বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
হায়দরাবাদের ঘটনার পর থেকে নারী নিরাপত্তা নিয়ে গোটা দেশেই তুমুল হইচই শুরু হয়েছে। নড়েচড়ে বসেছে পুলিস ও প্রশাসন। সেদিকে তাকিয়েই রায়গঞ্জ থানার পুলিস এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে জানিয়েছেন আধিকারিকেরা। তাঁদের মতে, এতদিন পর্যন্ত কন্ট্রোল রুমের নম্বর সবার কাছে পৌঁছে দেওয়ার কোনও ব্যবস্থা ছিল না। তাই এবার সেই নম্বর সকলের নাগালের মধ্যে নিয়ে আসতে চলেছে পুলিস। তাদের দাবি, এর মাধ্যমে শুধুমাত্র মহিলারা নয় সমাজের সর্বশ্রেণীর মানুষ উপকৃত হবেন। কোথাও কোনও ঘটনা ঘটার খবর কন্ট্রোলরুমে চলে আসলে সঙ্গে সঙ্গে নিকটবর্তী থানাকে জানিয়ে ব্যবস্থা নেওয়া সম্ভব হবে।এতে মানুষকে আরও বেশি সুরক্ষা দেওয়া সম্ভব হবে বলেই মনে করছেন জেলা পুলিশের শীর্ষ আধিকারিকরা। রায়গঞ্জ জেলা পুলিসের কন্ট্রোল রুমের যে নম্বরটি প্রচার করবে পুলিশ তা হলো ০৩৫-২৩২৪৬১৫২। এছাড়াও যে কেউ বিপদে পড়লে ১০০ নম্বরেও ফোন করতে পারেন।
এই বিষয়ে রায়গঞ্জ পুলিস জেলার সুপার সুমিত কুমার বলেন, জেলার বিভিন্ন থানায় এই নম্বরটি বিশেষভাবে ডিসপ্লে করা থাকবে। মূলত আমরা সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে আপাতত প্রচার চালাব। পরবর্তীতে বিভিন্ন থানা এলাকায় ফ্লেক্স হোর্ডিংয়ের মাধ্যমে প্রচার চালানো হবে। শুধুমাত্র মহিলারা নয়, এই নম্বরে যে কোনও ব্যক্তি কোনও সমস্যায় পড়লে ফোন করে যোগাযোগ করতে পারবেন। এই মুহূর্তে দেশজুড়ে যে হারে মহিলাদের নিয়ে বিভিন্ন ঘটনা সামনে উঠে আসছে, সেদিকে তাকিয়েই আমরা এই ব্যবস্থা নিচ্ছি। আপাতত আমাদের একটি মহিলা থানা রয়েছে। তার আলাদা কোনও হেল্পলাইন নম্বর না থাকার কারণে আমরা এই ব্যবস্থা চালু করেছি।
দেশজুড়ে বর্তমানে মহিলাদের সুরক্ষা সম্পর্কিত বিষয়ে সরব হয়েছেন সাধারণ মানুষ। হায়দরাবাদ সহ বিভিন্ন এলাকায় মহিলাদের উপর নির্যাতন, ধর্ষণ, খুনের মতো বিভিন্ন ঘটনা খবরের শিরোনামে উঠে এসেছে। বিষয়টি নিয়ে দেশের অন্যান্য অংশের সঙ্গে আতঙ্কিত রায়গঞ্জ পুলিস জেলার বাসিন্দারাও। একা রাস্তায় চলাচল করতে গেলে আতঙ্ক তাড়া করছে মহিলাদের। যদিও রায়গঞ্জ শহরে একটি মহিলা থানা রয়েছে। তবে সেই থানার কোনও হেল্পলাইন নম্বর নেই। খুব স্বাভাবিকভাবেই বিপদে পড়লে কোথায় ফোন করে সহজে পুলিশের কাছে পৌঁছতে পারবেন, তা নিয়ে ধন্দে থাকেন মহিলা এবং পুরুষরা। যদিও পুলিসের দাবি, ১০০ নম্বরে ফোন করলেই সংশ্লিষ্ট থানা এলাকার পুলিস দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছনোর চেষ্টা করে। তবে মহিলাদের সুরক্ষা দেওয়ার ক্ষেত্রে বাড়তি ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি বরাবরই উঠেছিল। সেই দাবিকে মাথায় রেখেই এবারে রায়গঞ্জ জেলা পুলিস তাদের কন্ট্রোল রুমের নাম্বারকে মানুষের সবার সামনে নিয়ে আসতে চলেছে। ওই নম্বরে ফোন করলে সেখানে বসে থাকা পুলিসের আধিকারিকেরা খবর পাওয়া মাত্র যে এলাকার ঘটনা ঘটেছে সে এলাকার কাছাকাছি থাকা পুলিসকে জানিয়ে দেবেন। ফলে দ্রুত সমস্যার সমাধান করা সম্ভব হবে বলে মনে করছেন জেলা পুলিস আধিকারিকরা। রায়গঞ্জ পুলিস জেলার অন্তর্গত রায়গঞ্জ, কালিয়াগঞ্জ, করণদিঘি, হেমতাবাদ ও ইটাহার থানা এলাকার বাসিন্দা বর্তমানে এই নম্বরে ফোন করে সমস্যার কথা দ্রুত জেলা কন্ট্রোলরুমে জানাতে পারবেন।