেখাদেখি পর্যন্ত নেই। দলের বিভিন্ন কর্মসূচিতে এর প্রভাব পড়ছে। মানুষের কাছে খারাপ বার্তা যাচ্ছে। বিরোধীরা এর সুযোগ নিচ্ছে। এই অবস্থা পাল্টাতে না পারলে পুরভোটে দলকে খেসারত দিতে হবে। জেলা নেতৃত্বের পদক্ষেপ প্রয়োজন।